মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ সুমাত্রিয়ান পুরুষ গণ্ডারটি মারা গেছে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মারা যাওয়া পুরুষ গণ্ডার ট্যামের সঙ্গিনী রোসা/ ছবি: সংগৃহীত

মারা যাওয়া পুরুষ গণ্ডার ট্যামের সঙ্গিনী রোসা/ ছবি: সংগৃহীত

এক সময় পুরো এশিয়াজুড়ে দেখা মেলত বিভিন্ন প্রজাতির গণ্ডারের। কিন্তু সেই প্রাণীটি বন-জঙ্গল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে। বর্তমানে সারাবিশ্বে একশরও কম সুমাত্রিয়ান গণ্ডারের অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার বর্নিও দ্বীপের একটি সংরক্ষিত বনে বাস করা সর্বশেষ সুমাত্রিয়ান পুরুষ গণ্ডার ‘ট্যাম’ সোমবার (২৭ মে) মারা গেছে। মালয়েশিয়ায় বর্তমানে নারী গণ্ডার ‘ইমান’ এই প্রজাতির শেষ প্রাণী।

বিজ্ঞাপন

গত কয়েক দশক ধরে ক্রমাগত বন ধ্বংস ও শিকারের কবলে পড়ে বর্তমানে ৩০ থেকে ১০০টি গণ্ডারের অস্তিত্ব আছে বলে ধারণা করা হয়, যার অধিকাংশই সুমাত্রা দ্বীপের আশেপাশে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/28/1559063285825.jpg

সোমবার মৃত্যুবরণ করা ট্যামের বয়স হয়েছিল ৩০ অথবা তার বেশি, মালয়েশিয়ার সাবাহ স্টেটের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এটি বাস করত। ২০০৮ সালে সাবাহ’র একটি পাম ওয়েলের বাগানে টমকে প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়।

এই পুরুষ গণ্ডারের মাধ্যমে প্রজনন ঘটানোর জন্য দুটি নারী গণ্ডার আনা হয়। কিন্তু বহু প্রচেষ্টার পরও প্রাণিবিদদের প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি।

বর্তমানে বিশ্বে পাঁচ প্রজাতির গণ্ডার আছে। এর মধ্যে আফ্রিকায় দুই প্রজাতির আর তিন প্রজাতির এশিয়ায়। সুমাত্রিয়ান গণ্ডারের সাথে পশমাবৃত গণ্ডারের অনেক মিল আছে, যে প্রজাতিটি ১০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ট্যামের মৃত্যু ঘোষণা করে মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, ধারণা করা হচ্ছে গণ্ডারটি বয়স জনিত কারণে মারা গেছে। তারপরও ময়নাতদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
লন্ডন ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা সেভ দ্যা রিনু ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রধান নির্বাহী ক্যাথি ডিন বলেন, ‘ট্যামের মৃত্যুর পরও সেখানে সুমাত্রিয়ান প্রজাতির গণ্ডার বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/28/1559063309034.jpg

সুমাত্রিয়ান প্রজাতির গণ্ডারগুলোর জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যা হচ্ছে শিকারে পরিণত হওয়া আর আবাস্থল হারানো। কিন্তু এর চেয়েও বড় সমস্যা হলো তাদের প্রজাতির আলাদা আলাদা বাসস্থান।

ক্যাথি বলেন, ‘সুমাত্রিয়ান গণ্ডারগুলোর জন্য সত্যিই তাদের বাসস্থান টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। বন-জঙ্গল কমতে থাকায় তারা আবাস্থল হারাচ্ছে। একই প্রজাতির অন্য গণ্ডারগুলো একে অন্যের সাথে মেলামেশা করতে না পারায়, প্রজনন হচ্ছে না।’