‘বাংলাদেশ বিশ্বের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে’

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তি ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে বাকি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।

শনিবার (১ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। সূত্র: বাসস

জুলিয়েটা নয়েস তার বক্তব্যে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানে বাংলাদেশি নেতৃত্ব ও উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, ‘২০১৭ সালে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যা থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে এসেছিল এবং বাংলাদেশ তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের সাহায্যের হাত ও হৃদয় উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বন্ধুত্বের অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা জোরদার করেছে। দুই দেশ অভিবাসীদের এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক সংযোগের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

‘দুই দেশ বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিরক্ষা ও উন্নয়ন অংশীদারত্ব আরও জোরদার করছে। আমি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটে একক বৃহত্তম দাতা দেশ।’

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী, যাতে তারা স্থানীয় সম্প্রদায়ের চাহিদা মেটাতে ও রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানকে এগিয়ে নিতে পারে।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অংশীদার মনে করে এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

ভার্জিনিয়ার স্টেট সিনেটর জে চ্যাপম্যান পিটারসেন, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।