ভারতে দৈনিক সংক্রমণ নেমে এলো দেড় লাখে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ নেমে এলো দেড় লাখে

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ নেমে এলো দেড় লাখে

ভারতে করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এলো দেড় লাখে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও এক লাখ ৫২ হাজার ৭৩৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রায় ৫০ দিন পর ভারতে আক্রান্ত নেমে এলো দেড় লাখে। দেশটিতে মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৪ জন।

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও গত কয়েকদিনের তুলনায় কমেছে। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ১২৮ জন মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ১০০ জন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩১ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

মে মাসের শুরুতে ভারতে একদিনে ৪ লাখ ১৪ হাজার সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। যা একদিনে করোনা আক্রান্তে বিশ্বব্যাপী রেকর্ড সৃষ্টি করে। এতে করে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ব্যাপক তৈরি করে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতি দেখা যায়।

তবে ভারতে গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার নিম্নমুখী দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে গত শুক্রবার (২৮ মে) করোনা সংক্রমণ দুই লাখে নিচে নামে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মোট ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয়তে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও দুই লাখ ৩৮ হাজার ২২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৪২ জন।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থান।

তবে রাজ্যে রাজ্যে এখন করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় পর মহারাষ্ট্রের আক্রান্ত ২০ হাজারের নীচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬০০ জন। কর্নাটক এবং কেরলেও তা যথাক্রমে ২০ হাজার ৩৭৮ এবং ১৯ হাজার ৮৯৪ জন। দু’সপ্তাহেরেও বেশি সময় পর তামিলনাড়ুর দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৮৬৪ জন। অন্ধ্রপ্রদেশেও আক্রান্ত নেমেছে ১৩ হাজারের ঘরে। পশ্চিমবঙ্গে ১১ হাজারের ঘরে। ওড়িশাতেও দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে ১০ হাজারের কম। অসমে তা সাড়ে ৩ হাজারের কম এবং পঞ্জাবে তা আড়াই হাজারের আশপাশে।