মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের অবশ্যই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিকে মুক্তি দিতে হবে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডমিনিক রাব একথা বলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সেনা-পুলিশের গুলিতে দুজন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পরদিন তিনি একথা বলেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে ‘একপেশে’ পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটিকে সম্মান জানাতে হবে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভে সবচেয়ে সহিংস ও রক্তক্ষয়ী দিন ছিল শনিবার। তার আগের দিন শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত এক নারী বিক্ষোভকারী মারা যান। মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সেটাই ছিল প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
ডমিনিক রাব শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক টুইটবার্তায় তিনি মৃত্যুর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস এবং মতবিরোধকে দমিয়ে রেখেছি তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
বিক্ষোভকারীরা তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি'র অন্য নেতাদের সাথে সাথে সু চিরও মুক্তির দাবি জানিয়েছে। অবৈধ ওয়াকি-টকি ব্যবহার এবং দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক আইন অমান্য করার অভিযোগে গৃহবন্দী রয়েছেন তিনি।
সামরিক বাহিনী অভিযোগ তুলেছে গত বছর যে নির্বাচনে এনএলডি জয় পেয়েছিল তাতে জালিয়াতি হয়েছে। তবে এর পক্ষে কোন প্রমাণ দেয়নি তারা।