সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫ বছর মেয়াদী গ্রিন ভিসা চালুর ঘোষণা

  • সংযুক্ত আরব আমিরাত (দুবাই) থেকে তোফায়েল পাপ্পু
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আরবের দাস প্রথা থেকে বেরিয়ে ক্রমবর্ধমান সেক্টর নিয়ে কাজ করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে শ্রমিকদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিক এবং ফ্রিল্যান্সারদের আকৃষ্ট করতে পাঁচ বছর মেয়াদী গ্রিন ভিসা চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এই ভিসার মাধ্যমে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন  শ্রমিকরা সহজেই আমিরাতে থাকতে পারবেন। আবুদাবি রেসিডেন্স অফিসের তথ্য মতে এই ভিসার মাধ্যমে বিশ্বের দক্ষ ব্যক্তিরা নিজেরাই নিজেদের স্পন্সর করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আমিরাতে থাকার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে কাজ করার বিষয়টি দূর হবে। গ্রীন ভিসার মাধ্যমে আমিরাতে দীর্ঘ সময় থাকা ছাড়াও আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা মিলবে যেগুলো সাধারণ রেসিডেন্স ভিসাতে পাওয়া যায় না। সুবিধা গুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রিন ভিসাধারী ব্যক্তি তার ২৫ বছরের বয়সের ছেলে অবিবাহিত মেয়েদের আমিরাতে আনার ক্ষেত্রে নিজেরাই স্পন্সর করতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী আমিরাতে কাজের ধরনকে ৯টি লেভেলে ভাগ করা হয়েছে।  আবুধাবি রেসিডেন্স অফিসের তথ্য অনুযায়ী যদি কোন দক্ষ শ্রমিক গ্রীন ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে ওই আবেদনকারীকে অবশ্যই আমিরাতে নির্ধারিত নির্ধারিত কাজের ৯টি লেভেলের মধ্যে ১ম ২য় অথবা ৩য় অবস্থানে থাকতে হবে। এছাড়াও দক্ষ শ্রমিক যারা গ্রিন ভিসার জন্য আবেদন করতে আগ্রহী তাদের আমিরাতে কমপক্ষে ১৫ হাজার দিরহাম বেতনের চাকুরি পেতে হবে এবং  ঐ চাকুরির প্রমানপত্র দেখাতে হবে। এছাড়ও ঐ বিশেষ খাতে স্মাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান।

বিজ্ঞাপন

ফেডারেল অথোরিটি ফর আইডেন্টিটি সিটিজেনশিপ কাস্টমার এন্ড পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি এই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়াও কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে ফ্রিল্যান্সাররাও গ্রিন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে মানব সম্পদ এবং এমিরাটাইজেশন মন্ত্রনালয় থেকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনুমতি নিতে হবে। নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্মাতক বিশষ ডিপ্লোমা বা এর সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে এবং গত দুই বছরে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কমপক্ষে তিন লাখ ৬০ হাজার দিরহাম বা এর সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আয় থাকতে হবে। অথবা গ্রিন ভিসা পাওয়ার পর আমিরাতে থাকার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক স্বচ্চলতা আছে এমন প্রমানপত্র দেখাতে হবে। আমিরাতে গ্রিন ভিসা চালুর ঘোষনা দেয়ার পর দেশটিতে দক্ষ শ্রমিকেরা এই ভিসার আবেদন করার জন্য ব্যপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।