প্রতিবেশীর প্রতি পোষা কুকুর হত্যার অভিযোগ আনলেন সোনিয়া রিফাত
প্রাণবিক মানুষ হিসেবেই স্যোসাল মিডিয়ায় পরিচিত মডেল ও উপস্থাপিকা সোনিয়া রিফাত। তার পোষা কুকুরকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ আনলেন।
তার দাবি, ঘাতক গাড়ির চালক একই বিল্ডিংয়ের একটি ফ্লাটের বাসিন্দার ড্রাইভার। গাড়িটির মালিক গৌতম, একটি ফাইন্যান্স কোম্পানিতে কর্মরত। জানা যায়, কুকুরটি ‘গার্ড ডগ’ হিসেবে থাকতো বিল্ডিংয়ের সামনে। খুব আদর যত্নে পুষতেন সোনিয়া রিফাত।
বিগত কয়েক মাস ধরে বিল্ডিংয়ের কয়েকজন বাসিন্দা কুকুরটারে বিনা কারণে অপসারনের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর হঠাৎ ১৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে বিল্ডিংয়ের গ্যারেজের সামনে ঘুমিয়ে থাকা কুকুরটার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গ্যারেজে ঢুকে যায় গাড়িটি। দু’দিন চিকিৎসা চলার পর ১৯ জানুয়ারি সকালে মারা যায় কুকুরটি। কুকুরটির নাম ছিলো কুকি।
ঘাতক ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করে কেন এরকমটা করেছেন জানার চেষ্টা করলে গাড়ির মালিক গৌতম তার ড্রাইভারের সাথে কোন রকম কথা বলতেও দেননি সোনিয়া রিফাতকে। এতে তার সন্দেহ হয় যে, গৌতম ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রাইভারকে দিয়ে ব্যাপারটা ঘটিয়েছেন যেহেতু আগেও কুকুর নিয়ে তাদের আপত্তি ছিলো।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মামলা করতে থানায় গেলে তিনটি থানা ঘুরেও মামলা করতে পারেন নি বলে জানিয়েছেন সোনিয়া। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার প্রথমে কাফরুল থানায় মামলা করতে যান তিনি। তারা দাবি করেন ঘটনাস্থল শেওড়াপাড়া তাদের এরিয়ায় না। তারা মিরপুর-২ থানায় যোগাযোগ করতে বলে। তিনি সেখানে গেলে তারা কুকুরের হত্যার মামলা করতে চাওয়ায় ভৎর্সনা পাওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি। থানার পক্ষ থেকে বলা হয়-‘এই এলাকা আমাদের অধীনে না আপনি শেরে বাংলা থানায় যোগাযোগ করেন’। শেরে বাংলা থানায় গেলে সেখানে তারা তদন্ত করবে বলে আশ্বাস দেয়। বিষয়টা আন্তরিকতার সাথে নেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই থানা থেকেও তদন্তে এসে, পুলিশ জানায় এই এলাকা শেরে বাংলা থানার অধীনেও না।
সোনিয়া রিফাতের প্রশ্ন. তাহলে তিনি এবং তার হতভাগা কুকুরটি আসলে কোন থানার বাসিন্দা? সোনিয়া রিফাত বলেন, “আমি আদালতের মাধ্যমে মামলা লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রাণী অধিকার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে প্রানীদের প্রতি সহিংসতা চালাতে অনেকেই ভয় পাবে বলে মনে করি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য ও আলোচনা করছেন নেটিজেনরা।