কারণে-অকারণে উঠে আসেন রাজ, ভুলতে পারেননি কি পরী?

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পরীমণি ও শরিফুল রাজ । ছবি: ফেসবুক

পরীমণি ও শরিফুল রাজ । ছবি: ফেসবুক

ঢালিউডের মেধাবী অভিনেতা শরিফুল রাজ আর আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণির সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তাদের সম্পর্কের আদ্যোপান্ত জানেন ভক্তরা।

যারা সিনেমার খবর সেভাবে রাখেন না তারাও জানেন এই জুটির সম্পর্কের তিক্ততার কথা। কারণ বিচ্ছেদের সময় এক কথায় ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছিলেন রাজ-পরী।

বিজ্ঞাপন

দুজনের পথ অনেক আগেই চলে গেছে দু’দিকে। তারা হেঁটেছেন বিচ্ছেদের পথে। সেই বিচ্ছেদেরও এক বছর পূর্ণ হলো সদ্য। তারপরও কি রাজকে ভুলতে পারছেন না পরী? যদি ভুলেই যেতেন তাহলে এখনো কারণে অকারণে কেন তুলে আনেন রাজের নাম? অভিনেতার প্রতি টান মনে রয়ে গেছেন বলেই কি এখনো অভিসম্পাত ঝরে নায়িকার বক্তব্যে? কেন রাজকে একদম ঝেড়ে ফেলেতে পারেন না পরী? এমন প্রশ্ন কিন্তু অনেকের মনেই রয়েছে।

পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে এই ছবিটি দিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদের বর্ষপূর্তীর পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি

ঠিক তেমনি আচরণ দেখা গেলো অভিনেত্রীর গতকালকের এক ফেসবুক পোস্টেও। নায়িকা তার বিচ্ছেদের এক বছরপূর্তী উদযাপন করলেন? কথাটা শুনে কেউ ভড়কে যাবেন না। সুন্দর ছবি দিয়ে বিচ্ছেদবার্ষিকী পূর্ণ করার পোস্টকে উদযাপন ছাড়া কি-ই বা বলা যায়? হতে পারে সেটা নায়িকার দুঃখবিলাশ!

যাইহোক, কালকের পোস্টের রাজকে তার জীবনের ভুল মানুষ আখ্যা দিয়ে পরী লিখেছেন, ‘আজ থেকে এক বছর আগে আমার জীবনের সেই ভুল মানুষকে (রাজকে) ছেড়ে দিয়েছিলাম। এক বুক হাহাকার, হতাশা আর বুকের মধ্যে জাপটে ধরে ছিলো আমার ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটা! কিন্তু দেখো, আজ আমরা একটু একটু করে নিজেদের মতন ভালো থাকতে শিখে গেছি। আজ আর সেই ভুল মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই আমাদের কারোর জীবনে। না সেটা আমার বা আমার ছেলের! শুকরিয়া। আমারা ভালো আছি। হ্যাপি ডিভোর্স অ্যানিভার্সারি পরী!’

পরী, রাজ ও তাদের পুত্র

স্ট্যাটাসের গোড়ার দিকে পরী অবশ্য লিখেছেন আরেকটি প্রসঙ্গে। তার ভাষ্য, ‘আজ এখন যখন আমি আমার দিকে দেখি, আমি দেখতে পাই একজন পরিপূর্ণ সুখী মানুষকে। এই জীবনে কষ্ট থাকুক। সেটা কেবল বড় হওয়ার কষ্ট। আমি সেই কষ্টটা আনন্দ নিয়েই করতে চাই। কিন্তু অন্যের ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট পেতে দেবো না আর নিজেকে আমি। এই তো কেমন হাসতে খেলতে ওদের নিয়ে জীবন উদযাপন করছি। আমার মানিকজোড়, একদিন আমরা সত্যি ঐ আকাশ ছোঁব দেখিস।’