এসিল্যান্ডের শখের বাগান

  • এস এম জামাল,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

খুব বড় পরিসর নয়। কিন্তু অল্প পরিসরে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের ফুল আর সবজি। হাতের নিপুণ ছোঁয়া আর মমতায় গড়ে তোলা বাগানটি দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। চারপাশের কলহের ভিড়ে এক প্রশান্তির অনুভূতি জাগে হৃদয়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548647466901.jpg

বিজ্ঞাপন

নিজ অফিসের আঙ্গিনার চারপাশের পরিত্যক্ত জায়গায় এমনই এক বাগান গড়ে তুলেছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুছাব্বিরুল ইসলাম।

শখ থেকে বাগানটি গড়ে তুলেছেন তিনি। তবে পরিত্যক্ত এ জায়গায় আগের কর্মকর্তা এটিকে ফুল ও সবজি বাগানে রূপ দেয়। পরবর্তীতের বর্তমান উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুছাব্বিরুল ইসলাম নিজেই দেখভালো করছেন বাগানটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548647488019.jpg

ফরমালিন আর নানা ভেজালের ভিড়ে এখন বাগানটিই হয়ে উঠেছে তার পরিবারের বিশুদ্ধ ও টাটকা শাক-সবজির প্রধান উৎস।

সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুছাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শখে এই সবজির চাষাবাদ করছি। এতে করে ফরমালিনমুক্ত খাবার খেতে পারি। পাশাপাশি ফুলের সমাহারে এই বাগানকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/28/1548647505421.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘সবার বসতভিটার আশপাশে পরিত্যক্ত জায়গা রয়েছে। একটু উদ্যোগী হলে এ থেকে পরিবারের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়া সম্ভব।’

ভূমি অফিসের এই বাগানে রয়েছে ফুল-ফল আর সবজি মিলিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ভূমি অফিসের আঙ্গিনায় স্বল্প পরিসরের বাগানে এতো প্রজাতির গাছ, সত্যিই অবাক হওয়ার মতোই।

এই বাগানে রয়েছে লালশাক, পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি এবং ব্রুকলির মতো শাক সবজি।

এছাড়া ফুলের মধ্যে রয়েছে তিন প্রজাতির গোলাপ, গাঁদা, রঙ্গনা, কচমচ, গন্ধরাজ, পাথরকুচি, পাতা বাহার ও ডালিয়া।

প্রায় দিনই বাগান পরিচর্চার কাজে নেমে পড়েন তিনিসহ অফিসের স্টাফ। মূলত হুমায়ুন কবির নামের স্টাফই এর দেখভাল করে থাকেন।

হুমায়ুন কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার সাথে আমার অন্যান্য সহকর্মী মুক্তার, আনিস, রনজিত ও খোকন সময় করে অফিসিয়াল কাজ শেষে এই বাগানের যত্ন নিয়ে থাকি।