মণিপুর ইস্যুতে প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ কামনা বিরোধী জোটের
ভারতের মণিপুরে চলমান সহিংসতা নিয়ে বিরোধীরা ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে ক্ষমতাসীনদের উপর।
তারই ধারাবহিকতায় মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বরাবর কড়া ভাষায় স্মারকলিপি পেশ করেছে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া।’
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল আজ বুধবার সাক্ষাৎ করে ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মণিপুরের শান্তি ফেরাতে এবার যেন খোদ প্রেসিডেন্ট হস্তক্ষেপ করেন।
উল্লেখ্য, সংসদ থেকে জাতীয় রাজনীতি-সব জায়গায়ই মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে ক্রমাগত কোণঠাসা করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
ইতিমধ্যেই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টও। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
গত মঙ্গলবার ভারতের প্রধান বিচারপতি মণিপুর সহিংসতা নিয়ে তদন্তের গতিকে 'অলস' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, উল্লেখযোগ্যভাবে ধীর গতিতে চলছে তদন্ত। তিনি সলিসিটার জেনারেলকে প্রশ্ন করেন যে, ৬৫০০টি এফআইআরের মধ্যে কতগুলো এফআইআর শারিরিক ক্ষতি, সম্পত্তি ধ্বংস, ধর্মীয় স্থান ও বাড়িঘর ভাঙচুর, খুন , ধর্ষণের মতো গুরতর অপরাধের নিরিখে দায়ের হয়েছে? মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত গতিতে করার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, বিরোধী জোটের পক্ষে মণিপুর ইস্য়ুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক তোপ দেগেছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত।' তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেতে পারেন, মণিপুরে যেতে পারেন না। শান্তি এবং আলোচনার মধ্যে দিয়ে সব কিছু সম্ভব হয়। প্রধানমন্ত্রী না পারলে আমাদের দায়িত্ব দিন। আমরা শান্তি ফেরাব মণিপুরে।'
অন্যদিকে, মণিপুর নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধীরা। মণিপুরে সহিংসতা নিয়ে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সংসদে আলোচনা হবে আগামী ৮ আগস্ট।