সংসদে বিরোধী আসনে বসার ইঙ্গিত ইমরানের দল পিটিআইয়ের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনই এখন একমাত্র পথ।

একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনই এখন একমাত্র পথ।

একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনই এখন একমাত্র পথ। এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের অবস্থানের সঙ্গে আপস করার বদলে বিরোধী দল হিসেবে সংসদে যাবেন তারা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।

গহর দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচনে অন্তত ৭০টি আসনের ফলাফল বিতর্কিতভাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলোর সমাধান করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে জয়ী ওয়াসিম কাদির পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এ যোগদানের খবর পেয়েছেন। তারা এটি দেখবেন। তবে ওয়াসিম কাদেরের সঙ্গে তাদের আপাতত কোনো যোগাযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন।

পিটিআইয়ের সমর্থন নিয়ে জয়ী অন্য সব প্রার্থী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন জানিয়ে ব্যারিস্টার গহর আলী খান বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন এবং থাকবেন। আমরা আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম যে কিছু সদস্য আনুগত্য পরিবর্তন করবে। তবে ওয়াসিম কাদিরের প্রতি আমাদের আস্থা ছিল জানান তিনি।

গহর আরও বলেন, ওয়াসিম খুব কঠিন সময়ে দলের পাশে ছিলেন। তবে একজন ব্যক্তি একটি দলের সমর্থনে জয়ী হয়ে অন্য দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া ভালো প্রথা নয়।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৪ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।