দুবাইয়ে ৫১ বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান

  • করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩।

পৃথিবীর অন্য দেশকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সধারী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ও সিআইপি সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি।

বিশেষ হিসেবে উপস্থিত অতিথি ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জাসাল হেসেন, আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মান-সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আজকে ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে যে, আমরা বৈধপথে দেশে টাকা পাঠাবো ও সেইসঙ্গে মান-সম্মান গ্রহণ করবো। সেইসঙ্গে সম্মানের অধিকারী হবো। বৈধপথে টাকা পাঠালে প্রত্যেক স্তরে সম্মানিত হবো।

এ সময় তিনি প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জোরালো আহ্বান জানান।

দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, বিগত অর্থবছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হয়েছে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আগামী অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ চার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের আয়োজনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো ৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছেন- নিম্ন বেতনধারী, উচ্চ বেতনধারী, প্রবাসী ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও প্রবাসী সাংবাদিক। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে নির্বাচিত ৭৫ জন সিআইপিকে সংবর্ধিত করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট সাধারণ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।