ভেনিসে বাংলা স্কুলের একুশ উদযাপন

  • ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভেনিসে বাংলা স্কুলের একুশ উদযাপন

ভেনিসে বাংলা স্কুলের একুশ উদযাপন

ইতালির ভেনিস বাংলা স্কুলের অনুষ্ঠান মানেই কচি-কাচাদের আসর। এবারের একুশের অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অভিবাসী শিশু কিশোর, অভিভাবক এবং কম্যুনিটির বিশিষ্ট মানুষদের উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপস্থিত সকলে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময়ে দাঁড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান জানান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ভেনিসের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মেসত্রের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম নাইন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ছ'টায়। একুশের গান, দেশের গান, কবিতা, নৃত্য শেষে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা স্কুলের জমকালো এই একুশ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন, বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন, ভেনিসের সাবেক সংসদ সদস্য নিকোলা পেল্লিকানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্কুল কমিটির উপদেষ্টা পলাশ রহমান ও নাজমুল আলম খন্দকার রিপন।

‘বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস মানে পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি সম্মান জানানো’ উপপাদ্যে বক্তৃতা করেন স্কুলের সিনিয়র সহসভাপতি এমডি আকতার উদ্দিন, সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মাদ সোহেল মিয়া, শাহাদৎ হোসেন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আফাই আলি, শহিদুল ইসলাম সুজন, ফকরুল ইসলাম চৌধুরী, সুমন সরকার, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ বছর যাবৎ পরিচালিত ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে কম্যুনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগ দেন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন শেকড়ের সাথে জুড়ে থাকতে।

ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠান একটু ব্যতিক্রম ভাবে সাজানো হয়। প্রতি অনুষ্ঠানেই কিছু না কিছু নতুনত্ব দেয়া হয়। আর এই নতুনত্ব নতুন ঢঙে যারা তুলে ধরেন তারা হলেন- উপস্থাপিকা ও স্কুলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী এবং কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মাদ আসিক।

বাংলা স্কুলের শিশু কিশোরদের শ্রেণি মতো বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের পাঠদান, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির তালিম দেন তিনজন শিক্ষিকা- সুরাইয়া আক্তার, দিলরুবা জামান ও মেহেরুন নেছা মলি। তাদের অক্লান্ত সাধনার ফলে প্রবাসী শিশু কিশোররা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে। দেশ চেনে, দেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচিত হয়। সুতরাং তাদের তিনজনকে বিশেষ এওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে আলাদাভাবে সম্মান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে একুশের কবিতা, গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।