নিরাময় অযোগ্য সময়ে কষ্টহীন মৃত্যুর সমাধান

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী

প্রতীকী

পৃথিবীতে লাখো মানুষ অসহনীয় ব্যথা ও যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। নিরাময়-অযোগ্য মৃত্যুপথযাত্রীদের জীবনের শেষ দিনগুলো মমতায় ঘিরে রেখে কষ্টহীন মৃত্যু নিশ্চিত করার সেবা বিশ্বজুড়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নামে পরিচিত।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়ে, সারা বিশ্বে গড়ে ওঠা সম্পূরক ধারা প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবার মাধ্যমে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের ব্যথা-যন্ত্রণা এবং বিভিন্ন উপসর্গ প্রশমনে ওষুধ সরবরাহ, ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়ে স্বস্তিতে শেষ নিঃশ্বাস নিতে সহায়তা করা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

আগামী ১২ অক্টোবর সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস’ পালিত হবে। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ) প্রতি সুদৃঢ় অবস্থানে সম্মান জানিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে প্রশমন সেবাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমার যত্ন, আমার অধিকার’।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের সুপারিশ সমূহের অধ্যাদেশ ৫৪.৬ অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল ধারায় ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’কে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশে স্বাক্ষরকৃত রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ রোগীর প্যালিয়েটিভ চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন পড়ে। বাস্তবতায় ক্যান্সার ব্যতীত অন্যান্য নিরাময় অযোগ্য জীবন সীমিত রোগগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে এবং রোগ নির্ণয় সময় থেকে এর প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিলে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি হয়ে দাঁড়াবে।

২০১৫ সালে ‘দি ইকোনমিস্ট’ নামক সাময়িকীতে বিশ্বের ৮০টি দেশের ‘মৃত্যেুর গুণগত মান’ নিয়ে একটি গবেষণা সমীক্ষায় বাংলাদেশের স্থান ছিলো ৭৯তম। সম্পূর্ণ গবেষণাটি একটি দেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ার-এর প্রযোজনীয় প্রাপ্যতার ওপর পরিচালিত হয়েছিল।