এই গ্রীষ্মে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিলো বরুণ ধাওয়ান-নাতাশা দালাল ও আলি ফজল-রিচা চাড্ডার। কিন্তু করোনা আতঙ্কে বলিউডের এই দুই অভিনেতাই পিছিয়ে দিয়েছেন তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান।
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিলো বরুণ-নাতাশার। কিন্তু এবার সেটি পরিবর্তন করে বিয়ের ভেন্যু ঠিক করা হচ্ছে মুম্বাইয়ে।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে বরুণের একটি ঘনিষ্ঠসূত্র বলেন, ‘থাইল্যান্ডের একটি আইল্যান্ডে বরুণ-নাতাশার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি আর হচ্ছে না। বিয়ের অনুষ্ঠান এখন হবে মুম্বাইয়ে। তবে অপেক্ষা শুধু সময়ের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।’
শোনা যাচ্ছে- পরিস্থিতি অনুকূলে চলে আসলে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে বিয়ের দিন ধার্য করতে পারেন বরুণ-আলি।
‘লালন’ ব্যান্ডকে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। একটা সময় দেশ বিদেশের মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলো এই ব্যান্ড দলটি। লালন সাইজির গান তারা ভিন্ন এক উন্মাদনার সঙ্গে পরিবেশন করে অতি দ্রুত দর্শক শ্রোতার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলো।
তাদের বেশকিছু গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই ‘লালন’ ব্যান্ডের টানাপোড়েন চলছিল। আর গত মার্চে তো ব্যান্ডকে বিদায়ই বলে দেন দলনেতা ও ড্রামার থিন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণেই (ব্যান্ডের সদস্য সুমির জনপ্রিয়তা অন্য সদস্যের চেয়ে অনেক বেশি) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তখন। এরপর আর ব্যান্ডটিকে কোনো কনসার্টে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
বলা চলে, একরকম বন্ধই ছিল ব্যান্ডের কার্যক্রম। অভিমান ভেঙে মে মাসেই ব্যান্ডে ফেরেন তিতি। এবার ভক্তদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছে লালন।
১৭ অক্টোবর ফকির লালন শাহর ১৩৪তম তিরোধান দিবস। এদিনই মুক্তি পাবে লালন ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম ‘বাউলস অব বেঙ্গল’। এতে থাকছে সাতটি গান। ২০১৮ সালে বাজারে আসে ব্যান্ডের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘সাদা কালো’, সময়ের হিসাবে ছয় বছর পর নতুন অ্যালবাম নিয়ে আসছে লালন। লালন ব্যান্ডের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রথম গান ‘একটা বদ হাওয়া’ এসেও গেছে গত শুক্রবার।
বাউলস অব বেঙ্গল-এ লালন শাহর চারটি গানের সঙ্গে রাধারমণ দত্ত, বিজয় সরকার ও শাহ আবদুল করিমের একটি করে গান রয়েছে। নতুন অ্যালবামের সংগীতায়োজন করেছেন লালন ব্যান্ডের দলনেতা ও ড্রামার তিতি। গত শুক্রবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৭ অক্টোবর সাঁইজির তিরোধান দিবস।
আগে এই দিবসে প্রায়ই আমাদের কুষ্টিয়ায় লালন আখড়ায় যাওয়া হতো। কয়েক দিন আগে জানতে পারি, এবার সেখানে যাওয়া হবে না। তাই মন কিছুটা ভারাক্রান্ত। এদিকে বছরখানেক ধরে আমাদের গান তৈরির কাজ চলছিল। দেখলাম, ৯-১০টি গান তৈরি আছে। ভাবলাম, যেহেতু যাওয়া হচ্ছে না, অ্যালবাম করি। গানগুলো থেকে বাছাই করে সাতটি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিই।’
আগের অ্যালবামগুলো থেকে ‘বাউলস অব বেঙ্গল’কে আলাদা বলতে চাইছেন তিতি। তার মতে, ‘অন্য সব অ্যালবাম বা গান বাণিজ্য ও দর্শকের চাহিদার কথা ভেবে প্রকাশ করা হলেও এবারের অ্যালবাম নিজেদের শিকড়ের প্রতি দায়বদ্ধতা ও আত্মসন্তুষ্টির জন্যই তৈরি করা হয়েছে। গানগুলো তৈরির সময় কোনো চাপও তাই অনুভব করেনি কেউ। আমাদের বাউল ইতিহাস ৬০০ বছরের বেশি পুরোনো, এর ওপরই আমাদের সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে আছে। সেই শিকড়ের কাছে আমরা ফিরতে চেয়েছি।’
অ্যালবাম নিয়ে উচ্ছ্বসিত ব্যান্ডটির ভোকাল নিগার সুলতানা সুমি। গানগুলোতে কণ্ঠ দিতে গিয়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, জানালেন তিনি। সুমি বলেন, ‘আমার কাছে এটি শুধু একটি অ্যালবাম নয়, উপন্যাস। যে উপন্যাসের দুর্বল চরিত্র আমি। যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরও গানগুলোর অ্যারেঞ্জমেন্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কণ্ঠ দিতে পারিনি। আমৃত্যু এই আক্ষেপ আমার থেকে যাবে, কম্পোজিশন যতটা উচ্চমানের হয়েছে, তার সঙ্গে তাল মেলানোর মতো যোগ্য শিল্পী আমি হয়ে উঠতে পারিনি। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছি। আমি বিশ্বাস করি, এই অ্যালবাম মানুষের মনে সারা জীবন থেকে যাবে।’
‘একটা বদ হাওয়া’ ছাড়াও অ্যালবামটিতে লালন শাহর লেখা ও সুরে ‘অধর চাঁদ’, ‘সত্য বল সুপথে চল’ ও ‘মান তরঙ্গ’ গান রয়েছে। এর মধ্যে ‘অধর চাঁদ’ গানে অতিথি শিল্পী হিসেবে গেয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল। এ ছাড়া রাধারমণ দত্তের ‘বন্ধু দয়াময়’, বিজয় সরকারের ‘আমি যারে বাসি ভালো’ ও শাহ আবদুল করিমের ‘তোমারও পিরিতে বন্ধুরে’ গানগুলো রয়েছে। চলতি মাসে লালন ব্যান্ডের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে বাকি সব কটি গান প্রকাশিত হবে।
আগামী মাসে কনসার্টেও ফিরছে লালন। এরই মধ্যে কয়েকটি স্টেজ শোর প্রস্তাব এসেছে। তবে আরও সময় নিয়ে অনুশীলন সেরে মঞ্চে ফিরতে চায় তারা।
বর্তমান লাইনআপ বেজ: তাহজিব উর রশীদ কি–বোর্ড: আরাফাত বসুনিয়া গিটার: মহন্ত সরকার হারমোনিক ভোকাল: শারুফ ইসলাম ফায়াস লিড ভোকাল: নিগার সুলতানা সুমি ড্রামস: থিন হান মং তিতি
শারদীয় দুর্গোৎসব প্রায় শেষের পথে। আগামীকাল দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দূর্গা পূজা বাঙালিরা সবচেয়ে ধুমধাম করে পালন করলেও বর্তমানে বলিউডে জমজমাটভাবে পালন করা হয় এই উৎসব। সেখানে মায়ানগরী মুম্বাইয়ের শুধু বাঙালি তারকারাই নয়, হাজির হন বিভিন্ন রাজ্যের জনপ্রিয় বলিউড তারকারা। কেউ কেউ হাজির হতে না পারলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেজেগুজে দারুণ সব ছবি পোস্ট করে ভক্তদের জানান পূজার শুভেচ্ছা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
মুম্বাইয়ের মুখার্জী বাড়ির দুর্গাপূজা সবচেয়ে জনপ্রিয়। সেখানেই গত বুধবার দেবী দুর্গাকে দেখতে হাজির ছিলেন মুখার্জি বাড়ির দুই সুকন্যা রানি মুখার্জী ও কাজল। ষষ্ঠীর মণ্ডপেই দুই তারকার খোশ গল্পে আড্ডায় জমে ওঠার মুহূর্ত এখন আলোচনায়।
বছরে পূজার এই চার দিন বলিউড তারকার খোলস ছেড়ে বাঙালিয়ানা উপভোগ করেন তারা। নিজের হাতে খাবারও খান সেখানে। পরিচালক অয়ন মুখার্জীর বাবা দেব মুখার্জীর তত্ত্বাবধানে কয়েক বছর ধরে সেই বাড়িতে পূজা হচ্ছে। সম্পর্কে রানি-কাজলদের কাকা হন দেব।
প্রতিবার জুহুর স্বনামধন্য ‘টিউলিপ স্টার হোটেল’-এ আয়োজন করা হয় এই পূজার। এবার সেখানকারই এসএনডিটি উইমেন ইউনিভার্সিটিতে রানি-কাজলদের পূজার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সাবেকি সাজে দেবীর বোধনে ব্যস্ত দেখা যায় রানি এবং কাজলকে।
এদিন রানিকে দেখা গেল শাঁখা-পলা পরে নীল রঙের সুন্দর চওড়া পাড়ের সিল্ক শাড়িতে। এবং কালের পরনে ছিল কমলা রঙের সুন্দর অরগাঞ্জা শাড়ি। গায়ে আঁচল দিয়েই ক্যামেরার সামনে পোজ দিলেন দুই বোন। ঠিক যেন ‘খাস বাঙালি’।
এছাড়াও প্রতি বছর প্রতিমা দর্শনে আসেন বলিউডের বড় বড় তারকারা। তাদের মধ্যে জয়া বচ্চন অন্যতম। একসময় সপরিবার আসতেন তারা। তবে গত বছর থেকে পরিবারে ফাটলের যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে, সেই আবহেই হয়তো একা এলেন জয়া। সেখানে প্রতি বছর কাজলের সঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায় জয়াকে।
সপ্তমীর সকালে দুই দাপুটে বঙ্গকন্যার সাক্ষাৎ। দেখামাত্রই একে অপরকে জড়িয়ে চুম্বন করেন। জয়ার এমন আদুরে চুম্বনে আপ্লুত কাজলও। সপ্তমীর সকালে অর্গ্যানজা শাড়িতে সেজেছিলেন কাজল। জয়ার পরনে হলুদ সিল্কের শাড়ি। দেখা হওয়া মাত্রই খোশগল্প শুরু করে দেন তারা।
এদিকে দুর্গাপুজা উপলক্ষে মুম্বাইয়ের একটি প্যান্ডেলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেখা গেছে বঙ্গললনা বিপাশা বসুকে। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী ও মেয়ে দেবী। এদিন দুর্গাপুজা প্যান্ডেলে একটি টপ পরে মূর্তির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে প্রণাম করেন বিপাশা।
প্রতিবার নিয়ম করে বন্ধু অয়ন মুখার্জির বাড়িতে দুর্গাপূজায় ঢুঁ মারেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রণবীর কাপুর। বেশ কয়েকবার আলিয়া ভাটকেও সাথে নিয়ে এসেছিলেন। তবে এবার দুর্গোৎসব যা কিনা সকলের কাছে রানি-কাজলদের বাড়ির দুর্গাপূজা বলেই পরিচিত, সেখানে একাই দেখা গেল রণবীরকে।
তবে আলিয়া ভাটও মিস করেননি বেস্ট ফ্রেন্ড আয়ান মুখার্জীর বাড়ির পুজো। তিনি টুকটুকে লাল মসলিনের ডিজাইনার শাড়ি ও হাতাকাটা ব্লাউজ পরে হাজির হন। তার দিক থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। এই সুন্দরী সুপারস্টারকে দেখে সবাই ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গতকালই মুক্তি পেয়েছে আলিয়ার সিনেমা ‘জিগরা’। দেবীর কাছে নিশ্চয়ই ছবির সাফল্যের জন্য প্রার্থণা করেন তিনি। এ সময় আলিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার বড় বোন শাহীন ভাট।
আজও কাজল আর রানীকে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাজেই দেখা গেল। সিঁদুর খেলার দিন আটপৌরে শাড়িতে বাঙালি বাড়ির গিন্নিমা রানি। তাকে গরদের শাড়িতে টেক্কা দিলেন কাজলও। কাজলকে এদিন লাল পাড় সাদা গরদের শাড়িতে একেবারে উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। তবে রানির মতো আটপৌরে নয়, এক প্লিট করে শাড়ি পরেছিলেন অজয় ঘরণী। সঙ্গে ম্যাচিং লাল ব্লাউজ। নিজের লুককে আলাদা মাত্রা দিতে কাজল একজোড়া স্টেটমেন্ট কানের দুল ছিল, গলায় কোনও গয়না পরেননি নায়িকা। খোলা চুল, কপালে ছোট্ট লাল টিপে নজরকাড়া কাজল।
অন্যদিকে, সোনালি পোলকা ডট তসর শাড়িতে রানিকে একদম রাজরানির মতো দেখাচ্ছিল। আটপৌরে শাড়ির আঁচলের খুঁটে বাঁধা চাবির গোছা, ঠিক যেন জমিদার গিন্নি রানি। সোনালির শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে লাল ব্লাউজে গ্ল্যামারাস বলিউডের মর্দানি। রানি নিজেকে সাজিয়েছেন সোনার গয়নায়। গলা ভর্তি হার, ঝোলা দুল আর হাতে শাঁখা-পলায় উজ্জ্বল রানি।
মুখার্জী বাড়ির পূজার বাইরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বলিউড তারকারা পূজার সাজের ছবি পোস্ট করেছেন তাদের ছবিগুলোও রইল পর পর-
গতকাল (১১ অক্টোবর) ভারতের তিন হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে বলিউড সুপারস্টার আলিয়া ভাট অভিনীত সিনেমা ‘জিগরা’।
ছবিটি নানা কারণে আলিয়ার জন্য স্পেশ্যাল। এই ছবি দিয়েই মাতৃত্বকালীন বিরতি কাটিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আলিয়া। ছবির গল্প তাকে এতোটাই আকৃষ্ট করেছিলো যে, তিনি ছবিটির সহ প্রযোজক হিসেবে কাজ করতে রাজী হন করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনসের সঙ্গে।
ছোট ভাইকে বাঁচাতে মা বাবাহীন বড় বোনের পাহাড়সম সংগ্রামের গল্প ‘জিগরা’। সেই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট। ছোট ভাইয়ের চরিত্রে আছেন জোয়া আখতারের ‘আর্চিস’ ওয়েব সিরিজ থেকে উঠে আসা সুদর্শন অভিনেতা ভেদাং রায়না।
ছবির প্লট ভারত নয়, বিদেশি জেলখানা থেকে ভাইকে উদ্ধার করার মতো অসাধ্যকে সাধন করতে পেরেছেন কি না আলিয়া, সেটি দেখতে হলে যেতে হবে সিনেমা হলে।
আপাতত জানা গেছে, ছবিটি যারা প্রথম দিনেই দেখে ফেলেছেন তাদের কেমন লেগেছে? বলিউডভিত্তিক প্রায় সব ক’টি গণমাধ্যমেই ‘জিগরা’র প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন ও দর্শক রিভিউ প্রকাশ করেছে। তাতে একটি বিষয়ের সঙ্গে সবাই একমত। তা হলো আলিয়ার অভিনয়।
আলিয়া বরাবরের মতো এবারও অভিনয়ের যাদু ছড়াতে ভোলেননি। তবে পুরো ছবি দিয়ে একাংশ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে বক্স অফিসে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, সেই ২০১৪ সালে ‘হাইওয়ে’ সিনেমার পরে আলিয়ার আর কোন ছবি প্রথম দিনে এতো কম টাকা আয় করেনি। প্রথম দিনে মাত্র ৪.২৫ কোটি আয় করেছে ভাসান বালা পরিচালিত ‘জিগরা’। ছবিটি এতো কম আয় করার কারণ হিসেবে প্রভাবশালী গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, একইদিনে মুক্তি পেয়েছে রাজকুমার রাও, মল্লিকা শেরাওয়াত, তৃপ্তি দিমরি, শেহনাজ গিল অভিনীত ‘ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও’ ছবিটি। ঠিক তার একদিন আগেই ভারতজুড়ে মুক্তি পেয়েছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি রজনীকান্ত ও বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘ভাট্টিয়ান’ ছবিটি। তাছাড়া আলিয়া ছাড়া ‘জিগরা’তে আর কোন বড় তারকা নেই। সবমিলিয়ে সিনেমাটির আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
শুধু তাই নয়, দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ভারতের আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে বড় বাজেটের ছবিগুলো। যেমন কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে দেবের ‘টেক্কা’, মিঠুন চক্রবর্তীর ‘শাস্ত্রী’ও শিবপ্রসাদ-আবির চ্যাটার্জির ‘বহুরূপী’।
তবে আশার আলো রয়েই যায়। কারণ, আলিয়ার ‘হাইওয়ে’ প্রথম দিনে কম টাকা আয় করলেও আস্তে আস্তে ছবির মেরিটের কারণে দর্শকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং সুপারহিট হয়। শুধু তাই নয়, এই ‘হাইওয়ে’ ছবিটির মাধ্যমে আলিয়া প্রথম দর্শক-সমালোচককে বোঝাতে সক্ষম হন যে তিনি একজন তুখোড় অভিনেত্রী। পেয়েছিলেন সম্মানজনক ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারও। এরপর তো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়া আলিয়ার জন্য ডাল ভাত হয়ে গেছে।
‘জিগরা’ নারীপ্রধাণ ছবি। এর আগেও আলিয়ার একাধিক নারী প্রধাণ ছবি (গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি, রাজী, ডার্লিংস, ডিয়ার জিন্দেগি) সুপারহিট হয়েছে। ‘জিগরা’ যদি সেই পথে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
তথ্যসূত্র: ফিল্মফেয়ার, ইন্ডিয়া টুডে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বলিউডলাইফ.কম
দূর্গা দেবী, তবে তার স্থান কি শুধুই মন্দিরে? গত বছরের দূর্গা পূজার সময়েও বিশেষ ফটোশুটের মাধ্যমে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন মেধাবী অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
তিনি মনে করেন, দূর্গা কেবল মন্দিরে পূজনীয় দেবী নয়! তিনি প্রতিটি নারীর আত্মার প্রতিফলন। দূর্গা শান্তি ও বিজয়ের প্রতীক।
এবারের দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যেও বিশেষ ফটোশুট ও ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছে নওশাবার ‘টুগেদার উই ক্যান’ ও ফটোগ্রাফি এজেন্সি ‘মোমেন্টওয়ালা’। পরিচালনা ও ফটোগ্রাফি করেছেন মোঃ নাজমুল হোসেন। নওশাবাকে দেবী দূর্গার বেশে সাজিয়েছেন ইমন হোসেন। ভিডিওর সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইজাজ ফারাহ। সিনেমাটোগ্রাফি ও এডিটিং-এ ছিলেন ইমরানুজ্জামান সোহাগ। এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার অমিত সিনহা।
গত বছর নওশাবা দূর্গার ভূমিকাকে দেখিয়েছিলেন ব্যস্ত রাজধানীর প্রেক্ষাপটে। এবার তার ফটোশুটের থিম ‘দূর্গার সমুদ্র’। তাই তার এবারের ছবিগুলোতে সমূদ্র বড় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রতিটি ছবিতে উঠে এসেছে সমূদ্র বিষয়ক কার্যক্রম।
তবে এবারের ফটোশুটটির সবচেয়ে চমৎকার দিক হলো, এতে সমসাময়িক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়কে দেবী রূপে নারী শক্তির ঢেউয়ে প্লাবিত করার প্রয়াস করা হয়েছে।
নওশাবা মনে করেন, ‘দূর্গা ভালোবাসা আর সম্প্রীতির আধার। সমুদ্রের মতো তিনিও সর্বব্যাপী, সবকিছুকে আলিঙ্গন করেন।’
নওশাবা দূর্গার বেশে হাজির হয়ে তুলে ধরেছেন ধর্মীয় সম্প্রীতি, সমূদ্রের পরিবেশ দূষণ ইস্যু, দূর্গার মাতৃরূপ, সাহায্যকারী রূপ, ত্রাণকর্তার ভূমিকা ইত্যাদি।