বিজয়ের মাসে মরণোত্তর দেহদান করলেন সাংবাদিক দম্পতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিক দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত

মরণোত্তর দেহদানের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করেছেন সরকার নিবন্ধিত আইপি টেলিভিশন জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক, সংগঠক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এফ এম শাহীন এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডটনেট-এর সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি। সম্পর্কে তারা দু'জন স্বামী-স্ত্রী।

১৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে এফ এম শাহীন জানান, আমরা গত সপ্তাহে দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। গতকাল প্রাপ্তিস্বীকার পত্র পেয়েছি।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি'র অধ্যাপক এবং এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. লায়লা আনজুমান বানু স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি পেয়েছেন তারা। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'জন্মসূত্রে তিনি একজন বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও বাসিন্দা। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ, শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং/অথবা চিকিৎসায় যেকোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহারের জন্য অঙ্গীকার করেছেন।'

চিঠিতে আরো লেখা হয়, 'তাঁর অঙ্গীকার সংক্রান্ত সমুদয় কাগজপত্র এনাটমি বিভাগ কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করছে এবং মৃত্যুর পর মরদেহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সার্বিক পরিচ্ছন্নতা, পবিত্রতা ও সম্মান নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মরদেহের যথোপযুক্ত ব্যবহারের পর সেটির যথোচিত সৎকারের বিষয়েও সর্বাধিক যত্ন ও সতর্কতা নিশ্চিত করা হবে।'

বিজ্ঞাপন

এফ এম শাহীন ও বাণী ইয়াসমিন হাসি'র গ্রামের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায়। মরণোত্তর দেহদান সম্পর্কে এফ এম শাহীন বলেন, আমরা আরো আগে মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবং আমরা বিজয়ের মাসে কাজটি করতে চেয়েছিলাম। বিজয়ের মাস বেছে নেয়ার কারণ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ পূর্বসূরিরা জীবন দিয়ে দেশটাকে অর্জন করেছেন। তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই আমাদের বিজয়ের মাস বেছে নেওয়া। ঠিক আমাদের মৃত্যুর পর আমাদের দেহটা যেন দেশের কাজে লাগে, চিকিৎসা, গবেষণা বা অন্য কেউ যদি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে ভালো থাকতে পারে সেজন্যই আমাদের এ উদ্যোগ নেয়া।

এদিকে, গত ১৩ নভেম্বর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বাণী ইয়াসমিন হাসি লিখেন, 'সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মরণোত্তর কিডনি এবং লিভার ডোনেট করে যাবো। এর আগে সন্ধানীতে চোখ দিয়েছি। আমি থাকবো না কিন্তু আমার কিডনি আর লিভার দিয়ে ৪টা মানুষ নতুন জীবন পাবে। আমার চোখ দিয়ে ২টা মানুষ তার প্রিয়জনকে দেখবে।