মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

১৬ কোটি মানুষের খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা পাশ কাটিয়ে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের বন্যায় দেশটিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং ত্রাণ কার্যক্রমে প্রায় শূন্য হয়ে গেছে চালের মজুদ। ফলে বাজারে চালের মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাই ক্ষয়িষ্ণু মজুদ পুনরায় পূরণ করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার জন্য মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ এবং বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে দেশ দুটিতে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ অংশ ২০১৫ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়েছিল সামরিক নেতৃত্বাধীন একটি গণহত্যার কারণে যা মিয়ানমার অস্বীকার করেছে।

মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বাংলাদেশ সরকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তির (জি-টু-জি) মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে চাল ক্রয় করবে। এই চুক্তির আওতায় চালের মূল্য, বাণিজ্য বীমা ও আন্তঃপরিবহনসহ সব খরচ হিসেবে প্রতি টন চাল কিনতে ৪৮৫ মার্কিন ডলার পড়বে। চাল আমদানির মুল লক্ষ্য দাম স্থিতিশীল রাখা।

খাদ্য সচিব আরও জানান, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সরকারিভাবে ১ কোটি টন এবং বেসরকারি আমদানিকারকগণ আরও এক কোটি টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। শিগগিরই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং পর্যায়ক্রমে এপ্রিলের মধ্যে চাল সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।

খাদ্যসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ভারত থেকেও দেড় লাখ টন চাল কিনছে।

সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে চাল আমদানির বিষয়ে আলোচনা করছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী। দেশটি প্রতি বছরে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদন করে যার প্রায় সবটায় মানুষের খাবারে শেষ হয়। কিন্তু বন্যা, খরা দ্বারা সৃষ্ট সংকট সহ্য করতে এখনই চাল আমদানির প্রয়োজন।