অ্যান্টার্কটিকায় ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টন বরফখন্ড ভেঙে পড়েছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের দ্যা অ্যামেরি আইস শেল্ফ থেকে ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টন ওজনের একটি বরফখন্ড সমুদ্রে ভেঙে পড়েছে। ছোট বাচ্চাদের দাঁত আকৃতির বরফখন্ডটির আয়তন ছিলো প্রায় ১ হাজার ৬৩৬ বর্গকিলোমিটার। বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরে এই প্রথম মহাদেশটি থেকে এত বড় বরফখন্ড একসঙ্গে ভেঙে পড়েছে।

বুধবার (০২ অক্টোবর) বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৬০ এর পর থেকে বড় হিমশৈলগুলোর মধ্যে একটি দ্য অ্যামেরি আইস শেল্ফ। এটি অ্যান্টার্কটিকার তৃতীয় বৃহত্তম আইস শেল্ফ। ৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এর অবস্থান।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, দ্য অ্যামেরি আইস শেল্ফ থেকে সমুদ্রে পড়া বরফখন্ডটিকে স্কটল্যান্ডের আয়তনের সাথে তুলনা করা যায়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সমুদ্রে পড়া এই হিমশৈলের অবস্থান ও গতিপথ যদি পর্যবেক্ষণ না করা হয় তাহলে এটি জাহাজ চলাচলের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিজ্ঞাপন

কোন একটা সময় বরফখন্ডটি যে ভেঙে পড়বে এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই জানতেন। এ কারণে বিজ্ঞানীরা অ্যান্টার্কটিকার এই পূর্ব অংশটিতে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিলেও এখন এটাই সবচেয়ে বেশি ভেঙে সমুদ্রে পড়ছে।

এর আগে ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশানোগ্রাফির অধ্যাপক হেলেন ফ্লিকার এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন, আগামী ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে এটি সমুদ্রে হারিয়ে যাবে।

দেরিতে হলেও তার কথাই সত্য হলো। বরফখন্ডটি ভেঙে পড়ার পর তিনি বলেন, 'আমি এতদিন এটা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। আমরা জানতাম যেকোনো সময়ই এটা ভেঙে পড়তে পারে। কিন্তু আমাদের কোনোভাবেই এটা হতে দেওয়া যাবে না। যদিও অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো আরো অনেক বিষয় আছে। তাই এই আইস শেল্ফ নিয়ে সতর্ক কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার মতো তেমন কোনো কারণ নেই।'

এদিকে, স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অব ওশানোগ্রাফির গবেষকরা অনেকটা জোর দিয়ে বলছেন, এটার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই।