হৃতিক রোশনের চাচার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ লগ্নজিতার
বিনোদন
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে নারীদের শ্লীলতাহানির বিষয় নতুন কিছু না। ইতোমধ্যে বলিউডে নারীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যে কারণে টালিউডেও ‘নারী সুরক্ষা কমিটি’ তৈরির দাবি উঠেছে একাধিকবার।
এর আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বেশ কয়েকজন তারকা-নির্মতাকে বহিষ্কার করেছে ভারতীয় ডিরেক্টরস গিল্ড। বিভিন্ন সময়ে নায়িকারা শোবিজাঙ্গনে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। এবার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন কলকাতার জনপ্রিয় গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে হৃতিক রোশনের চাচার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। গায়িকা বলেন, রাজেশ রোশনের বাড়িতে গিয়েছিলাম কথা বলতে। আমি একটা স্কার্ট পরেছিলাম। উনি বললেন আমার একটা গান শোনাতে। ইউটিউবে গান খুঁজছি আমি। আর তখনই উনি আমার পাশে এসে বসেন। কিছু বোঝার আগেই স্কার্টের ভেতরে হাতটা ঢুকিয়ে দেন। সেদিন খুব খারাপ লেগেছিল।
প্রসঙ্গত, ‘বসন্ত এসে গেছে’ গান দিয়ে শ্রোতা-দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন তিনি লগ্নজিতা। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আধুনিক বাংলা গান থেকে, সিনেমার গান, রবীন্দ্র সঙ্গীত সব জায়গাতেই বরাবরই দারুণভাবে পারফর্ম করেন তিনি।
দেশের আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। অভিনয়ের চেয়ে তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশি চর্চা হয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি আলোচনার বাইরে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ ছাড়েন ঢালিউড অভিনেতা জায়েদ খান। এখন তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। অনেকের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এবং মামলা থাকায় দেশে ফিরছেন না জায়েদ খান। তবে অভিনেতা জানালেন, দেশে ফিরতে তার কোনো ভয় নেই।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন জায়েদ খান। সেখানেই অভিনেতা জানান, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। দেশে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, ‘না না, আমি ভয় পাচ্ছি না। দেশে তো আর বাবা-মা নাই, ভাই-বোন নাই। আমি এই জায়গায় (নিউইয়র্কে) একটা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতেছি। যেহেতু দেশে অনেক দিন কাজ করলাম, দেশে কাজও কম, রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেক শিল্পী কাজ পাচ্ছেন না, সবাই তো বিদেশে এসে কাজ করছেন। আমিও বিভিন্ন জায়গায় শো করছি। এখানে আমি বসে নেই। দেশে ফেরার ব্যাপারে আমার ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমি তো কোনো অন্যায় করে আসিনি, কোনো অপরাধ করে আসিনি।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘শিল্পীরা কখনো অন্যায়-দুর্নীতি করতে পারে না। আপনি কোনো একটা দলকে পছন্দ করতে পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। শিল্পদের ব্যক্তিগত মতাদর্শ থাকতে পারে। আপনারা দেখবেন, তাদের দ্বারা কোনো দুর্নীতি হচ্ছে কি না। আমি দেশের আইন অমান্য করেছি? আমি কারোও ক্ষতি করেছি? অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করেছি? আমি কষ্ট করে শৈল্পিক লাইন দিয়ে অর্থ উপার্জন করেছি, কোনো অন্যায় কাজ করিনি। অন্যায়ের কাছে মাথা নতো করিনি। যদি করতাম, তাহলে শিল্পীসমিতিই আমার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতো। আমি যখন সমিতিতে ছিলাম, দুপুরের খাবারও নিজের টাকায় খেয়েছি। চার বছরে কোনো দিন সমিতির টাকায় খাইনি।’
অভিনেত্রী নিপুণকে বহিষ্কার করেছে শিল্পী সমিতি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পী সমিতি যা করেছে, তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। ইন্ডাস্ট্রির মানুষের তার সঙ্গে সম্পর্কই রাখা উচিত না। একটা ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের সম্মান তিনি কোথায় নিয়ে গেছেন! নায়িকারা হচ্ছেন ভালোবাসার প্রতীক, তারা মানুষের সঙ্গে সাবলীল থাকবে, ভালোভাবে থাকবে।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন জায়েদ খান। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কাটানো জায়েদ এবার সেখানেই যুক্ত হলেন নতুন পেশায়। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’য় যোগ দিয়েছেন তিনি। সেখানে প্রথমবারের মতো উপস্থাপক হিসেবে দেখা যাবে এই নায়ককে। ঠিকানার ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিনোদনমূলক একটি টকশো উপস্থাপনা করবেন, যেখানে শোবিজ ও চলচ্চিত্রের তারকারা উপস্থিত থাকবেন।
সাইফ আলী খানের ওপর হামলার মামলাকে ঘিরে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। জানা গেছে, এ মামলার মূল অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভাষাগত বাধার মুখে পড়তে হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে তদন্তের কাজে যথাযথ সাহায্য করছেন। শরিফুলকে সঙ্গে করে বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিল পুলিশ। সাইফের ওপর হামলার পর পটবর্ধন গার্ডেনের যে বাসস্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে ছিলেন শরিফুল, যে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছিলেন তিনি, এসব জায়গাসহ আরও নানান জায়গায় পুলিশের একটি দল তদন্তের স্বার্থে গিয়েছিল। জানা গেছে, বান্দ্রা পুলিশ এ মামলার এক বড় প্রমাণ ইতিমধ্যে জোগাড় করে ফেলেছে। এ ছাড়া বান্দ্রা পুলিশ সাইফ ও কারিনার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। জানা গেছে, সাইফ ও কারিনার সঙ্গে সব সময় একজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
১৬ জানুয়ারি ধারালো ছুরি দিয়ে সাইফ আলী খানের শরীরে ছয়বার কোপ বসিয়েছিলেন আততায়ী। হামলার সময় ছুরিটি তিন ভাগে ভেঙেছিল। এর মধ্যে একটি টুকরা ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় টুকরাটি সাইফের শিরদাঁড়ার পাশে বিঁধে ছিল। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাইফের শরীর থেকে বের করেছিলেন। বান্দ্রা পুলিশ এই ছুরির তৃতীয় খণ্ডের সন্ধানে ছিল এই কদিন। অবশেষে পুলিশ ছুরির তৃতীয় টুকরাটি উদ্ধার করেছে। বান্দ্রা সরোবরের কাছে স্বামী বিবেকানন্দ রোড থেকে ছুরির তৃতীয় টুকরাটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। পশ্চিম বান্দ্রায় সাইফ-কারিনার আবাসন সৎগুরু শরণ থেকে ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরের এক নর্দমা থেকে ছুরির টুকরাটি উদ্ধার করেছে বান্দ্রা পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন যে বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার সময় তিনি ছুরির হাতলের অংশটি বান্দ্রা সরোবরের কাছে এক নর্দমায় ফেলে দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ এ মামলার তথ্যপ্রমাণাদি হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মাথার টুপি, রক্তমাখা টি–শার্ট, মুঠোফোন, ইয়ারফোন আর ছুরির তিন টুকরাসহ নানান কিছু জোগাড় করেছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কড়া পাহারা দিয়ে বান্দ্রা সরোবরে নিয়ে গিয়েছিল। একটি ফরেনসিক মোবাইল ভ্যান এ অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে ছিল। পুলিশ সেখানে দেড় ঘণ্টার মতো ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভাষাগত বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বান্দ্রা পুলিশকে। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে হিন্দিতে কথোপকথনের সময় প্রচুর ভারী ভিনদেশি শব্দ ব্যবহার করছেন, এর ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশকে।
বান্দ্রা পুলিশ এ মামলার সঙ্গে জড়িত ওরলির কোলিওয়াড়ার এক সেলুনের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এক সূত্রে জানা গেছে, সাইফের ওপর হামলার পর অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম ওরলির কোলিওয়াড়ার এক সেলুনে গিয়েছিলেন চুল কাটাতে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য চুল কেটে লুক বদল করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
ভক্তদের সুখবর দিলেন পাকিস্তানের হার্টথ্রব অভিনেত্রী কুবরা খান। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস, আর সেই ভালোবাসার মাসেই বিয়ে করছেন তিনি।
কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, শিগগিরই বিয়ে করছেন কুবরা। তবে বিষয়টি নিয়ে এত দিন ধরে চুপ ছিলেন এই তারকা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি খোলাসা করেছেন কুবরা খান। তিনি বলেন, ‘আমি ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করছি।’
পাত্র অভিনেতা গহর রশিদ। কুবরা ও গহর একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ‘জান্নাত সে আগা’ ধারাবাহিকটি দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
২০১৬ সালে ধারাবাহিকে অভিষেক ঘটে কুবরা খানের। তার আসল নাম রাবিয়া ইকবাল খান। তিনি কুবরা খান নামে পরিচিত। ধারাবাহিকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও নিয়মিত অভিনয় করেন তিনি। ৩১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর জন্ম পাঞ্জাবের মুলতানে।
কনসার্ট করতে গিয়ে মঞ্চেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটায় এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদেন বলছে, রাতে মঞ্চে গাইতে গাইতেই অসুস্থ বোধ করেন মোনালি। অনুষ্ঠানের মাঝেই নেমে আসেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিল্পীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গায়িকার বোন মেহুলি ঠাকুর জানিয়েছেন, মোনালি মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মঞ্চে ওঠার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু অগ্রিম নেওয়ার কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘কখনও হিমাচল প্রদেশে অনুষ্ঠান, তো কখনও বেঙ্গালুরুতে। তারপরই কলকাতা। প্রত্যেক জায়গার আবহাওয়া, তাপমাত্রা ভিন্ন। যার প্রভাব শরীরে পড়ছে। একা হাতে সব সামলাতে গিয়ে বেচারি নাজেহাল।’
জানা গেছে, মঞ্চে মোনালির হঠাৎ করে দেখা দেয় নিঃশ্বাসের সমস্যা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর বাবা সাবেক মন্ত্রী কমল গুহর জন্মবার্ষিকীতে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বিখ্যাত গায়িকা মোনালি ঠাকুরকে।
মোনালি ঠাকুরের অসুস্থতার খবরে চিন্তিত অনুরাগীরা। সকলেই তার দ্রুতই সুস্থতার কামনা করেছেন।