যুবকের মৃত্যুর জন্য দায়ী ‘কে পপ’!
দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার শত্রুতা বহুদিনের। এবার এই শত্রুতার বলি হতে হলো ২২ বছর বয়সী এক যুবককে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে কে-পপ গান শোনা এবং দক্ষিণ কোরিয়ান চলচ্চিত্র দেখার অপরাধে এক যুবককে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তথ্যটি ৬৪৯ জন উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করা ব্যক্তির সাক্ষ্য থেকে নেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াংহাই প্রদেশের সেই যুবকের বিরুদ্ধে ৭০টি কে-পপ গান শোনা এবং ৩টি দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা দেখার অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় বিনোদনের পেছনে অতিরিক্ত খরচ করা নিষিদ্ধ। যারা এই নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদেরকে পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে দূরে রাখার জন্যই এই আইন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার মনে করে কে-পপ গান শুনলেও জনগণের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
প্রতিবেদনটিতে মূলত বাইরের সংস্কৃতির প্রবাহকে আটকানোর জন্য পিয়ংইয়ংয়ের মরিয়া প্রচেষ্টাকে তুলে ধরা হয়েছে। নববধূদের সাদা পোশাক পরা, বরের সানগ্লাস পরা বা ওয়াইন গ্লাস থেকে অ্যালকোহল পান করা এসব বিষয়কে দক্ষিণ কোরিয়ার রীতি হিসেবে দেখা হয়। স্কিনি জিন্স এবং টি-শার্টের পাশাপাশি রঙ্গিন বা লম্বা চুলেও নিষেধাজ্ঞা আছে উত্তর কোরিয়ায়।
তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান