কর্মী-ক্যাশিয়ার ছাড়াই চলছে শপিং মল!

  • তোফায়েল পাপ্পু, সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নিরাপত্তা রক্ষী, কর্মী-ক্যাশিয়ার ছাড়া চলছে পুরো একটা শপিং মল! অবাক লাগতে পারে, এটা কী ভাবে সম্ভব? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের কোনও দেশ নয়। কর্মীবিহীন এমনই অদ্ভুত শপিং মল রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় রাজ্য দুবাইতে।

সুন্দর সাজানো-গোছানো অদ্ভুত এক শপিং মল। নেই কোনও বিক্রেতা বা ক্যাশিয়ার। দিব্যি সেখানে ঢুকে নিজের ইচ্ছে মতো জিনিস ক্রয় করছেন ক্রেতারা। তারপর দাম মিটিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে চলে আসছেন সেখান থেকে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে দুবাই শহরের প্রাণকেন্দ্রে দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্ব বিখ্যাত শপিং মলটির উদ্বোধন করে স্থানীয় প্রশাসন। যার নাম দুবাই মল নামে পরিচিত। ওই মলে কর্মী না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার খামতি রাখা হয়নি। রয়েছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া বিশেষ একটি অ্যালার্ম সিস্টেম রাখা হয়েছে সেখানে।

কিন্তু কী ভাবে ক্যাশিয়ার ছাড়া চলছে গোটা শপিং মল? এর জন্য অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম সেখানে ইনস্টল করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে দাম মেটাতে জিনিসপত্র কেনার পর একটি নির্দিষ্ট যন্ত্রের সামনে চলে যান ক্রেতারা। সেখানে প্রথমে নিজের মোবাইল নম্বর দেন তাঁরা। এর পর সমস্ত জিনিস একটি ট্রেতে তুলে দিতে হয়। মেশিনটি নিজে থেকেই জিনিসগুলির দাম দেখে নেয়। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে ক্রেতার মোবাইল ফোনে আসে এসএমএস। সেখানেই কত টাকা মেটাকে হবে, তা পরিষ্কার করে লেখা থাকে।

বিজ্ঞাপন

এর পর দাম মেটানোর বিষয়টিও একা একা করতে হয় ক্রেতাকে। ওই মেশিনেই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করতে হয় তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিলের টাকা কেটে নেওয়া হয়। এরপর জিনিসপত্র নিয়ে মল থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এবার এই পদ্ধতিতে আরও কিছুটা বদল আনতে চলেছে আমিরশাহী প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমিরশাহীতে টচ পদ্ধতি চালু হয়ে গেলে এই ধরনের শপিং মলগুলিতে দাম মেটানো আরও সহজ হয়ে যাবে। তখন বিলের টাকা এসএমএস হিসেবে এলেই তা মোবাইল থেকেই মিটিয়ে দিতে পারবেন ক্রেতারা। এর জন্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করতে হবে না তাঁদের।