দমননীতি উপেক্ষা করেও রাজপথে বিক্ষোভকারীরা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমননীতি উপেক্ষা করে দেশটির রাস্তায় আজও নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জারিরা জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করছে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করে। এসময় দু'জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন জীবনমরণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া যুবনেতা এস্টার জে নাও বলেন, আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সময়ই যদি রক্তপাত হয়, তাহলে আমরা তাদের (সেনাবাহিনী) দেশটি দখল করতে দিলে আরও অনেক কিছুই হবে।

গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের অসহযোগের ডাকে সাড়া দিয়ে শত শত সরকারি কর্মচারী রাজধানীতে মিছিল করেছেন। এতে যোগ দিয়েছেন চিকিৎসক, শিক্ষক, রেলকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গতকাল নেপিডোতে বিক্ষোভকালে পুলিশের গুলিতে আহত এক বিক্ষোভকারীর অবস্থা গুরুতর। এক চিকিৎসক বলেছেন, এই বিক্ষোভকারীর মাথায় আঘাত রয়েছে। তার বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গুরুতর আহত এই বিক্ষোভকারী একজন নারী।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, এক্স-রে করে দেখা গেছে, এই নারী বিক্ষোভকারী গুলিতে আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত ব্যক্তিদের তাৎপর্যপূর্ণ পরিণতির মুখোমুখি করতে তারা কাজ করছে। মিয়ানমারকে করা সহায়তার বিষয়টি তারা মূল্যায়ন করছে।

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য জনগণের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অং সান সু চিসহ দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির লাখো নাগরিক বিক্ষোভ শুরু করেন। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এদিন বিক্ষোভে বৌদ্ধভিক্ষুরাও যোগ দেন।

এদিকে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এ ভাষণে শিগগিরই নতুন নির্বাচন আয়োজন করে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির বর্তমান শাসক ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ মানুষ যখন ক্রমেই কঠোর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে, তখনই এমন ঘোষণা দিলেন মিন অং।