কুর্দিদের লক্ষ্য করে ইরাক ও সিরিয়ায় তুরস্কের হামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

আঙ্কারায় মহাকাশ গবেষণা ও প্রতিরক্ষা কোম্পানির সামনে হামলার প্রতিবাদে ইরাক ও সিরিয়ায় কুর্দিদের লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তুরস্কের বিমান বাহিনী।

গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) এ হামলা চালানো হয়। এতে কুর্দি সশস্ত্রগোষ্ঠী পিকেকের অস্ত্রাগারসহ অন্তত ৪৭টি স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু বানায় তুর্কি গোয়েন্দা বাহিনী।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বেসামরিক ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ঠিক কোথায় হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি। হতাহতের বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার বলেছেন, তুর্কি বাহিনী উত্তর ইরাকে ২৯টি এবং উত্তর সিরিয়ায় ১৮টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্ব সিরিয়ায় তুর্কি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরোও ২৫ জন।

এরআগে গত বুধবার তুরস্কের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা কোম্পানির সামনে বন্দুকধারীদের হামলায় ৫ জন নিহত হন। আহত হন আরোও ২০ জনের বেশি মানুষ। এতে জড়িত থাকার বিষয়ে এখনো দায় স্বীকার করেনি কুর্দি বা অন্য কোনো গোষ্ঠী।

এরদোয়ান প্রশাসন বলেছে, ওয়াইপিজি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন যা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তারা রাজধানীর কাছে মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা কোম্পানির সামনে বিস্ফোরক বিস্ফোরণ এবং গুলি চালিয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া এক্স-এ বলেছেন, তুর্কি তদন্তকারীরা আক্রমণকারীদের একজনকে চিহ্নিত করেছে। মাইন সেভজিন আলসিসেক নামে একজন মহিলা তিনি পিকেকের সন্ত্রাসী, তার ছদ্ম নাম "রজার"।

বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে একটি প্রতিরক্ষা শিল্প মেলায় একটি স্মারক অনুষ্ঠানে গুলার বলেন, বিশ্বাসঘাতক সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো সদস্যই তুর্কি সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না।

হামলার জন্য পিকেকে দায়ী করে তিনি বলেন, শেষ সন্ত্রাসী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের অনুসরণ করব।

পিকেকে থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। কোনো গোষ্ঠী তুরস্কে হামলার দায় স্বীকার করেনি।