ফের একবার নতুন কারণে খবরের শিরোনামে এসেছেন জাস্টিন বিবার। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলসের ‘দ্য নাইস গাই’ রেস্তোরাঁয় জাস্টিন বিবারের তারকাবহুল কনসার্টের আফটার পার্টি চলছিল। হঠাৎ সেখানে গোলাগুলি শুরু হলে এসময় একজন র্যাপারসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, এদিন রাত পৌনে ৩টা দিকে লাল ফেরারিতে আসা একদল যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় র্যাপার কোডাক ব্ল্যাকের। এরপরই গুলি চলতে শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় র্যাপার কোডাক ব্ল্যাকসহ আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকেরই পায়ে গুলি লেগেছে।
সবমিলিয়ে মোট ১০ রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন ১৯ বছর বয়সী কোডাকের বন্ধু। ৬০ বছর বয়সী অপর এক ব্যক্তি কোডাকের অটোগ্রাফ নিতে এসে ঝামেলায় ফেঁসে যান ও গুলিবিদ্ধ হন।
বিজ্ঞাপন
Rapper Kodak Black shot after Justin Bieber concert in LA, 3 others shot as well, no deaths
‘প্যাসিফিক ডিজাইন সেন্টার’-এ কনসার্টের পরে ‘দ্য নাইস গাই’-তে ধামেকাদার এই পার্টির আয়োজন করেছিলেন জাস্টিন বিবার। পার্টিতে হেইলি বিবার, কোহল কার্দাশিয়ান, লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, টবি ম্যাগুয়ার, জেফ বেজো, লরেন স্যানচেজ, অ্যান্থরি রামোস, টনি গনজালেজ সহ আরও অনেক তারকা উপস্থিত ছিলেন।
বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা মোশাররফ করিম আর কলকাতার মেধাবী অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকে নিয়ে ‘বিলডাকিনি’ নামের একটি ছবির ঘোষণা হয়। ছবির কাজও অনেক আগে শেষ হয়। কিন্তু মুক্তির আলো দেখেনি এতোদিন।
এবার ছবিটির পোস্টার উন্মোচনের মাধ্যমে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হলো। নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন ফজলুল কবীর তুহিন। শুক্রবার চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা ও পোস্টার উন্মোচন করতে নির্মাতা ও কলাকুশলীরা যান এমন একটি স্থানে যেখানে চলচ্চিত্রটি চিত্রায়িত হয়েছিল। অর্থাৎ শুটিং স্পটে দাঁড়িয়েই পোস্টার উন্মোচন করেন সকলে-ঘোষণা করলেন মুক্তিযাত্রা। এ সময় জানানো হয় ছবিটি আগামী ২৪ জানুয়ারী দেশের সকল সিনেপ্লেক্সসহ আরও কিছু হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
পোস্টারে চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করা মোশারররফ করিমের পাশাপাশি দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকেও। এর আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বড়পর্দায় অভিষিক্ত হন পার্নো।
বিলডাকিনিতে মোশাররফ করিম আছেন মানিক মাঝি চরিত্রে। বাউলের সন্তান সে। অন্যদিকে পার্নোর চরিত্রের নাম হানুফা। গ্রামীণ নারী হনুফার গল্পেই আবর্তিত হয় বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের কাহিনি।
পোস্টার উন্মোচন পর্বে মোশাররফ করিম বলেন, ‘‘বিলডাকিনি’ আমার একটি প্রিয় ছবি। তার প্রধাণ কারন হচ্ছে, এটি আমাদের সমাজের কথা বলে, সমাজের সমস্যার কথা বলে এবং সমস্যা থেকে উত্তরণের কথা বলে। মানুষের অমানুষ হয়ে ওঠার কথা বলে এবং অমানুষকে মানুষ করার কথা বলে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিনয় করে সন্তুষ্ট এবং তৃপ্ত। আমি চাই ছবিটি সবাই দেখুক। আমাকে আপনারা পছন্দ করেন বলেই মনে করি। এই সিনেমাটা আপনারা দেখবেন সে প্রত্যাশা করি একটাই কারণে সেটা হচ্ছে এটা আমাদের গল্প আমাদের সিনেমা।”
মোশাররফ করিম আরও বলেন, ‘আপনারা সবসময় আমাদের কাজগুলোকে ভালোবেসে এসেছেন বলেই আমরা কাজ করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। আমরা দেশের কথা বলতে চাই, সমাজের কথা বলতে চাই। আমাদের সেই বলতে চাওয়ার পেছনের কারণটা আপনারা। কামনা করছি এবারও আপনারা আপনাদের ভূমিকাটা রাখবেন আমাদের সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে।’
নির্মাতা ফজলুল তুহিন বলেন, ‘একজন নারী ও তার মাতৃত্বের স্বাধীনতার প্রশ্নে অসম্ভব লড়াইয়ের গল্প এটি। চিরায়ত বাংলার রূপ মানুষ দেখতে পাবে এই ছবিতে, এবং একইসঙ্গে মানুষের চিরায়ত দুঃখও দেখতে পাবে। যেখানে মানুষের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার অনুপ্রেরণা মিশে গেছে।’
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত ‘বিলডাকিনি’ ছবিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহাজাহান সম্রাট, লুৎফর রহমান জর্জ, শিল্পী সরকার অপু, রশীদ হারুন, হাবিব মাসুদ, আইনুন নাহার পুতুল, ইউসুফ হাসান অর্ক, মাহবুবুর রহমান, তিথি, মেহেদী হাসান সোমেন। ছবির শ্যুটিং হয়েছে নওগাঁর প্রতিসর, নাটোর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারে।
দারুণ সময় পার করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান। আজ তার জন্মদিনে ভাসছেন ভক্ত, সহকর্মীদের শুভেচ্ছা। আসছে ১৫ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে তার সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। সমসাময়িক বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
জন্মদিনের শুভেচ্ছ...
ধন্যবাদ। জন্মদিনে আমি কখনোই কোন আয়োজন করি না। আমার জন্মদিন স্পেশ্যাল করে দেন আমার পরিবার, আমার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী এবং দর্শক। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অনেকের ভালোবাসা ও শুভকামনা পাওয়ার একটা সুযোগ ঘটে জন্মদিনে। আমি বেশ এনজয় করি।
আসছে ১৫ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে তার সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। এটা নিয়ে অনুভূতি কেমন?
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগ’-এ আমার অভিনীত একাধিক ছবি জায়গা করে নিয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’ ও সাজেদুল আওয়াল পরিচালিত ‘ছিটকিনি’। ‘হালাদা’ ছবিটি সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কারও জয় করে নেয়।
তবে কিছু প্রাপ্তি থাকে যার কোন তুলনা হয় না। একজন শিল্পী যতোবারই জাতীয় পুরস্কার পাক না কেন, অনুভূতি একই রকম আনন্দের থাকে। আমার কাছে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ নিজের ছবি থাকাও একই রকম আনন্দ ও সম্মানের। কারণ এটি আমাদের দেশের চলচ্চিত্রবিষয়ক সবচেয়ে বৃহৎ ও সমৃদ্ধ আয়োজন।
আমার ‘নীলপদ্ম’ ছবিটি ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ দুদিন প্রদর্শীত হবে। প্রথম শো হবে ১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৭টায়, জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে। পরের শোটি হবে উৎসবের শেষ দিন অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি রবিবার বিকেল ৩টায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে। আমি দুদিনই উপস্থিত থেকে ছবিটি দর্শকের সঙ্গে দেখতে চাই। সকল দর্শককে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানাই। যতো বেশি দর্শকের কাছে ছবিটি পৌঁছবে ততোই আমাদের পরিশ্রম সার্থক বলে মনে হবে। আমি চাই ছবিটি দেখে দর্শক তাদের সব ধরনের ফিডব্যাক আমাদের দেবেন।
‘নীলপদ্ম’ ছবিটি নিয়ে কিছু জানান...
এটি দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়ে নির্মিত। ছবিটি পরিচালনা করেছেন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌফিক এলাহী। নির্মাতার এটি প্রথম ছবি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, এটা একটা সরল গল্প। জটিল কিছু না। গল্পধর্মী ছবি। অসাধারণ সব সহশিল্পী পেয়েছি। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই রাশেদ মামুন অপু ভাইয়ের কথা। তিনি আমাকে সহশিল্পী হিসেবে ভীষণ সাহায্য করেছেন। সব মিলিয়ে একেবারে সরল ও সরলতার ভেতর দিয়ে কাজটি আমরা শেষ করেছি। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছন রোকেয়া প্রাচী, একে আজাদ সেতু, শাহেদ আলী, সুজাত শিমুল প্রমুখ।
২০২৩ সালের এমনই এক শীতে (জানুয়ারি) ‘নীলপদ্ম’র শুটিং করতে প্রথমবার রাজবাড়ী জেলার বিখ্যাত দৌলতদিয়ায় যাই। বেশকিছু দিন ছিলাম ওখানে। জীবনে প্রথম গেলাম সেখানে। নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম। যে অভিজ্ঞতা মানুষ হিসেবে অসম্ভব সমৃদ্ধ ও সুন্দর। দৌলতদিয়া সম্পর্কে যারা জানেন, তারা তো জানেনই। যারা জানেন না, তাদের জন্য বলা, দৌলতদিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতাপল্লী। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় গণিকালয়গুলোর একটি। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তিতে জড়িত। ‘নীলপদ্ম’র মূল চরিত্র নীলাকেও দেখানো হয়েছে এই পল্লীর একজন যৌনকর্মী হিসেবে। নীলার চরিত্রের মাধ্যমে উঠে এসেছে এই পেশার মানুষের জীবনের গল্প। চরিত্র হিসেবে এটা যে কোনো অভিনেত্রীর জন্য চ্যালেঞ্জিং এবং স্পর্শকাতরও বটে।
ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কিভাবে?
অভিনেতা সজল ভাই একদিন আমাকে ফোন করে বলেন, ‘গল্পটা আমি শুনেছি। তোর জন্য চরিত্রটা ঠিকঠাক হবে। তুই সিটিং দিয়ে দেখ। পছন্দ হলে করিস।’ এরপর নির্মাতা তৌফিক ভাই যোগাযোগ করলেন। গল্পটা শুনলাম। চিত্রনাট্য পড়লাম। আমার পছন্দ হলো। কাজটি করে ফেললাম।
আমি মনে করি, অর্থ বা জনপ্রিয়তার বাইরে গিয়ে প্রতিজন শিল্পীর ভেতরেই এমন কিছু চাওয়া থাকে; যেটা সে নিজের কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চায়। ‘নীলপদ্ম’ আমার কাছে তেমনই একটা কাজ। যে কাজটির মাধ্যমে সমাজকে কোনো বার্তা দিতে চাইনি, তবে একই রাষ্ট্রের দুটি আলাদা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে চেয়েছি। এই ছবিটির মাধ্যমে দৌলতদিয়ার একজন নীলার জীবনের গল্পটি পৌঁছে দিতে চাই সমাজের প্রতিটি স্তরে থাকা তরুণ দর্শকের কাছে। একজন ক্ষুদ্র অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা আমার মনের ভেতরের সুপ্ত ইচ্ছাও বলতে পারেন।
এই ছবিতে আপনার চরিত্র ‘নীলা’র সম্পর্কে কিছু বলুন...
‘নীলপদ্ম’ মূলত নীলার জীবনের জার্নির গল্প। সে একজন যৌনকর্মী। ওই শ্রেণির মানুষের জীবন, সামাজিক অবস্থা, সংগ্রামের গল্প বা পরিণতির গল্প এটা। আসলে জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি বুঝেছি, নারী যে কোন অবস্থানেরই হোক না কেন, কোথাও গিয়ে এক সূত্রে গাথা। নারীকে আমাদের সমাজে পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কিংবা অন্য যে কোনভাবে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কোন নারীর জীবনই খুব সহজ না।
নারীদের এই পরিস্থিতির জন্য কি পুরুষদের দায়ী করবেন?
না, আমি তা সব সময় মনে করি না। পুরুষতান্ত্রিকতা মূলত একটি মানসিকতা। যার ফলে সমাজে পুরুষের আধিপত্য তৈরি হয়। সেটা আমাদের সমাজেও আছে। কিন্তু আমি আমার জীবনে এমন অনেক পুরুষ দেখেছি যারা ভীষণ মানবিক মানুষ। তারা নারীদের অধিকার দিতে কিংবা নারীর চলার পথ কিভাবে মসৃন করা যায় সেই চেষ্টা করে। আবার অনেক নারীকে দেখেছি যারা অসম্ভব রকমের পুরুষতান্ত্রিক! আমার মনে হয় পুরুষতান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী পুরুষের চেয়ে পুরুষতান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী নারীরা আরও বেশি কঠিন। তারা অপ্রাপ্তি, ঈর্ষা কিংবা নানা কারণে অন্য একজন নারীর প্রতি অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অনেক তারকা। পিছিয়েছে পুরস্কার অনুষ্ঠান, বাতিল হয়েছে শুটিং। এর মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ১০ লাখ ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস। এবার বড় অঙ্কের অনুদানের ঘোষণা দিল প্রভাবশালী স্টুডিও ডিজনি।
গত শুক্রবার ১৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৮৩ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে ডিজনি। বিনোদনবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, ডিজনির এই অনুদান যাবে লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার বিভাগের ফাউন্ডেশন, লস অ্যাঞ্জেলেস আঞ্চলিক ফুড ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থায়।
ডিজনির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সব কর্মচারী দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে একসঙ্গে কাজ করবে।’
দ্য হলিউড রিপোর্টার জানিয়েছে, আরেকটি প্রযোজনা সংস্থা প্যারামাউন্ট গ্লোবালও ১০ লাখ ডলার অনুদানের ঘোষণ দিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, দাবানলের ঘটনায় তারা ভীষণভাবে মর্মাহত। এ ঘটনায় যাঁদের জানমালের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পূর্ণ সমবেদনা আছে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে প্যারামাউন্ট গ্লোবাল।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিলেন জনপ্রিয় গায়ক ও কম্পোজার বাপ্পা মজুমদার। গানটির শিরোনাম ‘বলেছ’। সৈয়দ গালিব হাসানের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতায়োজনও করেছেন বাপ্পা নিজে।
গত সপ্তাহের বুধবার সন্ধ্যায় সুরকারের বাপ্পার নিজস্ব স্টুডিওতে গানটির রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়। গীতিকবি গালিব জানান, অনেকটা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়েই রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছে বাপ্পার। শুরুতে ‘বলেছ’ রুনা লায়লার কণ্ঠে একক গান হিসেবে রেকর্ড করার কথা ছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপ্পার সঙ্গে গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজনের কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রুনা লায়লা ‘বলেছ’ গানটি দ্বৈত কণ্ঠে রেকর্ড করার প্রস্তাব দেন। সেই সঙ্গে উপস্থিত সবাইকে চমকে দিয়ে গানটিতে সহশিল্পী হিসেবে বাপ্পাকে গাইতে বলেন। আর এভাবেই দুই শিল্পীর প্রথম দ্বৈত গানটির জন্ম।
রুনা লায়লা বলেন, ‘‘একটি গানের কথা কতটা নান্দনিক ও হৃদয়স্পর্শী করে তোলা যায়, ‘বলেছ’ গানটি তার একটি উদাহরণ। কথার পাশাপাশি গানের কম্পোজিশনও অসাধারণ। শোনার পর মনে হয়েছে, এটি একক নয়, দ্বৈত গান হিসেবে রেকর্ড করা যেতে পারে। আর বাপ্পা যেহেতু ভালো গায়, কণ্ঠে মাদকতা আছে, সে কারণেই তাকে সহশিল্পী হিসেবে গাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া। বাপ্পা নিজেও চেষ্টা করেছে গানে তার সেরা গায়কি তুলে ধরার। তাই গান রেকর্ড করে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছে। গানটি শোনার পর শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’’
রুনা লায়লার সঙ্গে প্রথমবারের মতো দ্বৈত গান গাইতে পেরে উচ্ছ্বসিত বাপ্পা মজুমদার। তিনি বলেন, “আমি সৌভাগ্যবান, কিংবদন্তি রুনা লায়লার সঙ্গে গাইতে পেরে। তিন দশকের শিল্পীজীবনে এটি ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। একই সঙ্গে সংগীত ক্যারিয়ারে এ এক পরম প্রাপ্তি। রুনা লায়লার কণ্ঠ ও গায়কি নিয়ে কিছু বলার সাহস নেই। তার গানের সুর করতে পারাই ছিল আমার জন্য অন্য রকম আনন্দের। ‘বলেছ’ গানটি মূলত রুনা লায়লার জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গানের সুর শুনে তিনি নিজ থেকেই বলেছিলেন, ‘তুমি বরং আমার সঙ্গে গাও, গানটি ডুয়েট হোক!’ এই প্রস্তাব সংগীতজীবনের অনন্য উপহার হিসেবেই গ্রহণ করেছি।”