উপমহাদেশের চলচ্চিত্রে সবচেয়ে সমাদৃত-শক্তিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। নিজের ফেসবুক পেইজে তিনি শেয়ার করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত কলকাতার 'পদাতিক' সিনেমার পোস্টার।
সিনেমাটি ভারতের কিংবদন্তী নির্মাতা মৃণাল সেনের জীবন নিয়ে নির্মিত হবে। সিনেমায় মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। তার স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে আছেন মনামী ঘোষ।
বিজ্ঞাপন
২০২৩ সালে ধুমধাম করে পালন করা হবে মৃণাল সেনের জন্মশত বর্ষ। তারই অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে 'পদাতিক'।
এ সময়ে ছোটপর্দার ব্যস্ততম অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ইউটিউবে তার নাটকের দারুণ চাহিদা। প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হয় তার নাটকগুলো। ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করেছেন ধর্মকর্ম করার জন্য।
বাবা মা স্ত্রীসহ তিনি এখন সৌদিতে, গিয়েছেন ওমরাহ পালন করতে। যাওয়ার সময় একটি ছবি দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই অভিনেতা। তার সেই পোস্টে অনেকেই নিলয়ের উমরাহ পালনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও একজন লিখেছেন, ‘অভিনয়টা ছেড়ে দিও ভাই’! নিলয় অবশ্য অন্য তারকাদের মতো কমেন্টটি দেখেও না দেখার ভান করেননি। তিনি সেই মন্তব্যের প্রতিউত্তরে লিখেছেন, ‘অভিনয়ের টাকা দিয়েই যাচ্ছি’। অর্থাৎ অভিনয় করে যে টাকা পারিশ্রমিক পান তা জমিয়েই পরিবারের সবার ওমরাহ পালনের খচর নির্বাহ করছেন তিনি।
নিলয়ের সেই উত্তর অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ সাড়া ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে নিলয় আরেকটি স্ট্যাটাস দেন ওই মন্তব্যের জবাব হিসেবে। পোস্টে কারও নাম না উল্লেখ করে নিলয় আলমগীর লিখেছেন, ‘আমার নাটক দেখেই আমাকে চেনন এবং আমার নাটক দেখেই আমার ভক্ত (ফ্যান) হয়েছেন। এখন আবার আমাকে বলছেন নাটক ছেড়ে দিতে। কিছুই তো বুঝতেছি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি নাটক ছেড়ে দিলেই কি আপনি নাটক দেখা বন্ধ করবেন? সেটা তো করবেন না। অন্য আরেকজনের নাটক ঠিকই দেখবেন। নাটক যদি এতই খারাপ জিনিস হয়, তাহলে সবাই মিলে নাটক দেখা বন্ধ করে দেন, তাহলে নতুন নাটকও হবে না। বল কিন্তু আপনার কোর্টে।’
এই স্ট্যাটাসে আবার আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘মানুষ যা বুঝাতে চেয়েছে তা হল, আপনি যেন হজ্জ করে আর নাটকে না ফিরেন, যখন মিডিয়া জগৎ ছাড়বেন তখন হজ্জ করতেন।’
নিলয় এবারও থামেলেন না, দিলেন পাল্টা জবাব, ‘বাঁচা মরার গ্যারান্টি কে দিবে
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী সুপার হিরো সুপার হিরোইন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে ডেবিউ হয় নিলয় আলমগীরের। পরবর্তীতে মাসুদ কায়নাত পচিালিত ‘বেইলি রোড’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেন।
সবশেষ অভিনীত সিনেমা ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’, যা মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। এরপর অবশ্য আর সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে। তবে ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন এ অভিনেতা।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের। জানা যায়, এখন শঙ্কামুক্ত আছেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে ‘ভাইরাল ফিভার’ নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুশফিক আর ফারহান। সেখানে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে মুশফিক আর ফারহানকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাকে দ্রুতই কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গেছে, অভিনেতা ফারহানের প্রেশার এখনও স্ট্যাবল নেই, ফলে তাকে এইচডিইউতে রাখা হয়। তবে, আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন, খেতে পারছেন এবং কথাও বলতে পারছেন। এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিনেতা ফারহান। শুটিংয়ের কস্টিউম গোছানোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে, রাতেই তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফারহানের সহ-অভিনেতা জয়নাল জ্যাক জানান, রাতেও সুস্থ ছিলেন ফারহান। বাসায় বোনের সাথে কথা বলার সময় পরিচালক রুবেল আনুশের নাটকের শুটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। তবে, হঠাৎ কথা বলতে বলতেই তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্র বলছে, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান জ্বর ও শরীর ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হন।
গেল বছর নিজের জন্মদিনে ফার্স্টলুক প্রকাশের মাধ্যমে ‘জংলি’ নামে নতুন ছবির ঘোষণা দেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। গত বছর কোরবানির ঈদে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তবে নতুন বছরের প্রথমদিন সিয়াম জানিয়ে দিলেন, চলতি বছর সিনেমা হলে আসছে ‘জংলি’।
সিয়ামের কথা মতোই চলে এলো ‘জংলি’ মুক্তির ঘোষণা। একটু আগেই সিয়াম তার ফেসবুকে ‘জংলি’র প্রথম অফিসিয়াল ফার্স্ট লুক শেয়ার করে জানিয়েছেন, ‘জংলি আসছে ঈদুল ফিতরে’। অর্থাৎ আসছে রোজার ঈদেই বড়পর্দায় দেখা যাবে সিয়াম অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত এই ছবিটি। ‘জংলি’তে সিয়ামের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন শবনম বুবলী ও দীঘি।
‘জংলি’র ফার্স্ট লুকে সিয়ামকে দেখে অবাক সবাই। অল্প সময়ের মধ্যেই শোবিজ অঙ্গনে পোস্টারটি সাড়া ফেলেছে। কারণ সিয়ামকে দেখা যাচ্ছে একেবারেই ভিন্ন একটি লুকে। মুখে ক্ষতচিহ্ন, জিহ্বা দিয়ে রক্ত ঝরছে অবিরত, এই সিয়ামের হিংস্র চাহুনী দেখলে গা শিওরে ওঠে!
‘জংলি’ মুক্তির ঘোষণার মধ্য দিয়ে আবারও ঢালিউডের বাজার গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ একই দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ও আফরান নিশোর ‘দাগী’। এ সময়ের শীর্ষ তিন নায়কের সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পাওয়া মানে বোঝাই যাাচ্ছে, বক্স অফিসের লড়াইটা দেখার মতো হবে।
এদিকে, ‘জংলি’ সিনেমার জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছেন সিয়াম আমহেদ। তাই ‘জংলি’র চরিত্রটা গেল এক বছর আগলে ধরে রেখেছেন তিনি। চরিত্র হয়ে উঠতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি এই নায়ক। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিয়াম ফেসবুকে লেখেন, ‘অভিনেতাদের জীবনে মাঝে মাঝে এমন চরিত্র আসে যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। ‘জংলি’ আমার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে এই বছর। হয়তো চুল-দাড়িতে এক্সটেনশন লাগালেই হতো তবুও প্রায় ৭ মাস চুল-দাড়ি কাটিনি। এক বছর চরিত্রটাকে আগলে ধরে রেখেছি। কারণ, চরিত্রটাকে যাপন করতে চেয়েছি, দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চেয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি, বাকিটা দর্শকের হাতে।’
‘জংলি’ ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা। পরিচালনার দায়িত্বে আছেন এম রাহিম। এতে রোমান্স, অ্যাকশন, ড্রামা, সাসপেন্স সব কিছুই আগে। বলা চলে, পুরাদস্তুর কমার্শিয়াল সিনেমা। সিনেমার শুটিং শেষে ভারতে পোস্ট প্রডাকশনের কাজও শেষ। চমক নিয়ে আসবে ‘জংলি’ যা চলতি বছর সিনেমা হলে দেখা যাবে বলে জানালেন সিয়াম।
এর আগে সিয়ামকে নিয়ে অ্যাকশনধর্মী সিনেমা ‘শান’ বানিয়েছিলেন এম রাহিম। ‘জংলি’তেও সেই ধারা অব্যহত রেখেছেন নির্মাতা। এতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
‘বিশ্বজুড়ে বাঙালিয়ানা’ এই শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিকি টিভি চ্যানেল এটিভি ইউএসএ-এর থিম সং গাইলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, কোনালসহ মোট ১৮ জন কন্ঠশিল্পী। থিম সংটির কথা লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ। এর সুর, সঙ্গীত, ভিডিও পরিকল্পনা ও পরিচালনায় রয়েছেন তানভীর তারেক।
মোট ১১ টি দেশে চিত্রায়িত ও অর্ধশত শিল্পীর অংশগ্রহণে এই থিম সংটির অডিও-ভিডিও নির্মাতা তানভীর তারেক বলেন, ‘টানা ২ মাস ধরে আমরা এই থিম সংটির ভিডিও প্ল্যান করি। সেখানে বাংলাদেশের মফস্বলের টং দোকানি থেকে শুরু করে হলিউউ শহর লস এঞ্জেলসেও আমরা শুটিং করেছি। মোট ১১ টি দেশে এর চিত্রায়ন হয়। তাই বিভিন্ন শাখার অর্ধশত’রও বেশি শিল্পী এই গানটিতে অংশ নিয়েছেন। এই পরিশ্রমলব্ধ কাজটি একারনেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, যাতে আমাদের থিম সংয়ের মর্মার্থ সারাবিশ্বের বাঙালিয়ানা কালচারকে যে আমরা এক করার চিন্তা করেছি তা প্রকাশ পায়। এই আয়োজনের প্রত্যেক শিল্পী থেকে শুরু করে আমাদের প্রডাকশন ক্র’র প্রতিও আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
গানটিতে সহশিল্পী হিসেবে কন্ঠ দিয়েছেন ঢাকা-নিউইয়র্কের আরও ১৬ জন কন্ঠশিল্পী। নিউইয়র্ক স্টুডিওতে কন্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান বকুল, শামীম সিদ্দিকী, চন্দ্রা রায়, নাজু আখন্দ, কৃষ্ণা তিথি, মরিয়ম মারিয়া, শাহ মাহবুব, সৌরভ। ঢাকার ধ্রুব মিউজিক স্টেশন স্টুডিওতে কন্ঠ দিয়েছেন ৮ তরুন কন্ঠশিল্পী। তারা হলেন অংসুক রায়, সুকল্যান মুখার্জি, নয়ন দাস, রুদ্র দাস, তিথি মজুমদার, নন্দিতা সাহা, সোনালী সাহা ও সম্বিতা তালুকদার লতা।
গানটির সাউন্ড ডিজাইন, কম্পোজিশন ও মিক্স মাস্টারিং হয়েছে ঢাকা, নিউইয়র্ক ও লাস ভেগাসের স্টুডিওতে। কাজ করেছেন লাস ভেগাসের টিএফপি স্টুডিওর এলেক্স, নিউইউয়র্কের তানভীর তারেক ও অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু, ঢাকার মার্সেল। পুরো সাউন্ড ডিজাইন, নির্দেশনা ও ভিডিও পরিচালনা করেছেন তানভীর তারেক। ভিডিও প্রডাকশনের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন ইয়ামিন ইলান, তার ই-মিউজিক টীম ও কোলাহল কমিউনিকেশন। সম্পাদনা ও কালার গ্রাফিক্স এসএম তুষার। কারিগরি সহযোগিতায় আরো ছিলেন বায়োস্কপ ফিল্মস।
এছাড়া এটিভি ইউএসএর থিম সংটির ভিডিও শুটিংয়ে মোট ১১ টি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাঙালি গুণীজনরা অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যসহ, দুবাই, সৌদি আরব, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, যুক্তরাজ্য, কাতার, ভারত, অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে এই থিম সংয়ের ভিডিও দৃশ্য ধারন করা হয়েছে।
ঢাকার ২০ জন নৃত্যশিল্পী এই থিম সংয়ে অংশ নিয়েছেন। নৃত্যশিল্পীদের কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন এ মাহবুব হোসেন। ঢাকার স্মৃতি সৌধ, লালবাগের কেল্লা, শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরনো ঢাকার একাধিক লোকেশনে টানা ৫ দিন শুটিং করা হয়। থিমসংয়ের মিউজিক ভিডিওতে দুজন শিশুশিল্পীও কাজ করেছেন কথামনি ও শুদ্ধ।
এটিভি ইউএসএর প্রযোজনায় এমন ব্যয়বহুল ও ব্যপ্তির মিউজিক থিমসং এর আগে কোনো যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিভিশন উপস্থাপন করেনি। এ প্রসঙ্গে এটিভি ইউএসএর কর্ণধার আকাশ রহমান বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই শুধু কমিউনিটি টেলিভিশনের ভেতরেই এটিকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। কারণ এখন কোনোকিছুই আর লোকাল নেই। সবই গ্লোবাল বাজারেই ফাইট দিতে হয়। আর যেহেতু এটিভি ইউএসএ আমাদের নিজস্ব অ্যাপ ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে একই ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা এর আঙ্গিকটাও বিস্তৃত রাখছি। সেই অনুযায়ীই আমরা তানভীর ভাইয়ের নির্দেশনায় গত প্রায় ২ মাস ধরে পরিকল্পনা করে এই থিমসংটি তৈরি করার কথা ভাবি। সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পী কলাকুশলীদের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা। বিশ্বজুড়ে বাঙালিয়ানা’ আমাদের এই শ্লোগানটির মতো করেই আমরা সারাবিশ্বে বাংলা সংস্কৃতিতে তুলে ধরতে চাই।’