বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলা থেকে মুক্ত কংগ্রেসের শিবকুমার

  • ziaulziaa
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযোগ খারিজ করে কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারকে মুক্তি দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের একটি মামলায় শিবকুমারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

শিবকুমারের বিরুদ্ধে ইডি বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) যে অভিযোগ এনেছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ তা খারিজ করে দের।

দুই বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে বলেছে, ‘আইনগত পদ্ধতি মেনে চার্জশিট দেয়নি ইডি।’ লোকসভা ভোটের আগে এই রায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

২০১৭ সালে আয়কর দফতর শিবকুমার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়া এবং হাওয়ালা লেনদেনের অভিযোগে বেঙ্গালুরুর একটি আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। এর ভিত্তিতেই টাকা নয়ছয়ের মামলাটি করেছিল ইডি।

কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শিবকুমার কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, কর্নাটক হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে গ্রেফতার করে ইডি।

ইডি সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কর্নাটকের সাবেক মন্ত্রী শিবকুমারের বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩০০ কোটির বেশি কালো টাকা উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর।

ঘটনাচক্রে, সেই সময়েই গুজরাতে রাজ্যসভার ভোটগ্রহণ চলছিল। গুজরাট কংগ্রেসের ৪৩ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরুর রিসর্টে এনে রেখেছিলেন শিবকুমার। সেখান থেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে যান তদন্তকারীরা।

কর্নাটকে বিজেপির বিকল্প হিসেবে এইচডি কুমারস্বামীর সরকার গড়ার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শিবকুমার। ইডির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সেই মামলার রায় তার পক্ষে গেল।