ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়। বাবা মায়ের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় এই স্টার কিড। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে তারকা দম্পতির এই সন্তান। সেই হিসাবে জয়ের বয়স এখন ৪ বছর চলছে।
এই বয়সে মা অপু বিশ্বাসে সঙ্গে জিমে দেখা যাচ্ছে জয়কে। শুধু দেখা যাচ্ছে তাই না, মায়ের সঙ্গে ব্যায়াম করছে জয়। তেমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন মা অপু বিশ্বাস।
বিজ্ঞাপন
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বেশ গোপনে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে নিজেদের বিয়ে ও ছেলের ব্যাপারটি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন অপু। এরপর বহু নাটকীয়তা শেষে হুট করেই ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর শাকিব খান তালাকের জন্য আবেদন করেন এবং ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির তালাক সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তাদের একমাত্র সন্তান জয় মা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বসবাস করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শিল্পী সমিতির সাভপতি শহীদ হাসান মিশা (মিশা সওদাগর) তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অঞ্জনা রহমান টানা ১০ দিন ধরে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই কদিন তিনি সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তার আশানুরূপ কোনো উন্নতি হয়নি। বরং অবস্থার অবনতি হয়। তাই বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
জানা গেছে,জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে অঞ্জনা অসুস্থ। শুরুতে তার জ্বর ছিল। সারা শরীর কেঁপে জ্বর আসত। একটা সময় ওষুধ খেয়েও কাজ হচ্ছিল না। শেষে জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।
গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে এক দ্বিপাক্ষিক কর্পোরেট স্বাস্থ্যচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এই চুক্তিতে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী, এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) একেএম সাহেদ হোসেন ও হেড অব কর্পোরেট নিতা চক্রবর্ত্তী এবং গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ এর সভাপতি আসিফ ইকবাল, সহ-সভাপতি মো. বাপ্পি খান ও সাধারণ সম্পাদক জয় শাহরিয়ার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ব্র্যান্ড এন্ড কমিউনিকেশন) সি.এফ. জামান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (কর্পোরেট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) আমিনুল ইসলাম সুমন এবং গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক সীরাজুম মুনির ও অর্থ সম্পাদক এনামুল কবির সুজন।
চুক্তির আওতায় গীতিকবি সংঘ বাংলাদেশ-এর সকল সদস্য এবং তাদের পরিবার এখন থেকে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক্সিকিউটিভ হেল্থ চেক-আপ, কার্ডিয়াক হেলথ চেক-আপ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় পাবেন। এছাড়াও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
বেশ লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর দেশে ফিরেছেন নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। সেখানে বেশ কয়েকটি শোতে গাওয়ার পাশাপাশি ঘোরাঘুরি করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন তিনি। সেখানকার কিছু মুহূর্ত ফেসবুক ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগিও করে নিয়েছেন। আগামীকাল এই তারকার জন্মদিন, এ উপলক্ষে আসছে নতুন গান। এসব নিয়েই তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
কেমন আছেন?
আমি বেশ ভালো আছি। যুক্তরাষ্ট্রে দারুণ কিছু শো করলাম, মনের মতো দর্শক পেয়েছিলাম। প্রতিটি শোতেই আমার গানের লিস্ট ফুরিয়ে যায়, কিন্তু তারা আরও গান শুনতে চায়! একজন শিল্পীর জন্য এর চেয়ে বড় আনন্দ আর নেই!
আগামীকাল জন্মদিন। কিভাবে সেলিব্রেট করবেন?
জন্মদিনে নিজে কিছু না করলেও মনের ভেতরে আলাদা অনুভূতি কাজ করে। আমার ভক্তরাই আমার জন্মদিন স্পেশ্যাল করে দেয় প্রতিবছর। আর আমি সেই ভালোবাসার মূল্য দিতেই চেষ্টা করি নতুন কোন গান তাদের উপহার দিতে। এবারও আসছে নতুন একটি গানের ভিডিও। গানটির নাম ‘কাছের মানুষ’। এটি লিখেছেন ইলা মজি, সুর করেছি আমি নিজেই। সঙ্গীতায়োজন করেছেন সজীব দাস, মিউজিক ভিডিও করেছেন আশিক মাহমুদ। প্রেমময় আবেশের গানটি আমার ভক্ত অনুরাগীদের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস।
আপনি বিখ্যাত বাবার মেয়ে। এরপর নিজেদের যোগ্যতায় আপনারা দুই বোন (সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী) জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। দেশের অধিকাংশ মানুষ আপনাদের চেনে, অন্যরকম চোখে দেখে। এগুলো ভাবতে কেমন লাগে?
এটাকে আমার নিখাদ ভালোবাসা মনে হয়। এই ভালোবাসা এক অনন্য অর্জন। সবার ভাগ্যে তা জোটে না। এটা কেউ দুম করে পেয়ে যায় না। অনেকেই পপুলারিটি পেয়ে যেতে পারেন হুট করে, কিন্তু মানুষের মনে এভাবে জায়গা করে নেয়া সহজ নয়। অর্জন করতে হয়। আমার বাবা কিংবা আমরা ভাই বোনেরা কষ্ট, সাধনা আর সততা দিয়ে সেটা অর্জন করেছি। এবার নিউইয়র্কে আমার বাবার স্মরণে (প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত মাহমুদুন্নবী) যে প্রোগ্রামটা করলাম, আমেরিকার মতো ব্যস্ত দেশে একটা ওয়ার্কিং ডে’তেও এতো মানুষ আসবেন, এভাবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেবেন সেটা ভাবতেই পারিনি। টানা তিন ঘণ্টা আমি গাইলাম, তারপরও দর্শক সিট ছেড়ে নড়ছিলেন না। এটা এক বিরল অভিজ্ঞতা আমার জন্য।
ফেসবুকে আপনি নানা ধরনের লেখালেখি করেন। লেখালেখির ব্যাপারটা কিভাবে এলো?
গানটা যেমন আমার ভাবনার একটি অংশ, তেমনি লেখাটাও আমার ভাবনারই অংশ। আমার যাপিত জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথাই আমার ফেসবুক অনুসারীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমার লেখায় সমসাময়িক বিষয়গুলো উঠে আসে। মানুষের বেঁচে থাকা, চিন্তার জগৎ, চাওয়া-না পাওয়ার কথাগুলোই তো লিখি। আমাদের চলার পথে কতো কর্মযজ্ঞ, কখনো তা ভুল হয়, কখনো বা ঠিক। জীবন কখনো সহজ, কখনো কঠিন। ভুল থেকে শিখে যে জীবন চলতে পারে তার জীবন সহজ হয়ে যায়। মুখে ফুটে ওঠে এক টুকরো হাসি। আর এসব আবেগ অনুভূতি নিয়েই তো গান।
লেখালেখি কবে থেকে শুরু হলো?
অনেক আগে থেকেই আমি লিখি। আর এখন তো ফেসবুকে ফাহমিদা নবী’স ডায়েরী নামের একটি অ্যালবামে লিখি। আমি জীবনকে অনেক সহজভাবে দেখি। জীবনে নানা চড়াই-উৎরাই আসবেই, কিন্তু হাসি ভুলে গেলে চলবে না। কাউকে একটা ফুল উপহার দিলে দেখবেন তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এই হাসি তো অমূল্য। এগুলো আমি ছোট্ট বেলা থেকেই তো শিখিনি। এক একটা ঘটনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমার মনে হয়, আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো জেনে কারও হয়তো ভালো লাগবে, কারও চিন্তার নতুন দিক উন্মোচিত হবে, কেউ কেউ আবার কিছু সমস্যার সমাধান হয়তো খুঁজে পাবে।
ফেসবুক খুললেই দেখা যায় এখন সবাই নাচ করে, গান করে, লেখালেখি করে, ফটোগ্রাফী করে। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখেন?
এখন যার যার ফেসবুক আইডি যেন নিজস্ব এক একটা টিভি চ্যানেল! এখন সব একা করা যায়। সবার মনেই গান আসে, কবিতা আসে। সবাই তা মানুষের সামনে প্রকাশ করতে চায়। কিন্তু এতোকিছু করেও তারা তাদের কাঙ্খিত জায়গাটিতে পৌঁছতে পারছে না। ফলে আমি বলবো- কেউ একটু শিখে, চর্চা করে তারপর ফেসবুকে প্রচার করে তাহলে কিন্তু সে নিজেকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। নিজের মেধাকে প্রকাশের যে সুযোগ ফেসবুক করে দিয়েছে সেটার সুন্দর ব্যবহার তাহলে করা সম্ভব।
আপনার প্রিয় গীতিকার-সুরকার কারা?
আমাকে যদি গান বাছাই করতে হয় তাহলে আমি কারও নাম দেখে বাছাই করি না। যার গানের কথা কিংবা সুর ভালো তারটাই বাছাই করি। ফলে আমার কাছে কার বয়স কতো, কার জনপ্রিয়তা কতোখানি এগুলো ম্যাটার করে না।
এমন কোন শিল্পী আছে যার সঙ্গে কাজ করতে পারলে মনে কতো সঙ্গীতজীবনের ষোলকলা পূর্ণ হলো?
আমি আবারও বলব, যে আমাকে বোঝে, যে আমাকে আমার চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে মিল রেখে গান করবে, আমি তার সঙ্গে কাজ করেই নিজেকে ধণ্য মনে করি। আমি এমন অনেক কম বয়সীদের সঙ্গেও গান করেছি, যাদের সঙ্গে কাজ করে মনে হয়েছে দারুণ কিছু করলাম।
এমন কি কিছু আছে যা করা বাকী রয়ে গেলো?
আমি আমার গান নিয়ে আছি। গানের স্কুল ‘কারিগরী’ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এখন আমার একটা ইচ্ছে আছে দেশে এবং দেশের বাইরে বাচ্চাদের নিয়ে কিছু কাজ করতে চাই। কারণ তারাই তো আসলে ভবিষ্যতে আমাদের দেশের সংস্কৃতিকে টেনে নিয়ে যাবে সামনের দিকে।
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৩ জানুয়ারি)। ২০২১ সালের এই দিনে তিনি গত হয়েছিলেন। ২০২২ সাল থেকে বাংলা একাডেমি ‘রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার’ প্রবর্তন করেছে। রাবেয়া খাতুনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পরিষদ ও রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন’ কবর জেয়ারত, বিশেষ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
খ্যাতিমান এই লেখকের উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতেও বিচরণ ছিল। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্র। ‘মধুমতি’ এবং ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ও প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে। তাঁর নিজস্ব সম্পাদনায় পঞ্চাশ দশকে বের হতো ‘অঙ্গনা’ নামের একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। উপন্যাস, গবেষণাধর্মী রচনা, ছোটগল্প, ভ্রমণ কাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। রাবেয়া খাতুন বাংলাদেশের ভ্রমণসাহিত্যের অন্যতম লেখক।
গত ২৭ ডিসেম্বর ছিল এই গুণী লেখকের জন্মদিন। তার জন্মদিনকে ঘিরে ছিল তিনদিন ব্যাপী নানান আয়োজন। ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় ইরাজ আহমেদ এর অনুবাদে- ‘FREEDOM’S FLAMES’ গ্রন্থ। ২৭ ডিসেম্বর লেখকের জন্মদিনে ‘Story of shumon and Mithu’ এবং ‘লাল সবুজ পাথরের মানুষ ও একাত্তরের নিশান’ গ্রন্থ দুটি প্রকাশিত হয়। আয়োজন করা হয় রাবেয়া খাতুন-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান এবং শীতবস্ত্র বিতরণ। ২৮ তারিখে বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ বছর রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন- সামগ্রীক অবদানের জন্য সুশান্ত মজুুমদার এবং ‘রাইমঙ্গল’ উপন্যাসের জন্য সুমন মজুমদার।