লকডাউন মানতে নারাজ অস্ট্রিয়ানরা, হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি : বিবিসি

ছবি : বিবিসি

অস্ট্রিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় পুরো দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। খবর আল-জাজিরা।

দেশটির অতি ডানপন্থী বলে পরিচিত ফ্রিডম পার্টির ডাকে স্থানীয় সময় শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ভিয়েনায় জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। পরে তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিজ্ঞাপন

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় শুক্রবার অস্ট্রিয়ায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ঘোষিত লকডাউন অন্তত ২০ দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আলেক্সান্ডার শ্যালেনবার্গ।

barta24

চ্যান্সেলরের এমন ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অস্ট্রিয়ানরা প্রতিবাদ জানাতে থাকে। পরে তারা শনিবার বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেয়। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে জনমত তৈরির কাজও শুরু করে।

পরে ক্ষুব্ধ অস্ট্রিয়ানদের সঙ্গে সহমত জানিয়ে শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় দেশটির অতি ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তারা বিক্ষোভ করেছে। ​তবে এ মিছিলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কোনো বাধা দেয়নি। ফলে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানান লকডাউনবিরোধীরা।র আগে শুক্রবার

শুক্রবার পশ্চিম অস্ট্রিয়ার একটি রিসোর্টে দেশটির ৯টি প্রদেশের গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে চ্যান্সেলর আলেক্সান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেছিলেন, ‌‌‌‘করোনা প্রতিরোধে সবাইকে টিকা নিতে হবে। আমরা করোনার চতুর্থ ওয়েভ চাই না। আমরা চিন্তা করছি, ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করে আইন করার প্রয়োজন হবে।’

barta24

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দেশটিতে ব্যতিক্রমধর্মী লকডাউন চালু করা হয়েছিল। সেসময় করোনার টিকা না নেওয়া নাগরিকদের লকডাউনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি। এর তিনদিন পরই পুরো দেশে লকডাউন ঘোষণা করে অস্ট্রিয়া সরকার।

এতে আরও বলা হয়, গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রতি এক লাখ নমুনা পরীক্ষায় ৯৯১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অস্ট্রিয়ার নাগরিকরা প্রথম থেকেই টিকাগ্রহণে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছেন।

ফলে ৮৯ লাখের বেশি মানুষের দেশটিতে টিকা নিয়েছেন মাত্র ৬৬ শতাংশ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন দেওয়া শেষ অবলম্বন বলে উল্লেখ করেছেন অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী উলফগ্যাং মাকস্টেইন