বিবাহিত নারীদের নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘মিসেস বাংলাদেশ ২০১৯’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মুনজারিন মাহবুব অবনি। প্রথম রানারআপ হয়েছেন রাবেয়া সুলতানা এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন মাটি সিদ্দিকী।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে গুলশান ক্লাবে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অভিনেতা ও পরিচালক শহীদুল আলম সাচ্চু, কণ্ঠশিল্পী মেহরিন মাহমুদ, সামিনা সারা, মারিয়া মৃত্তিক, ড. তৌহিদা রহমান ইরিন, বিউটি এক্সপার্ট সালেহা সারওয়ার, আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মোস্তফা ও ইউথ বাংলার সভাপতি মোনা চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দুই হাজারের বেশি নারীর মধ্যে সেরা দশ প্রতিযোগী নিয়ে হয় চূড়ান্ত পর্ব। চ্যাম্পিয়ন হওয়া অবনী আগামী নভেম্বরে আমেরিকা মিসেস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন।
অবশেষে জট কেটেছে। মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের শক্তিমান অভিনেত্রী কঙ্গনা রানৌতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’। প্রথম পরিচালিত ছবিটির মুক্তি নির্বিঘ্ন করতে কম ঘাম ঝরালেন না অভিনেত্রী। ‘ইমার্জেন্সি’ প্রথমে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ২০২৪-এর ৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের থেকে মিলছিল না ছাড়পত্র। আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনার ছবি।
ছবিটি এবার মুক্তি পেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন তিনি। এ ছবির চিত্রনাট্যকার, প্রযোজকও কঙ্গনা নিজেই। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রেও তিনি নিজেই অভিনয় করেছেন। আর তাই অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ ছবিটি দেখতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংসদ ভবনে প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে দেখা হয়েছিল কঙ্গনার। তখনই বিরোধী নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে কঙ্গনা বলেছেন, “প্রিয়াঙ্কাজির সঙ্গে সংসদে দেখা হয়েছিল। প্রথমেই তাকে বললাম, ‘আপনার কিন্তু ইমার্জেন্সি দেখা উচিত’। খুবই আনন্দিত হয়ে উত্তর দেন তিনি, ‘হ্যাঁ। হয়তো দেখব।’ আমি তাকে বলেছি, ‘এই ছবি আপনার পছন্দ হবেই’।”
গান্ধী-নেহরু পরিবারের সকলকেই কি আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন কঙ্গনা? প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আগে দেখা যাক, তারা ছবিটা দেখতে চান কি না। এই ছবিতে আসলে খুবই স্পর্শকাতর অধ্যায় এবং একজন ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রকে সম্মান ও যত্নের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। গবেষণা করার সময়ে লক্ষ করেছিলাম, তার ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্ক, স্বামী, বন্ধুত্ব, বিতর্কিত যোগাযোগ নিয়েও প্রচুর আলোচনা হয়েছে। আমি নিজেও ভেবেছি, বহু দিক রয়েছে এই ব্যক্তিত্বের।’
নেপোটিজ়ম নিয়ে মন্তব্য করে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি করেছেন কঙ্গনা। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর দাবি, ‘ইন্দিরা গান্ধীও এই নেপোটিজ়মেরই ফসল।’
প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য তাদের। আচমকাই ২০২১ সালে বিচ্ছেদের কথা শোনা যায় টলিপাড়ার চর্চিত দম্পতি বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের। চার বছর হতে চলল তাদের ছাদ আলাদা হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে বিচ্ছেদ এখনও বাকি। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু একদা যাদের সুখী দাম্পত্যকে দৃষ্টান্ত করা হত, তাদের বিচ্ছেদের খবর বিশ্বাস করতে বেশ কষ্টই পেতে হয় অনুরাগীদের। কানাঘুষো এই পতি-পত্নীর মাঝে নাকি তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তিনি আবার টলিপাড়ার মিষ্টি নায়িকা। যদিও সেই নায়িকা ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হওয়ার তত্ত্ব নাকচ করেছেন।
এত দিন সম্পর্কে ভাঙন নিয়ে মৌনতা বজায় রাখলেও সম্প্রতি বরখা নিজের দাম্পত্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি বরখা দাবি করেন, তিনি বিয়েটা বাঁচাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দ্রনীল বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন বলেই তাকে সসম্মানে মুক্তি দিয়েছেন। স্ত্রী বরখার এমন দাবি শুনে কী বললেন ইন্দ্রনীল?
এই প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল কলকাতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বরখা যা মনে হয়েছে বলেছেন। আমার দাম্পত্য জীবন নিয়ে বাইরে কোনও কথা বলতে চাই না।’
এই মুহূর্তে বাংলা ছবিতে পর পর বেশ কিছু কাজ করছেন ইন্দ্রনীল। মুম্বই-কলকাতা যাতায়াতও অব্যাহত। মেয়ে মীরার সঙ্গে সময় কাটানোর নানা ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন ইন্দ্রনীল।
অন্যদিকে, ‘খাদান’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবিতে বেশ অনেক বছর পর প্রত্যাবর্তন করেছেন বরখা। এক সময় ইন্দ্রনীলকে ঘিরে আবর্তিত ছিল বরখার জীবন। তবে এখন নিজেকে গুছিয়ে নিতে শিখে গিয়েছেন। যদিও শেষে অবশ্য বরখা জানান, হয়তো যা হয়েছে ভালই হয়েছে। তিনি নিজেকে গোছানোর সময় পেয়েছেন।
এ সময়ে ছোটপর্দার ব্যস্ততম অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ইউটিউবে তার নাটকের দারুণ চাহিদা। প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয় তার নাটকগুলো। ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করেছেন ধর্মকর্ম করার জন্য।
বাবা মা স্ত্রীসহ তিনি এখন সৌদিতে, গিয়েছেন ওমরাহ পালন করতে। যাওয়ার সময় একটি ছবি দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই অভিনেতা। তার সেই পোস্টে অনেকেই নিলয়ের উমরাহ পালনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও একজন লিখেছেন, ‘অভিনয়টা ছেড়ে দিও ভাই’! নিলয় অবশ্য অন্য তারকাদের মতো কমেন্টটি দেখেও না দেখার ভান করেননি। তিনি সেই মন্তব্যের প্রতিউত্তরে লিখেছেন, ‘অভিনয়ের টাকা দিয়েই যাচ্ছি’। অর্থাৎ অভিনয় করে যে টাকা পারিশ্রমিক পান তা জমিয়েই পরিবারের সবার ওমরাহ পালনের খচর নির্বাহ করছেন তিনি।
নিলয়ের সেই উত্তর অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে নিলয় আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ওই মন্তব্যের জবাব হিসেবে। পোস্টে কারও নাম না উল্লেখ করে নিলয় আলমগীর লিখেছেন, ‘আমার নাটক দেখেই আমাকে চেনন এবং আমার নাটক দেখেই আমার ভক্ত (ফ্যান) হয়েছেন। এখন আবার আমাকে বলছেন নাটক ছেড়ে দিতে। কিছুই তো বুঝতেছি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি নাটক ছেড়ে দিলেই কি আপনি নাটক দেখা বন্ধ করবেন? সেটা তো করবেন না। অন্য আরেকজনের নাটক ঠিকই দেখবেন। নাটক যদি এতই খারাপ জিনিস হয়, তাহলে সবাই মিলে নাটক দেখা বন্ধ করে দেন, তাহলে নতুন নাটকও হবে না। বল কিন্তু আপনার কোর্টে।’
এই স্ট্যাটাসে আবার আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মানুষ যা বুঝাতে চেয়েছে তা হল, আপনি যেন হজ্জ করে আর নাটকে না ফিরেন, যখন মিডিয়া জগৎ ছাড়বেন তখন হজ্জ করতেন।’
নিলয় এবারও থামেলেন না, দিলেন পাল্টা জবাব, ‘বাঁচা মরার গ্যারান্টি কে দিবে
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে ডেবিউ হয় নিলয় আলমগীরের। পরবর্তীতে মাসুদ কায়নাত পচিালিত ‘বেইলি রোড’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেন।
সবশেষ অভিনীত সিনেমা ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’, যা মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এরপর অবশ্য আর সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। তবে ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন এ অভিনেতা।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের। জানা যায়, এখন শঙ্কামুক্ত আছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে ‘ভাইরাল ফিভার’ নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুশফিক আর ফারহান। সেখানে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে মুশফিক আর ফারহানকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাকে দ্রুতই কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গেছে, অভিনেতা ফারহানের প্রেশার এখনও স্ট্যাবল নেই, ফলে তাকে এইচডিইউতে রাখা হয়। তবে, আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন, খেতে পারছেন এবং কথাও বলতে পারছেন। এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিনেতা ফারহান। শুটিংয়ের কস্টিউম গোছানোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে, রাতেই তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফারহানের সহ-অভিনেতা জয়নাল জ্যাক জানান, রাতেও সুস্থ ছিলেন ফারহান। বাসায় বোনের সাথে কথা বলার সময় পরিচালক রুবেল আনুশের নাটকের শুটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তবে, হঠাৎ কথা বলতে বলতেই তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্র বলছে, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান জ্বর ও শরীর ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন।