ধর্ষকদের গণপিটুনি দিতে হবে, বললেন জয়া বচ্চন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জয়া বচ্চন, ছবি: সংগৃহীত

জয়া বচ্চন, ছবি: সংগৃহীত

তেলেঙ্গানায় ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে সরগরম হয়ে উঠেছে ভারতের পার্লামেন্টও। সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অধিবেশনে একাধিক সংসদ সদস্য ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। দাবি করেছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও। অনেকে সরকারকে অভিযোগ করেছেন, হাত গুটিয়ে বসে থাকার জন্য।

বলিউডের নামকরা অভিনেত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য জয়া বচ্চন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ধর্ষণের মতো ঘটনা বন্ধ না হওয়ায়। এ জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দায়িত্বহীনতা ও মানবিকতাহীনতাকে দায়ী করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মনের ক্ষোভ ঝেড়ে রাজ্যসভায় জয়া বলেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের (তেলেঙ্গানায় ধর্ষণে অভিযুক্তদের) গণপিটুনি দেওয়া উচিত।

পার্লামেন্টে একাধিকবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কী করছে? কীভাবে তারা এ ধরনের অপরাধের মোকাবিলা করছে? ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দিতে সরকার কী করছে? আমি কারও নাম নিচ্ছি না। কিন্তু এসব ঘটনার দায় কী নিরাপত্তা প্রধান এড়াতে পারেন? এসব কেন থামছে না?

আরো পড়ুন: ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তেলেঙ্গানা


একের পর এক ধর্ষণের মতো ঘটনায় সরকারের কাছে জনগণ যথোপযুক্ত ও নির্দিষ্ট জবাব চায় বলেও মন্তব্য করেন জয়া।

তিনি বলেন, যারা এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষা করছেন না, তাদের নাম সামনে আসা উচিত। তাদের ধিক্কার জানাতে হবে।

তার পাশাপাশি এআইএডিএমকের সংসদ সদস্য ভিজিলা সত্যানাথ লোকসভায় ধর্ষণের নিন্দা জানিয়েছে বক্তব্য দেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন ভিজিলা। তিনি অভিযোগ করেন, দেশ এখন শিশু ও নারীদের জন্য নিরাপদ নয়।

অন্য সদস্যরাও তাদের বক্তব্যে ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। বিজেপির রাজসভা সদস্য আর কে সিনহাও অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

সংসদের বিভিন্ন সদস্যের এমন বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, মাননীয় স্পিকার অনুমতি দিলে এ বিষয়ে পূর্ণ আলোচনা করতে পারি এবং এখানে উপস্থিত সবার পরামর্শ শুনতে পারি। প্রয়োজনে নতুন আইনও প্রণয়ন করতে পারি। এ ধরনের নির্মম অপরাধ রোধ করতে আমাদের সরকার সবার পরামর্শকে স্বাগত জানায়। কঠিনতম আইন করতেও আমরা দ্বিধাবোধ করব না।