অং সান সু চির বাড়ি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির পৈত্রিক বাড়ি নিলামে তোলার রায় দিয়ে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেয়। ঔপনিবেশিক আমলের এ বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়েই গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য দিতেন নোবেলজয়ী অং সান সু চি।

মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতী ও বার্তাসংস্থা রয়টার্সের পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়িটির আনুমানিক দাম ধরা হয়েছে ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এক সপ্তাহ পরই অং সান সু চির কারাবাসের ৩ বছর পূর্তি হচ্ছে যাচ্ছে। এ সময়ে জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালতের এ রায়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। রায় ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত সু চির আইনজীবীরা কারাবন্দী নেত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেননি।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুচির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। ওই সময়েই সু চিকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সুচিকে ৩৩ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নেপিদো কারাগারের নির্জন কক্ষে রয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাড়িটির মালিকানা নিয়ে সু চি ও তার বড় ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। এর আগে ২০০০ সালে সামরিক সরকারের সময়ে সু চির গৃহবন্দি থাকাকালীন তার ভাই উ অং সান উ বাড়িটির মালিকানা দাবি করে মামলা করেছিলেন। পরে আদালতে মামলাটি খারিজ হয়ে গেলে তিনি বাড়িটির যৌথ মালিকানা দাবি করে আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় ২০১৬ সালে ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত বাড়িটির অর্ধেক জমির মালিক অং সান সু চি ও বাকি অর্ধেক জমির মালিক তার ভাই বলে রায় দেয় আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে উ অং সান উ উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিলে তিনি বাড়িটি নিলামে তুলতে এবং মূল্যর একটি  নির্দিষ্ট অংশের দাবি করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট উ অং সান উর পক্ষে রায় দেয়।

অং সান সু চির এ পৈত্রিক বাড়িটি ইয়াঙ্গুনের ইনিয়া লেকের তীরে অবস্থিত। বাড়িটি মিয়ানমারের গণতন্ত্রের লড়াইয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক স্থান এবং জাতীয় প্রতীক হিসেবে পরিচিত।