জন্মদিনে আইয়ুব বাচ্চু স্মরণ

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কিংবদন্তি মিউজিশিয়ান আইয়ুব বাচ্চু

কিংবদন্তি মিউজিশিয়ান আইয়ুব বাচ্চু

বাংলাদেশি ব্যান্ডসঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃৎ আইয়ুব বাচ্চু। জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ছিলেন তিনি। প্রায় তিন যুগের সঙ্গীতজীবনে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। উপমহাদেশের সেরা গিটারিস্ট হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। সেই রূপালী গিটার আর অগণিত ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ছেড়ে অকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এই সঙ্গীততারকা। তাকে নিয়ে আজও শ্রোতা-ভক্ত ও শুভাঙ্ক্ষীদের মধ্যে রয়েছে প্রবল কৌতূহল। এক নজরে জেনে নিনি কিংবদন্তি এই শিল্পীকে-

নাম: আইয়ুব বাচ্চু, ডাকনাম রবিন, এবি নামেও পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

পেশা: গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী।

কিংবদন্তি মিউজিশিয়ান আইয়ুব বাচ্চু

গানের ধরণ: রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন।

জন্ম: ১৬ আগস্ট ১৯৬২, চট্টগ্রাম

সঙ্গীতজীবন শুরু: ১৯৭৮ সালে ‘সোলস’ব্যান্ডের মাধ্যমে সঙ্গীতজগতে তার যাত্রা শুরু। এরপর তিনি যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী এক দশক এই ব্যান্ডে যুক্ত ছিলেন। সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি।

প্রথম গান: হারানো বিকেলের গল্প

প্রথম অ্যালবাম: রক্তগোলাপ (১৯৮৬)

কিংবদন্তি মিউজিশিয়ান আইয়ুব বাচ্চু

অন্যান্য একক অ্যালবাম: রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি! (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯) এবং জীবনের গল্প (২০১৫)।

ক্যারিয়ারে ব্যান্ড অ্যালবাম: এলআরবি (১৯৯২), সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬) এবং যুদ্ধ (২০১১)।

জনপ্রিয় গানগুলো: ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘সেই তারাভরা রাতে’, ‘মাধবী’, ‘ঘুমভাঙা শহরে’, ‘বেলা শেষে’, ‘তিন পুরুষ’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘এক আকাশ তারা’, ‘নদীর বুকে চাঁদ, ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’ এবং ‘বারোমাস’সহ বাচ্চুর কয়েকশ’ গান আজও দর্শক-শ্রোতাদের মুখে মুখে ভাসে।

কিংবদন্তি মিউজিশিয়ান আইয়ুব বাচ্চু

এছাড়া আইয়ুব বাচ্চু অনেক মিশ্র অ্যালবামেও কাজ করেছেন। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে গেয়েছেন অনেক চলচ্চিত্রেও। মৃত্যুর আগে রংপুরে জিলা স্কুল মাঠে তিনি শেষ কনসার্ট করেন।

মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ (বৃহস্পতিবার) রাতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় আইয়ুব বাচ্চুর। সকাল সোয়া ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।