ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিলেন ইমরান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন আইনের সংশোধনী সংক্রান্ত একটি মামলায় কারাগার থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের (১৬ মে) শুনানিতে প্রথমবারের মতো ভিডিও লিংকের মাধ্যমে শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

৭১ বছর বয়সি এই নেতার আদালতে উপস্থিতি শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে লাইভ স্ট্রিম করা হয়নি কিংবা দেশের নিউজ চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হয়নি।

ইমরানের শুনানি কেন নিউজ চ্যানেল বা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করা হয়নি সে সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আল জাজিরা তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এদিকে, শুনানি সম্প্রচারের অনুমতি না দেওয়ায় প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)।

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পিটিআইয়ের আমির মুঘল আল জাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের দল বিশ্বাস করে যে, দেশের প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ করছেন এবং তাদের লক্ষ্য হলো প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে পিটিআইকে স্তব্ধ করা।’

ইমরান ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পরপরই তার স্থলাভিষিক্ত সরকার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অর্ডিন্যান্স (এনএও) ১৯৯৯ সংশোধন করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) ক্ষমতা হ্রাস করে।

ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে, একজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তার বিচার অবশ্যই এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং সংস্থাটিকে গ্রেপ্তার করার আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

আইনের ওই সংশোধনীর পরে আদালত থেকে অন্তত ২২টি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেয় এনএবি।

সেসব মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে ছিলেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন ইমরান। ওই পিটিশনে তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রক্ষা করা এবং সংশোধনীর মাধ্যমে দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তিনি আদালতে ওই সংশোধনী বাতিলের আবেদন করেন।

শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি স্থগিত করেছে। ইমরান তার ভার্চুয়াল উপস্থিতির সময় কথা বলেননি।