ভাষা শহীদদের স্মরণ করল বৃহত্তর চীন শাখা আ.লীগ

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বৃহত্তর চীন শাখা গুয়াংজু শহরের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বিশেষ মোনাজাত ও কুরআন তিলাওয়াতের আয়োজন করে।

এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘প্রজন্মের প্রতি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভারও আয়োজন করে সংগঠনটি। ভার্চুয়াল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বৃহত্তর চীন শাখার সভাপতি যাদব দেবনাথ।

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত চীন আওয়ামী লীগের নেতারা প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে জাতীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। দিবসটিতে আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচিও পালন করে সংগঠনটি।

আলোচনাসভায় দলটির সাবেক আহ্বায়ক ও উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তরুণ কান্তি দাস বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখ এলেই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও মৌলিক অর্থ বিশ্লেষণ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই আবদ্ধ রাখি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই দিনভিত্তিক চর্চার গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মুজিব মানেই যেমন বাংলাদেশ, তেমনি ২১শে ফেব্রুয়ারি মানেই বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ে মাথানত না করা। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা ও স্বপ্ন দেখার ভাষা। পৃথিবীতে ভাষার অধিকার আদায়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের একটাই মাত্র নজির। ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে বিশ্বে এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

দলটির সাধারণ সম্পাদক জসীম হোসাইন বলেন, ‘আগে মাতৃভাষার গাঁথুনি, পরে অন্য ভাষার ব্যবহার। বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষীর শিক্ষার মান উন্নত হয়েছে, বাংলাদেশ আজ জাতির পিতার জেষ্ঠ্য কন্যার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বিশ্বে উন্নয়নের এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

সহসাধারণ সম্পাদক মামুন শিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক খাজা আহমেদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলকে আবারও সরকার গঠনের ও নিশ্চিত জয়ের পথ প্রশস্ত করতে যা যা করণীয় সকল মুজিব সৈনিকদের সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ৭১ এর প্রেতাত্মারা এখনও বিভিন্ন উপায়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা ফরিদ উদ্দীন, সিনিয়র সহসভাপতি মহসীন ইমাম চৌধুরী রুনু, রনি, এবিএম মুজিব সানি, অমিতসহ অন্য নেতারা এবং বাংলা ভাষার বহুল ব্যবহার ও ডিজিটালি আধুনিকরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তাঁরা।