বাংলাদেশ দূতাবাস সুইডেনে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

  • প্রবাস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ দূতাবাস সুইডেনে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

বাংলাদেশ দূতাবাস সুইডেনে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে স্টকহোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার সকালে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং কাউন্সেলর আমরিন জাহানের উপস্থাপনায় বিকালে একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য নিয়ে মুক্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সুইডেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় দূতাবাস মিলনায়তনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ- এবং সমবেতকণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।

এরপর দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ এবং উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তাগণ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আগত অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।


বক্তারা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে এ দিনটির গুরুত্ব, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অমর একুশের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় ভাষাশহীদদের অবদান, ভাষা আন্দোলন ও তৎপরবর্তী সব আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, একুশ আমাদের জাতীয় মুক্তির চেতনার উৎস হিসাবে কাজ করেছে এবং আমাদের মহান একুশ আজ স্বদেশের আঙিনা পেরিয়ে বৈশ্বিক চেতনায় পরিণত হয়েছে। মাতৃভাষার শক্তি বাড়িয়ে জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, শিক্ষা-সংস্কৃতিতে নতুন শতকের জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করা এবং জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রয়োগ বৃদ্ধিতে সাধ্যমত প্রয়াস চালানোর জন্য রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে আহবান করেন। মাতৃভাষার পরিচর্যা করার পাশাপাশি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মাতৃভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারেও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার জন্য আত্মত্যাগের চেতনাকে সবার মধ্যে সঞ্জীবিত করার মধ্যেই নিহিত আছে এই মহান দিবসের সার্থকতা। সবশেষে একুশের চেতনাকে উপজীব্য করে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।