২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের গেজেট প্রকাশ করা হবে ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)। এরই মধ্যে জুরি বোর্ডের সদস্যরা ঠিক করে ফেলেছেন দুই বছরে কারা পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেই ঘোষণা আসবে আগামীকাল ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)।
তবে এরই মধ্যে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালের সালের সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন যৌথভাবে শাকিব খান ও আরিফিন শুভ। শাকিব খান পুরস্কার পাচ্ছেন ‘সত্তা’ সিনেমার জন্য আর আরিফিন শুভ পাচ্ছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমার জন্য।
বিজ্ঞাপন
আর ২০১৮ সালের সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন যৌথভাবে ফেরদৌস আহমেদ ও সায়মন সাদিক। ফেরদৌস আহমেদ পাচ্ছেন ‘পুত্র’ সিনেমার জন্য আর সাইমন সাদিক পাচ্ছেন ‘জান্নাত’ সিনেমার জন্য।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মাননা হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৭৫ সাল থেকে পুরস্কারটি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য তাদের। আচমকাই ২০২১ সালে বিচ্ছেদের কথা শোনা যায় টলিপাড়ার চর্চিত দম্পতি বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের। চার বছর হতে চলল তাদের ছাদ আলাদা হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে বিচ্ছেদ এখনও বাকি। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু একদা যাদের সুখী দাম্পত্যকে দৃষ্টান্ত করা হত, তাদের বিচ্ছেদের খবর বিশ্বাস করতে বেশ কষ্টই পেতে হয় অনুরাগীদের। কানাঘুষো এই পতি-পত্নীর মাঝে নাকি তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তিনি আবার টলিপাড়ার মিষ্টি নায়িকা। যদিও সেই নায়িকা ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হওয়ার তত্ত্ব নাকচ করেছেন।
এত দিন সম্পর্কে ভাঙন নিয়ে মৌনতা বজায় রাখলেও সম্প্রতি বরখা নিজের দাম্পত্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি বরখা দাবি করেন, তিনি বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দ্রনীল বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন বলেই তাকে সসম্মানে মুক্তি দিয়েছেন। স্ত্রী বরখার এমন দাবি শুনে কী বললেন ইন্দ্রনীল?
এই প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল কলকাতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বরখা যা মনে হয়েছে বলেছেন। আমার দাম্পত্য জীবন নিয়ে বাইরে কোনও কথা বলতে চাই না।’
এই মুহূর্তে বাংলা ছবিতে পর পর বেশ কিছু কাজ করছেন ইন্দ্রনীল। মুম্বই-কলকাতা যাতায়াতও অব্যাহত। মেয়ে মীরার সঙ্গে সময় কাটানোর নানা ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন ইন্দ্রনীল।
অন্যদিকে, ‘খাদান’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবিতে বেশ অনেক বছর পর প্রত্যাবর্তন করেছেন বরখা। এক সময় ইন্দ্রনীলকে ঘিরে আবর্তিত ছিল বরখার জীবন। তবে এখন নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে গিয়েছেন। যদিও শেষে অবশ্য বরখা জানান, হয়তো যা হয়েছে ভালই হয়েছে। তিনি নিজেকে গোছানোর সময় পেয়েছেন।
এ সময়ে ছোটপর্দার ব্যস্ততম অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ইউটিউবে তার নাটকের দারুণ চাহিদা। প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয় তার নাটকগুলো। ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করেছেন ধর্মকর্ম করার জন্য।
বাবা মা স্ত্রীসহ তিনি এখন সৌদিতে, গিয়েছেন ওমরাহ পালন করতে। যাওয়ার সময় একটি ছবি দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই অভিনেতা। তার সেই পোস্টে অনেকেই নিলয়ের উমরাহ পালনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও একজন লিখেছেন, ‘অভিনয়টা ছেড়ে দিও ভাই’! নিলয় অবশ্য অন্য তারকাদের মতো কমেন্টটি দেখেও না দেখার ভান করেননি। তিনি সেই মন্তব্যের প্রতিউত্তরে লিখেছেন, ‘অভিনয়ের টাকা দিয়েই যাচ্ছি’। অর্থাৎ অভিনয় করে যে টাকা পারিশ্রমিক পান তা জমিয়েই পরিবারের সবার ওমরাহ পালনের খচর নির্বাহ করছেন তিনি।
নিলয়ের সেই উত্তর অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে নিলয় আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ওই মন্তব্যের জবাব হিসেবে। পোস্টে কারও নাম না উল্লেখ করে নিলয় আলমগীর লিখেছেন, ‘আমার নাটক দেখেই আমাকে চেনন এবং আমার নাটক দেখেই আমার ভক্ত (ফ্যান) হয়েছেন। এখন আবার আমাকে বলছেন নাটক ছেড়ে দিতে। কিছুই তো বুঝতেছি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি নাটক ছেড়ে দিলেই কি আপনি নাটক দেখা বন্ধ করবেন? সেটা তো করবেন না। অন্য আরেকজনের নাটক ঠিকই দেখবেন। নাটক যদি এতই খারাপ জিনিস হয়, তাহলে সবাই মিলে নাটক দেখা বন্ধ করে দেন, তাহলে নতুন নাটকও হবে না। বল কিন্তু আপনার কোর্টে।’
এই স্ট্যাটাসে আবার আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মানুষ যা বুঝাতে চেয়েছে তা হল, আপনি যেন হজ্জ করে আর নাটকে না ফিরেন, যখন মিডিয়া জগৎ ছাড়বেন তখন হজ্জ করতেন।’
নিলয় এবারও থামেলেন না, দিলেন পাল্টা জবাব, ‘বাঁচা মরার গ্যারান্টি কে দিবে
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে ডেবিউ হয় নিলয় আলমগীরের। পরবর্তীতে মাসুদ কায়নাত পচিালিত ‘বেইলি রোড’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেন।
সবশেষ অভিনীত সিনেমা ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’, যা মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এরপর অবশ্য আর সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। তবে ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন এ অভিনেতা।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের। জানা যায়, এখন শঙ্কামুক্ত আছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে ‘ভাইরাল ফিভার’ নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুশফিক আর ফারহান। সেখানে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে মুশফিক আর ফারহানকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাকে দ্রুতই কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গেছে, অভিনেতা ফারহানের প্রেশার এখনও স্ট্যাবল নেই, ফলে তাকে এইচডিইউতে রাখা হয়। তবে, আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন, খেতে পারছেন এবং কথাও বলতে পারছেন। এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিনেতা ফারহান। শুটিংয়ের কস্টিউম গোছানোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে, রাতেই তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফারহানের সহ-অভিনেতা জয়নাল জ্যাক জানান, রাতেও সুস্থ ছিলেন ফারহান। বাসায় বোনের সাথে কথা বলার সময় পরিচালক রুবেল আনুশের নাটকের শুটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তবে, হঠাৎ কথা বলতে বলতেই তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্র বলছে, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান জ্বর ও শরীর ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন।
গেল বছর নিজের জন্মদিনে ফার্স্টলুক প্রকাশের মাধ্যমে ‘জংলি’ নামে নতুন ছবির ঘোষণা দেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। গত বছর কোরবানির ঈদে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তবে নতুন বছরের প্রথমদিন সিয়াম জানিয়ে দিলেন, চলতি বছর সিনেমা হলে আসছে ‘জংলি’।
সিয়ামের কথা মতোই চলে এলো ‘জংলি’ মুক্তির ঘোষণা। একটু আগেই সিয়াম তার ফেসবুকে ‘জংলি’র প্রথম অফিসিয়াল ফার্স্ট লুক শেয়ার করে জানিয়েছেন, ‘জংলি আসছে ঈদুল ফিতরে’। অর্থাৎ আসছে রোজার ঈদেই বড়পর্দায় দেখা যাবে সিয়াম অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত এই ছবিটি। ‘জংলি’তে সিয়ামের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন শবনম বুবলী ও দীঘি।
‘জংলি’র ফার্স্ট লুকে সিয়ামকে দেখে অবাক সবাই। অল্প সময়ের মধ্যেই শোবিজ অঙ্গনে পোস্টারটি সাড়া ফেলেছে। কারণ সিয়ামকে দেখা যাচ্ছে একেবারেই ভিন্ন একটি লুকে। মুখে ক্ষতচিহ্ন, জিহ্বা দিয়ে রক্ত ঝরছে অবিরত, এই সিয়ামের হিংস্র চাহুনী দেখলে গা শিওরে ওঠে!
‘জংলি’ মুক্তির ঘোষণার মধ্য দিয়ে আবারও ঢালিউডের বাজার গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ একই দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ও আফরান নিশোর ‘দাগী’। এ সময়ের শীর্ষ তিন নায়কের সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পাওয়া মানে বোঝাই যাাচ্ছে, বক্স অফিসের লড়াইটা দেখার মতো হবে।
এদিকে, ‘জংলি’ সিনেমার জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন সিয়াম আমহেদ। তাই ‘জংলি’র চরিত্রটা গেল এক বছর আগলে ধরে রেখেছেন তিনি। চরিত্র হয়ে উঠতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি এই নায়ক। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিয়াম ফেসবুকে লেখেন, ‘অভিনেতাদের জীবনে মাঝে মাঝে এমন চরিত্র আসে যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। ‘জংলি’ আমার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে এই বছর। হয়তো চুল-দাড়িতে এক্সটেনশন লাগালেই হতো তবুও প্রায় ৭ মাস চুল-দাড়ি কাটিনি। এক বছর চরিত্রটাকে আগলে ধরে রেখেছি। কারণ, চরিত্রটাকে যাপন করতে চেয়েছি, দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চেয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি, বাকিটা দর্শকের হাতে।’
‘জংলি’ ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা। পরিচালনার দায়িত্বে আছেন এম রাহিম। এতে রোমান্স, অ্যাকশন, ড্রামা, সাসপেন্স সব কিছুই আগে। বলা চলে, পুরাদস্তুর কমার্শিয়াল সিনেমা। সিনেমার শুটিং শেষে ভারতে পোস্ট প্রডাকশনের কাজও শেষ। চমক নিয়ে আসবে ‘জংলি’ যা চলতি বছর সিনেমা হলে দেখা যাবে বলে জানালেন সিয়াম।
এর আগে সিয়ামকে নিয়ে অ্যাকশনধর্মী সিনেমা ‘শান’ বানিয়েছিলেন এম রাহিম। ‘জংলি’তেও সেই ধারা অব্যহত রেখেছেন নির্মাতা। এতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।