গোসসা করেই কী সিনেমায় অনিহা তৌসিফের!
কয়েক বছর ধরেই সিনেমায় কাজ করার কথা ভাবছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেনও যে, সিনেমার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাঝে টিভি নাটকে কাজ করাও কমিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই তৌসিফই এখন ঈদের নাটক নিয়ে তুমুল ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, আগে যেখানে একটি নাটকের শুটিং দুই-তিনে শেষ করতেন এখন তাতে সময় দিচ্ছেন প্রায় এক সপ্তাহ করে। নেই তার কোন সিনেমার খবর। এমন পরিস্থিতিতে অভিনেতা গণমাধ্যমকে জানালেন, তার হাতে এখন অনেক ভালো ছবি আসলেও আর করবেন না? তবে কি এতোদিন বসে থাকার পরও সিনেমার ভালো প্রস্তাব না পেয়েই তৌসিফের এই গোসসা?
না, তৌসিফ ভিন্ন কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। জানালেন, এত বছর ধরে নাটক করেন নিশো ভাই, তিনি প্রথম সিনেমা হিট দিতে পেরেছেন। সে কারণে আমিও উৎসাহিত হয়েছিলাম সিনেমায়। পরে মনে হলো, নিশো ভাইয়ের মতো আমিও একজন পরিপূর্ণ নাটকের অভিনেতা হিসেবে তৈরি হয়ে ফিল্ম করলে ভালো কিছু হতে পারে। আরও পরিপক্ব অভিনেতা হতে চাই। আমি নাটকে আরও দর্শক তৈরি করতে চাই, ভক্তশ্রেণি তৈরি করতে চাই। সেই পথেই আছি। আমার হাতে এখন যত ভালো সিনেমাই আসুক না কেন, করব না। এখনই সিনেমা করলে আমার জন্য ঝুঁকি আছে। সিনেমায় অভিষেকটা নিশো ভাইয়ের মতোই চাই আমি। ২০২৫ সালে যদি না-ও হয়, ২০২৬ সালে সিনেমা করব।
আর এখন এক একটি নাটক শেষ করতে কেন এতো বেশি সময় দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণত আগে এক ঘণ্টার নাটক তিন থেকে চার দিনে শেষ করতাম। তখন যে পারিশ্রমিক নিয়েছি, এখন এসে এত সময় নিয়েও একই পারিশ্রমিক নিচ্ছি। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবছি না। কাজগুলো বড় বাজেটে, ফিল্মের ক্যানভাসে করার চেষ্টা। একটা টার্গেট আছে। আমি সামনে ফিল্ম করতে চাই। এখন আমার অভিনয়, কাজের মানটা একটা জায়গায় নিতে হবে। কম সময় নিয়ে যখন কাজ করি, তখন গল্প পরিপূর্ণভাবে করা সম্ভব হয় না। সময় নিয়ে করার কারণে গল্প পরিপূর্ণভাবে বলা সম্ভব হয়। এতে কাজের মান বাড়ে, বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছায় কাজটি। আমিও চাই, আমার কাজ বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাক। এ কারণেই একই পারিশ্রমিকে বাড়তি পরিশ্রম করছি। বলতে পারেন এভাবে সময় দিয়ে নাটক করা ফিল্মের পূর্বপ্রস্তুতি। এতে করে পরবর্তী সময়ে যখন সিনেমা করব, তখন সিনেমার পথটি সহজ হবে।’