বোস্টনে কলম্বাসের ভাস্কর্য ভাঙচুর!

  • নিউ ইয়র্ক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তিটির মাথা ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষোভকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মূর্তিটির মাথা ভেঙে ফেলেছেন বিক্ষোভকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে আমেরিকা আবিষ্কারক হিসেবে খ্যাতি পাওয়া ক্রিস্টোফার কলম্বাসের একটি ভাস্কর্য ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলমান বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বুধবার (১০ জুন) বোস্টন শহরের আটলান্টিক এভিনিউয়ের ক্রিস্টোফার কলম্বাস পার্কের ওই ভাস্কর্যটির মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলটিকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে চিহ্নিত করে রাখে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর আমেরিকা আবিষ্কার করেন ইতালীয় নাগরিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস। স্পেনের তৎকালীন রানির অর্থানুকূল্যে এ ভূখণ্ডে আসেন তিনি। তবে আমেরিকার আবিষ্কারক হিসেবে কলম্বাসের ভাবমূর্তি যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে। সমালোচকদের অনেকেই তাকে আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের হোতা এবং স্থানীয় আদিবাসীদের ওপর গণহত্যার অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

দেশটির মিনেসোটার শেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুকে ঘিরে দেশব্যাপী চলমান বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের সময় কলম্বাস বিরোধী মনোভাব জোরালো হয়েছে। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে তার একটি ভাস্কর্যে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুন) রাতে ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ভাস্কর্যটি লেকের পানিতে ফেলে দেয় তারা।

বোস্টন শহরে আক্রান্ত হওয়া কলম্বাসের ভাস্কর্যটি এর আগেও আক্রান্ত হয়েছে। ২০০৬ সালেও একবার ভাস্কর্যটির মাতা ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভাস্কর্যটির গোড়ায় লিখে দেওয়া হয় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার।

উল্লেখ্য, ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় পুলিশ অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা করছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। হত্যার দ্বিতীয় দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। এরপর বিশ্বজুড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নামে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

বিক্ষোভটি যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে ৪০টি শহরে।