শিহাব শাহীনের পর মেজবাউর রহমান সুমনের নির্দেশনায় সাকিব

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মতা মেজবাউর রহমান সুমন ও শিহাব শাহীনের সঙ্গে সৈয়দ নাজমুস সাকিব

নির্মতা মেজবাউর রহমান সুমন ও শিহাব শাহীনের সঙ্গে সৈয়দ নাজমুস সাকিব

সৈয়দ নাজমুস সাকিবের অনেক পরিচয়। তিনি চলচ্চিত্র সমালোচক হিসেবে বেশ পরিচিত, একইসঙ্গে শিক্ষক ও অভিনয়শিল্পী। সম্প্রতি জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন নির্মিত হইচই-এর ওয়েব সিরিজ ‘গোলাম মামুন’-এ তার অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

বলতে গেলে, ‘গোলাম মামুন’ ওয়েব সিরিজে মিলন চরিত্রটি দিয়ে তিনি অনেক নতুন দর্শকের কাছে পৌঁছে গেছেন। নারী ভক্তও হয়েছে বেশ!

বিজ্ঞাপন
‘গোলাম মামুন’ ওয়েব সিরিজে অপূর্ব ও সাকিব

শিহাব শাহীনের কাজের পর সাকিব এবার কাজ করলেন দেশের আরেক গুণী নির্মাতা ‘হাওয়া’ সিনেমাখ্যাত মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায়। এই কাজটি নিয়ে যে সাকিব বেশ উচ্ছ্বসিত সে কথা বোঝা যায় তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে।

সুমনের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে সাকিব লিখেছেন, ‘‘২০১৫ সালের জুলাই মাসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার নির্মিতব্য বিজ্ঞাপনের জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। ভাগ্যে শিঁকে ছেড়ে নাই তখন, কাজ করা হয়নি একত্রে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘সাকিব, আপনি এখনও ছোট মানুষ। আমরা এই চরিত্রের জন্য আরেকটু ম্যাচিউরড মানুষকে খুঁজছি। আরেকটু খাওয়া-দাওয়া করেন, আরেকটু বড় হন। এরপরে আমাদের কাজ হবে।’ আমি বলেছিলাম, ‘অবশ্যই একদিন আপনার সাথে আমার কাজ হবে ভাইয়া।’’

সৈয়দ নাজমুস সাকিব ও মেজবাউর রহমান সুমন

সাকিব আরও লিখেছেন, ‘‘২০২৪ সালের জুলাই মাস চলে এখন। অবশেষে মেজবাউর রহমান সুমনের সাথে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করা হলো আমার। নয় বছর পরে হলেও কাজ হল, লাইফ সাইকেল আর কাকে বলে! এখনকার অনেকেই তাকে চেনে ‘হাওয়া’ সিনেমার নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন হিসেবে। আর আমার সাথে তার পরিচয় সেই ‘তারপরেও আঙ্গুরলতা নন্দকে ভালোবাসে’ নামের টিভি প্রোডাকশন দিয়ে। কী সব কাজ যে তিনি করেছেন টিভিতে যা এখন এসে ভাবাই যায় না! সুমন ভাইয়ের যে জিনিসটা আমাকে অবাক করে- একজন ডিরেক্টর কীভাবে এতটা কুল হেডেড হন! ভীষণ ঠান্ডা মাথার মানুষ, সেটে কোন ধমক নাই, অযথা চিৎকার চেঁচামেচি নাই। তিনি ভীষণ ক্লিয়ার, যে তিনি আসলে কী চান। প্রতিটা দৃশ্য, প্রতিটা সিনে ক্যারেক্টরের মেন্টাল স্টেট কী- সব ধরে ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। করতে না পারলে একবারও রেগে যাচ্ছেন না, আবারও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এমন ডিরেক্টরদের জন্য বারবার শট দিতে, নিজের ১০০% দিয়ে দিতে ন্যূনতম কার্পণ্য আসে না। এমন অভিজ্ঞতা কালেভদ্রে আসে। শীঘ্রই দেখবেন কাজটি। সুমন ভাইয়ের সাথে কাজ করা আমার কাছে স্বপ্নপূরণের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।’’