চীনের সামরিক মহড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকান্ডের কঠোর শাস্তি হিসেবে দ্বীপ দেশটির চারপাশে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) থেকে দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন ।

রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে নতুন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে বেইজিংকে ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এরপরই মধ্যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘চীনের এই ধরনের উদ্যোগ খুবই উদ্বেগজনক।’

কিন্তু, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বরাবরই দাবি করে আসছে, তাইওয়ান তাদেরই অঞ্চল এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপ দেশটিকে তাদের শাসনে নেবে বেইজিং।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ঘোষণা দিয়েছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মোকাবিলায় সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সামরিক যুদ্ধবিমান এবং নৌবাহিনীর জাহাজ তাইওয়ানের চারপাশে মহড়া দেবে।

চীনের সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তাইওয়ান খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথে তাদের বাহিনী মেতায়েন করেছে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধরনের অযৌক্তিক উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব কার্যকলাপ কেবলমাত্র আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকেই নষ্ট করবে।

মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের উপ-কমান্ডার সেক্লঙ্কা ক্যানবেরায় সাংবাদিক ও উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সত্য বলতে, এ রকম কিছু হবে তা আমরা প্রত্যাশা করছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চীনের কাছ থেকে এমন ব্যবহার প্রত্যাশা করেছি। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, আমরা এতে নিন্দা জানাবো না। আমাদেরকে প্রকাশ্যেই চীনের এই উদ্যোগের প্রতি নিন্দা জানাতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র এক চীনা নীতিতে বিশ্বাসী এবং তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও ওয়াশিংটন ও তাইপে’র মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।