ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনার ভারতীয় ধরনের (বি ১.৬১৭. ২) বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যকর। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের পরিচালিত এক গবেষণায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা কিংবা ফাইজারের টিকার দুই ডোজ ভারতীয় ধরনের বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশের ওপর কার্যকর। এছাড়া যুক্তরাজ্যের কেন্টে খোঁজ মেলা বি.১১৭ ধরনের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের দুই ডোজ টিকা ৮৭ শতাংশ কার্যকরী।

তবে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের তিন সপ্তাহ পরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৩ শতাংশ কার্যকর। এবং কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশ কার্যকার।

যুক্তরাজ্য সরকারের এ নতুন গবেষণা করা হয়েছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ভ্যাকসিনগুলি হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু রোধে কার্যকর।

এর আগে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা দাবি করেছিলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভিশিল্ড মাত্র ২১ দশমিক ৯ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর সব বয়সী মানুষের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর সবার মধ্যেই কিছুটা হলেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের তিন লাখ ৭০ হাজার সাধারণ জনগণের করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়। সংখ্যার দিক থেকে এখন পর্যন্ত এটি অন্যতম বৃহৎ পরিসরের একটি গবেষণা। তবে, এই গবেষণা নিয়ে এখনও অন্যান্য গবেষকেরা পর্যালোচনা করেননি কিংবা গবেষণাটি কোনো জার্নালে প্রকাশিতও হয়নি। অ্যান্টিবডি তৈরি এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে করোনার টিকার প্রভাব কেমন, তা ছিল এই গবেষণার দুটি দিক।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬৫ শতাংশ কমে গেছে।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের এপ্রিলের শুরুর দিকে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, টিকা নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর উপসর্গসহ করোনার সংক্রমণ ৭৪ শতাংশ কমেছে। এবং উপসর্গবিহীন করোনার সংক্রমণ কমেছে ৫৭ শতাংশ।

আর, যাঁরা ফাইজারের করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি কমেছে ৯০ শতাংশ। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ক্ষেত্রে একই হিসাব দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি দেরিতে শুরু হওয়ায় খুব অল্পসংখ্যক মানুষ এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পেরেছেন।