হায়দারাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী পশু-চিকিৎসক হত্যায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ মানুষ পটকা ফুটিয়ে ও নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ( ৬ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশি পদক্ষেপ উদযাপন করতে প্রায় ২ হাজার লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছিল। এসময় তারা পুলিশ জিন্দাবাদ বলে স্লোগানও দেয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে ফুল ছিটিয়ে দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পুলিশের পক্ষে উদযাপন এবং সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দারাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী পশু-চিকিৎসক হত্যায় অভিযুক্ত চার আসামি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে তদন্তের জন্য আসামিদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তাঁরা। তারপরই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হায়দারাবাদের পুলিশ কমিনশনার। হায়দারাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে শাদনগরের চাতনপালি এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আলিয়াস আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চেন্নাকেসাভুলু। এর আগে তরুণী ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ মামলায় তাদের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল।
গত ২৮ নভেম্বর রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে হায়দরাবাদের সামশাবাদ টোলপ্লাজার সামনে স্কুটি রাখেন ওই তরুণী চিকিৎসক। সেখানে এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোলপ্লাজার সামনে আসেন তরুণী চিকিৎসক।
তিনি দেখেন, তার স্কুটির চাকা পাংচার হয়ে গেছে। সেই সময় দুজন লরিচালক এবং খালাসি তরুণীর কাছে আসেন। তারা তার স্কুটির চাকা সারিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তাদের কথায় বিশ্বাস করেন ওই চিকিৎসক। পরে চার ট্রাকচালক ও ক্লিনার কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে তাকে গণধর্ষণ করেন।
শাদনগর নামক এলাকার চাতানপল্লী সেতুর কাছে তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে ধর্ষকরা। পরদিন সকালে ওই তরুণীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তেলেঙ্গানার হাজারো মানুষ।