১০ বছর পর মিয়ানমারে চিকনগুনিয়া

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

১০ বছর পর মিয়ানমারে চিকনগুনিয়া রোগ ফিরে এসেছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে চিকনগুনিয়ার রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আর কারো চিকুনগুনিয়া ধরা পড়েনি।

মিয়ানমারের জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরে মিয়ানমারে ১০ বছরের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার প্রথম কেস পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এ বছর ডেঙ্গু জ্বরের মতো লক্ষণগুলোর সঙ্গে পরিচিত মশাবাহিত ভাইরাল রোগ চিকুনগুনিয়া রোগের উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য মিয়ানমারের গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিভাগের ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের কর্মকর্তা ডা. অং সোম জানিয়েছেন, মিয়ানমারে গত এক দশকে চিকুনগুনিয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ বছর বেশ কিছু রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি বৈঠকে চিকুনগুনিয়া মোকাবিলায় অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ বছর মিয়ানমারের জাতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষাগারে ৯৭ সন্দেহভাজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জন চিকুনগুনিয়া রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ রোগী নেপেডো, কাচিন রাজ্য এবং তানিনথারি অঞ্চল থেকে এসেছেন।

স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া মন্ত্রকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ রোগটি সাধারণত ২০ থেকে ৪০ বছর বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় এবং লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচণ্ড জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা। সেই সঙ্গে ফুসকুড়ি হতে পারে।

ডব্লুএইচও অনুসারে, চিকুনগুনিয়া প্রথম ১৯৫২ সালে দক্ষিণ তানজানিয়ায় প্রাদুর্ভাব হলে আবিস্কার হয়। আর এখন এটি আফ্রিকা, এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।