শনিবারে জেনে নিন, শনির দশায় কি হতে পারে
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে রাশিচক্রে শনির গতি সবচেয়ে ধীর। তাই শনিকে বিলম্বকারক গ্রহ বলা হয়ে থাকে। যদি কোনো ব্যক্তির জন্মছকে, শনিগ্রহ বিশেষভাবে থাকে তখন হওয়া কাজও ভেস্তে যেতে পারে অথবা কাজ দেরিতে সম্পন্ন হবে। তাই কিছুক্ষেত্রে দুঃখ, দুর্দশা, ভুল বোঝাবুঝি ইত্যাদির জন্য শনিগ্রহকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
জন্ম থেকে মৃত্যু -এই মধ্যবর্তী সময় তিনবার শনির কোপ বা দৃষ্টিতে পড়তে হয়। শনির তিনবারের দৃষ্টির মধ্যদিয়ে তৃতীয়,সপ্তম এবং দশম দশার প্রভাব পড়ে থাকে। এরমধ্যে শনির সাড়েসাতি দশা সবচেয়ে জোরালো ধরা হয়। এই সময় যখন যার রাশির উপর দিয়ে শনি অতিক্রম করে তখন সমস্যা সৃষ্টি করবেই। ওই সময় আপনার জীবনে নানান ওতোল-পাতোল ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে শনি যদি একা আপনার রাশিতে প্রভাব বিস্তার করে তখন শুভগ্রহ হিসেবে দারুণ ভালো ফল প্রদান করে থাকে। আবার শনি আপনার রাশিচক্রের চতুর্থস্থানে থাকে তখন আয়ু বৃদ্ধি করে। দশমে অবস্থানে করলে আপনার কর্মভাগ্য সদয় হবেই। ফলে জ্যোতিষ মতে শনিগ্রহকে কর্মফল দাতাও বলা হয়ে থাকে।
মনে রাখবেন, শনি কাউকে কিছু দেয়ও না, আবার কিছু কেড়েও নেয় না। আপনার কর্মযোগের ভিত্তিতে, ফল প্রদান করে থাকে। তাই শনি যেমন ফকির করে দিতে পারে আবার রাজাও করে দিত পারে। জেনে নিন শনি গ্রহের প্রভাবে আপনার যা হতে পারে।
* শনি খারাপ দিকগুলি সর্বদা প্রভাবিত করে। সাড়েসাতির সময় তা সবচেয়ে প্রকটভাবে সামনে চলে আসে। তবে তা জাতকের বয়সের উপর অনেকটা নির্ভর করে।
* শনির সবচেয়ে অপছন্দের ব্যাক্তি হলো দু-মুখো ব্যক্তি। যারা অন্যায় করে তাদের শনির কোপে পড়তেই হবে। তবে যারা ধর্ম এবং ন্যায়ের পথে চলে তাদের ওপর শনির শুভ কৃপাদৃষ্টি সর্বদা বিরাজ করে।
* যে ব্যক্তির মধ্যে শনির প্রভাব বেশি থাকে তাকে বহু সংগ্রাম করতে হয়। এমনকী, শূন্য থেকেও শুরু করতে হতে পারে। শনির প্রভাবে দাম্পত্য এবং সন্তান ভাগ্য সুখী হলেও বাস্তবে তারা একাকীত্বে ভোগেন।
* এই গ্রহের খারাপ প্রভাব যদি একটু বেশিই থাকে তাহলে তাকে কঠিন কর্মনিষ্ঠ হতে হয়।
* শনির প্রভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে রক্তপাত না হলেও ভেতরে কোনো আঘাত পাবে, যা তাকে দীর্ঘদিন ভোগাবে।
* শনির প্রভাব বেশি থাকলে ৩৫বছর বয়সের আগে তার ভাগ্য সদয় হয় না বললেই চলে। এই বয়সে পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে সৌভাগ্যে মুখ দেখতে পাওয়া যায়।
শনির প্রভাবিতরা বেশিরভাগ সময় চুপ থাকেন, আর কিছু বললে, কঠিন সত্য মুখ থেকে বের হয়।