ইসলামিক বিশ্বের মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে বিশ্বব্যাপী এক সম্মেলনে যোগ দিতে নিজ দেশ পাকিস্তানে পৌঁছেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। নিজ দেশে পৌঁছেছে তিনি বলেছেন, "পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত, আনন্দিত ও অভিভূত।"
শনিবার (১১ জানুয়ারি) তিনি পাকিস্তানে পৌঁছে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। খবর এপি।
২০১২ সালে তিনি স্কুলে পড়ার সময় পাকিস্তানের তালেবান জঙ্গিরা তার স্কুলবাসের ভেতর তাকে গুলি করেছিলো। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে প্রাণনাশের ভয় থাকায় হাতেগোনা দু-একবার পাকিস্তানে গিয়েছেন।
রাজধানী ইসলামাবাদে সম্মেলনে আসার সময় তিনি বলেন, " পাকিস্তানে ফিরে আসতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত, আনন্দিত ও অভিভূত।"
ইসলামিক বিশ্বে নারীদের শিক্ষা নিয়ে দুই দিনব্যাপী ওই সম্মেলনে যোগ দিতে মুসলমান–অধ্যুষিত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা পাকিস্তানে এসেছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার সকালে সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন। স্কুলশিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ওই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
ইউসুফজাই আগামীকাল রোববার (১২ জানুয়ারি) শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "আমি মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অধিকার রক্ষার বিষয়ে কথা বলব। এবং কেন আফগান নেতারা তাদের দেশে নারী ও মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে বাধা দিচ্ছে সে বিষয়েও তালেবানদের জবাবদিহি করতে হবে।"
দেশটির শিক্ষামন্ত্রী খালিদ মকবুল সিদ্দিকী বলেছেন, আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি।
আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের এবং নারীদের স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ।
২০২১ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, তালেবান সরকার দেশটিতে ইসলামিক আইনের কঠোর সংস্করণ আরোপ করেছে যেটিকে জাতিসংঘ "লিঙ্গ বর্ণবৈষম্য" বলে উল্লেখ করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, পাকিস্তানের ২৬ মিলিয়নেরও বেশি শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে, যা বিশ্বে শিশুদের স্কুলে না যাওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যার মধ্যে একটি। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য।