বিদেশের মাটিতে জাদু প্রদর্শনী করে দেশে ফিরলেন জাদুশিল্পী আলীরাজ। গত চার মাসের অধিক সময় এই শিল্পী আলীরাজ স্পেন, রাশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান এবং চীনের ভ্যালেন্সিয়া, খাবারস্ক, ডালিয়ান, হারবিন,বেইজিং, সাংহাইসহ প্রায় ২০টির অধিক শহরে তার জাদু প্রদর্শনী করে মাতিয়েছেন হাজার হাজার বিদেশি দর্শক।
বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আমন্ত্রিত প্রতিনিধি হয়ে ডিসকভারি ওয়ার্ল্ড বিনোদন সংস্থা কতৃক আয়োজিত চীন এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে রাশিয়া, রোমানিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ এবং ফ্রান্সের শিল্পীদের সমন্বয়ে সুবিশাল প্রমোদতরী, বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল, পার্ক এবং নাইটক্লাবে বিদেশী দর্শকদের জাদুপ্রদর্শনী করে মুগ্ধ করেছেন আলীরাজ। তার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন রাশিয়ান শিল্পীরা।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে আলীরাজ বলেন, 'সবাই দেশের টাকা বিদেশে ব্যয় করে কিন্তু আমি জাদুর মতো অবহেলিত এই শিল্পের মাধ্যমে বিদেশের অর্থ বৈধভাবে রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে নিয়ে এসেছি। সেক্ষেত্রে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এক বিন্দু হলেও অবদান রাখতে পেরেছি। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আমার লক্ষতা, উপস্থাপনা কৌশল এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের অবহেলিত এই শিল্পকে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের নাম সুনামের সঙ্গে তুলে ধরতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।’
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা নাগা চৈতন্য আর বলিউড অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন। তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। তবে বিয়ের দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।
আজ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের প্রাথমিক রীতি রেওয়াজের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন শোভিতা নিজেই। তবে ছবিতে নাগা চৈতন্যকে দেখা যায়নি। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গম, পাথর এবং হলুদ একসাথে পেষা এবং এটা শুরু হলো।’
তেলেগু বিয়েতে এই রীতির তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী আচার যেখানে নববধূ এবং বর যৌথভাবে গম, হলুদ এবং কখনও কখনও অন্যান্য উপাদান পাথরে পিষে। এই কাজটি তাদের একসাথে জীবনের শুরুর প্রতীক। যেখানে তারা দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে একসাথে কাজ করে এবং জীবনের একটি নতুন পর্বের জন্য প্রস্তুত হয়।
শোভিতা এদিন পরেছেন পিচ গোল্ড এবং সবুজ সিল্ক শাড়ি। অভিনেত্রীর আশেপাশে তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের দেখা গেছে। শোভিতার ভক্তরা কমেন্টে শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেকেই লিখেছেন, ‘শোভিতাকে দারুণ দেখাচ্ছে।’
গত ৮ আগস্ট হায়দরাবাদে নাগা-শোভিতার বাগদান সম্পন্ন হয়। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে, কবে বিয়ে করছেন যুগল!
মেজবাউর রহমান সুমন বা তার মেধা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। টেলিভিশন নাটক যখন করতেন, তখনই তা সিনেমার স্বাদ দিতো। এরপর ‘হাওয়া’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দার নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয় এই মেধাবীর। চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি অভিনীত ‘হাওয়া’ ২০২২-এর অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি হয়ে ওঠে।
এরপরই সুমনের নতুন ছবির ঘোষণা আসে। ‘রইদ’ নামের সেই ছবিটি সরকারি অনুদানও পায়। ছবিটি প্রযোজনা ও অভিনয় করার কথা ছিলো দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের। বলে রাখা ভালো, জয়া আর সুমনের একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। তারা উপহার দিয়েছেন একাধিক নন্দিত নাটক। ফলে ‘রইদ’-এ আবার এই নির্মাতা-অভিনেত্রী জুটি একসঙ্গে কাজ করবেন দেখে অনেকেই দারুণ এক্সাইটেড ছিলেন।
কিন্তু এ বছরের শুরুতেই জানা যায় ভিন্ন কথা। জয়া আহসান তার পাওয়া সরকারি অনুদানের টাকাগুলো সরকারি তহবিলে ফেরত দেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবির একটি নীতিমালা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছবির কাজ শেষ করতে হয়। যেমন, আমার ‘দেবী’ ছবিটি আমি ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করে মুক্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু ‘রইদ’-এর ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। তাই অনুদানের টাকা ফেরত দিয়েছি।
তবে শোবিজে এ নিয়ে ভিন্ন গুঞ্জন রটেছিলো। জয়া আর সুমনের মধ্যে মত পার্থক্যের জন্যই ছবিটি শেষ পর্যন্ত হয়নি বলে শোনা যায়। অবশেষে সেই ছবিটি হচ্ছে, তবে নতুন প্রযোজকের সঙ্গে। বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের প্রযোজনায় এই ছবিতে অভিনয়শিল্পীও বদলে গেছে। এখন জয়ার বদলে ‘রইদ’ ছবির নায়িকা চরিত্রে দেখা যাবে ‘হাওয়া’খ্যাত নাজিফা তুষিকে।
শোবিজে এও গুঞ্জন রয়েছে, সুমন আর তুষির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এখন জয়ার চরিত্রটি তুষির ঝুলিতে যাওয়ায় সেই গুঞ্জনের পালে আরও হাওয়া লেগেছে।
যদিও ছবিটি নিয়ে এখনই কিছুই বলতে চায় না পরিচালক কিংবা কলা কুশলীরা। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে ছবিটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন লোকেশনে এর শুটিং হয়েছে। তুষি ছাড়াও ছবিটিতে দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিজের মেধার পরিচয় দেওয়া অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরানকে। তিনি লাক্স তারকা অর্ষাকে বিয়ে করেও আলোচনায় এসেছিলেন গত বছর।
তবে তার জন্য তাকে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। মনির খান, বেবি নাজনিন, কনকচাঁপা, ন্যানসির মতো তিনিও ক্যরিয়ারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। তুঙ্গে থাকা সঙ্গীত ক্যারিয়ার অনেকটাই দ্যূতিহীন হয়ে পড়েছিলো।
ফলে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পক্ষে তিনি যে সোচ্চার থাকবে সেটা অনেকটা অনুমেয় ছিলো। আন্দোলনের সময় সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখির পাশাপাশি রাজপথেও ছিলেন সক্রিয় আসিফ। শুধু তাই নয়, ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ জানাতে নিজের ছেলেকে নিয়েও হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এদিন গণআন্দোলনে লাখও জনতার জমায়েতে আসিফ তার ছেলেকে সামনে এগিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এই প্রজন্ম হারবে না। আমি আমার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। তোমরা ওকে মেরে ফেলবে, মেরে ফেলো। যেভাবে ছাত্রদের মারা হচ্ছে, তা মানা যায় না। আমাদের একটাই দাবি, স্বৈরশাসকের পদত্যাগ চাই।’
বিষয়টি নিয়ে তখন অনেকেই আসিফের প্রশংসা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন আলোচিত-সামলোচিত উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ও। যিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নীরব থাকায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
আসিফের সেই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে জয় লিখেছেন, ‘আমি ভিতু, আসিফ ভাই সাহসী। এ জন্যই চিরকাল আসিফ ভাই আমার চেয়ে অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য। আসিফ ভাই স্যালুট।’ তবে জয়ের এই পোস্টও নেটিজেনদের মন ভরাতে পারেনি। কেউ কেউ অভিনেতাকে উপদেশও দিয়েছেন। তাদের মন্তব্যগুলো অনেকটা এমন যে, চাটুকারিতা না করলে জয়ও সাহসী হতে পারতেন। তাই এগুলো বাদ দিয়ে জয়কে দেশ ও মানুষের কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন মন্তব্যকারীরা।
তবে এ কথা বলতেই হবে, শাহরিয়ার নাযিম জয়ই একমাত্র শিল্পী যিনি আন্দোলনে চুপ থাকার জন্য নিজের ভুল জনসম্মুখে তুলে ধরে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন আওয়ামীপন্থী তারকাকে এখনো এভাবে নিজের ভুল নিয়ে অনুশোচনা করতে দেখা যায়নি।
বন্ধু হারিয়েছেন সালমান খান। উৎসবমুখর সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন করা হয় সাবেক মন্ত্রী ও সালমানের বন্ধু বাবা সিদ্দিককে। প্রতিবছর ঈদের অনুষ্ঠানে বাবা সিদ্দিকের নিমন্ত্রণে সাড়া দিতেন সালমান।
বাবা সিদ্দিকের মৃত্যুর পর নতুন করে শঙ্কায় সালমান খানের নিরাপত্তা। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দল এরই মধ্যে এই হত্যার দায় শিকার করেছে। কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারকে কেন্দ্র করে এই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে সালমানের বিরোধ পুরোনো। সালমানের ঘনিষ্ঠ হওয়াই নাকি কাল হয়েছে বাবা সিদ্দিকের। সেই কারণেই নাকি মরতে হলো তাকে, এমনই দাবি করেছে দুষ্কৃতকারীরা।
এ ঘটনার পর অনেকেই ভেবেছিলেন বাবা সিদ্দিকের শেষকৃত্যেও হয়তো দেখা যাবে না সালমানকে। কারণ, সেই দিনই একের পর এক হুমকি ফোন পান তিনি। তবে কোনো কথা শোনেননি ভাইজান। ‘বিগ বস ১৮’-এর শুটিং মাঝপথে ফেলেই চলে যান বন্ধুকে বিদায় জানাতে। বাইরে অবশ্য মৌনতা বজায় রেখেছিলেন এত দিন। অবশেষে কথা বললেন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে।
সালমান এখন রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ১৮তম মৌসুম সঞ্চালনা করলেন। এই অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে যা চলছে...খুবই কঠিন সময় চলছে; আমাকে এসব সামলে চলতে হচ্ছে।’
এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির বাইরে আসা তার ঠিক হয়নি। তবে আগে থেকেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকায় তিনি শুটিং বাতিল করতে চাননি। অভিনেতা আরও বলেন, তাকে নিয়ে মা-বাবা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন; এটা তাকে আরও চিন্তায় ফেলেছে। কারণ ওই গ্যাংয়ের মূল টার্গেটই এই বলিউড স্টার। প্রায় ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই আতঙ্কের শেষ কোথায়!
এর সমাধান একটাই- বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে অপরাধী ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত ‘মুক্তিধাম মোকাম’ মন্দিরে যেতে হবে। সেখানে একাগ্রচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ’-এর সদস্যরা ক্ষমার সিদ্ধান্তে আসলে তবেই হয়তো এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বিষ্ণোইরা মনে করেন, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে গর্হিত অপরাধ করেছেন সালমান খান। যেটি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আচারবিধির লঙ্ঘন। মূলত ‘মুক্তিধাম মোকাম’ মন্দির বিষ্ণোইদের সব থেকে পবিত্র ধর্মীয় স্থান। তাদের সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, যদি কোনো ব্যক্তি অপরাধ করেন, তবে তার মধ্যে অবশ্যই অনুশোচনাবোধ থাকতে হবে। যা তাকে প্রায়শ্চিত্তের পথে নিয়ে যাবে। কেউ যদি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনোরকম অপরাধ বা অন্যায় করেন, তাহলে তাকে মুক্তিধাম মোকামে গিয়ে পুরো সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষমা চাওয়া হলে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে যাচাই করেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
এ দিকে সালমান খানের বাবা সেলিম খানের মন্তব্য, যে ছেলে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কোনো দিন একটা আরশোলা পর্যন্ত মারতে পারেনি, সে কীভাবে হরিণ মারবে? তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়ে একই ধরনের বক্তব্য সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলিরও। এ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সালমান এই বিষয়ে তাকে বলেছিলেন, হরিণ হত্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। শুধু তাই নয়, সালমান খানের হয়ে বিষ্ণোইদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সোমি।
ভাইজান সালমানের জীবনের ঝুঁকির সূত্রপাত ১৯৯৮ সালে। সে সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সালমান। এর আগে বেশ কয়েকবার খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
প্রায় মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো হয়। বিদেশে সালমান খানের বন্ধু-গায়কের বাড়িতে হামলা করে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। এ কারণে ওয়াই ক্যাটাগরির পাশাপাশি বর্তমানে সালমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন তিনি।