ব্যাংককে ট্যাক্সি চালকের সততায় ১২ লাখ টাকা ফেরত পেলেন বাংলাদেশি

  • মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি পর্যটক জহিরুল ভাবেননি তিনি আর এই টাকা ফেরত পাবেন। কারণ সংখ্যাটা ১০ হাজার ৫০০ আমেরিকান ডলার, যা বাংলা টাকায় প্রায় ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও ছিল সাড়ে সাত হাজার ভারতীয় রুপি!

গত শনিবার ব্যাংককের এক ট্যাক্সিতে এই টাকা হারান তিনি। আর দয়ালু ট্যাক্সি ড্রাইভার টাকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক প্রো রেডিও স্টেশন এফএম৯১ তে কল দিয়ে জানান। এই ট্যাক্সি ড্রাইভারের নাম পরনসাক ফুনি। তিনি রেডিও স্টেশনে তাৎক্ষণিক ফোন দিয়ে জানান, তার ট্যাক্সির পেছনের সিটে একজন যাত্রী ওয়ালেট রেখে চলে গিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

যাত্রীর মানিব্যাগের ভেতর তিনি কিছু ছবি, ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে ১০ হাজার ৫০০ আমেরিকান ডলার, ৭ হাজার ৫০০ ভারতীয় রুপি, যা সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি টাকা খুঁজে পান।

আসলে আরেকজন যাত্রী যখন ট্যাক্সিতে উঠতে যায় তখনই প্রথম ওয়ালেটটি দেখতে পান পরনসাক। তখন তিনি স্মরণ করেন যে এর আগেই তিনজন বিদেশি পর্যটককে সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট থেকে ইন্ডিয়া এম্পোরিয়াম ডিপার্টমেন্ট স্টোরে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

গত সোমবার এমএম৯১ এর কর্মীদের উপস্থিতিতে রয়েল থাই পুলিশের হেডকোয়ার্টারে বাংলাদেশি পর্যটক জহিরুল ইসলাম মুন্সীর কাছে তার হারানো সম্পদ হস্তান্তর করেন পরনসাক।

বাংলাদেশি পর্যটক মুন্সী এই ঘটনায় প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, এফএম৯১ এবং ট্যাক্সি চালকের প্রতি আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি ভাবিনি মানিব্যাগ বা টাকা ফেরত পাবো। পরনাসাককে আমি ভাই হিসেবেই সম্বোধন করছি।

গত দশ বছর ধরে পরনসাক ব্যাংককে ট্যাক্সি চালান। তার পরিবার থাকে কালাসিন প্রদেশে। তিনি বলেন, যখনই তিনি যাত্রীদের রেখে যাওয়া কিছু ট্যাক্সিতে পান, তিনি ট্রাফিক রেডিও স্টেশনে জানান। যেন মালিককে তার জিনিস ফিরিয়ে দেয়া যায়।

পরনসাকের এই উদারতা ও সততা নেটিজেনদের বাহবা কুড়াচ্ছে।