অভিনয়শিল্পীদের ধর্মঘটে অচল হলিউড
লেখক ও অভিনয়শিল্পীদের ডাকা ধর্মঘটে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে হলিউডে। ৬৩ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার অভিনেতা ও লেখকেরা একযোগে ধর্মঘটে নেমেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ১৯৬০ সালের পর এই প্রথম আন্দোলনে নামল হলিউডের অভিনেতাদের সংগঠন। আজ থেকে ৬৩ বছর আগেও একবার হলিউড অভিনেতারা আন্দোলনে নেমেছিলেন। সে সময় হলিউড অ্যাক্টরস গিল্ডের সভাপতি ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।
ধর্মঘটের কারণে স্টার সিলিয়ান মারফি, ম্যাট ড্যামন ও এমিলি ব্লান্ট বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডনে ক্রিস্টোফার নোলানের ওপেনহাইমারের প্রিমিয়ার ছেড়ে চলে যান ।
মেরিল স্ট্রিপ, জেনিফার লরেন্সের মতো এ-তালিকাভুক্ত তারকাসহ এক লাখ ৬০ হাজার অভিনয়শিল্পীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড বলেছে, বেতন কমানো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মক্ষেত্রে যে হুমকি তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে তাদের দাবির কোনো মীমাংসা হয়নি। কোনো ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। তাই তারা ধর্মঘটে যাচ্ছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক স্টুডিও-র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় অভিনেতা ইউনিয়নের। কিন্তু ইউনিয়নের প্রতিটি দাবি মেনে নিতে পারেনি স্টুডিও কর্তৃপক্ষ।
অভিনেতাদের দাবি, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী প্রণোদনা দিতে হবে। আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলি ভিউ অনুযায়ী অভিনেতাদের প্রণোদনা দিত। ইউনিয়নের অভিযোগ, নেটফ্লিক্সসহ অন্যান্য অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি ভিউয়ের হিসাব পর্যন্ত দেয় না। ফলে কোনটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তা বোঝাও যায় না, প্রণোদনাও দেওয়া হয় না।
স্টুডিওগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারস (এএমপিটিপি) ধর্মঘটের নিন্দা করে বলছে, ধর্মঘটের ফলে আমাদের ক্ষতি হবে। টিভি শো ও চলচ্চিত্রকে প্রাণবন্ত করা অভিনয়শিল্পীদের ছাড়া স্টুডিওগুলো চলতে পারে না।
আরও বলেন, ইউনিয়ন দুঃখজনকভাবে এমন একটি পথ বেছে নিয়েছে যা শিল্পের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার লোকের জন্য আর্থিক কষ্ট তৈরি করবে।