করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলা। স্বামী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও মেয়ে আইরার পর এবার তিনিও আক্রান্ত হলেন।
গণমাধ্যমকে মিথিলা জানান, নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।
বিজ্ঞাপন
মিথিলা বলেন, “বেশ কয়েকদিন থেকে আমার করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। ৩ দিন আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাই। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে আবারও পরীক্ষা করতে দিলে গতকাল পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এখন হালকা ঠাণ্ডা ও কাশি আছে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।”
এর আগে গত ২ জানুয়ারি মিথিলার স্বামী সৃজিত সৃজিত মুখার্জি ও ৫ জানুয়ারি মিথিলার মেয়ে আইরা তেহরীম খানের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
বরুণ ধাওয়ান অভিনীত ‘বেবি জন’ ছবিটি ঘিরে সবার প্রত্যাশা ছিল অনেক। তাইতো বড়দিনের ছুটির ফায়দা নেবেন বলে প্রযোজকেরা ছবিটি এদিন মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ওপেনিং ইনিংসে ভালো রান পায়নি অ্যাটলি কুমার প্রযোজিত ছবিটি। এমনকি ‘বেবি জন’ প্রায় তিন সপ্তাহের পুরোনো ছবি ‘পুষ্পা ২’-কে টক্কর দিতে পারেনি। মুক্তির প্রথম দিন বরুণের এ ছবি হলিউড ছবি ‘মুফাসা: দ্য লায়ন কিং’-এর থেকেও পিছিয়ে। ‘বেবি জন’-এর এই হাল দেখে অ্যাটলির কপালের চিন্তার ভাঁজ আরও স্পষ্ট হতে চলেছে।
গতকাল বড়দিন উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে কালীশ পরিচালিত ছবি ‘বেবি জন’। এ ছবির প্রথম দিনের আয় বেশ হতাশানজক। তবে দ্বিতীয় ছবিটির আয় গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। মাত্র ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা আয় করেছে ছবিটি।
কিন্তু আখেরে কোনো লাভই হয়নি। এমনকি প্রথম দিনের আয়ের নিরিখে বরুণ ধাওয়ানের ফ্লপ ছবি ‘কলঙ্ক’-এর আয় বেশি ভালো ছিল। ‘বেবি জন’ মুক্তির প্রথম দিনে ১২ কোটি ৫০ লাখ রুপি আয় করেছে। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া বরুণের ‘কলঙ্ক’ ছবিটি প্রথম দিন ২১ কোটি ৬ লাখ রুপি দিয়ে বক্স অফিসের খাতা খুলেছিল। এদিকে ‘মুফাসা’ ছবির ষষ্ঠ দিনের আয় ‘বেবি জন'-এর চেয়ে ভালো। ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘মুফাসা’ ভারতে দারুণ ব্যবসা করছে।
এই হলিউড ছবি ঝড়ের গতিতে ছুটে ১০০ কোটি ক্লাবের সদস্য হতে চলেছে। ‘মুফাসা’ মুক্তির পর বড়দিনে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা করেছে। ক্রিসমাসের ছুটির ফায়দা ভালোই উঠিয়েছে এই ছবি।
এদিন সব ভাষা মিলিয়ে হলিউড ছবিটি আয় করেছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ রুপি। ভারতীয় বক্স অফিস থেকে ‘মুফাসা’ এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে। এ ছবির হিন্দি সংস্করণে শাহরুখ খান এবং তার দুই পুত্র আরিয়ান ও আব্রামের কণ্ঠ শোনা গেছে।
এদিকে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির দাপট এখনো অব্যাহত আছে। মুক্তির ২১ দিনে সুকুমার পরিচালিত ছবিটি ভারতীয় বক্স অফিসে ১ হাজার ১০৯ কোটির অঙ্ক পার করে ফেলেছে। এই প্যান ইন্ডিয়ান ছবিটি গতকাল, অর্থাৎ মুক্তির তৃতীয় বুধবার ১৯ কোটি ৭৫ লাখ রুপি ঝুলিতে পুরেছে।
‘পুষ্পা ২’-এর আয়ের অঙ্ক ‘বেবি জন’-এর চেয়ে অনেকটাই ভালো। আশা করা হচ্ছে যে ‘পুষ্পা ২’-এর হিন্দি সংস্করণ শিগগিরই ৮০০ কোটির অঙ্ক পার করে ফেলবে। ‘বেবি জন’ ছবির বাজেট ১৮০ কোটির আশপাশে।
তাই লাভের মুখ দেখতে নির্মাতাদের অনেকটা পথ ছুটতে হবে। আর বাজেটের হিসাবে ‘বেবি জন'-এর প্রথম দিনের আয়ের অঙ্ক অত্যন্ত হতাশজনক। কালীশ পরিচালিত এ ছবিতে বরুণ ছাড়া আছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশ, ওটিটিতে জনপ্রিয়তা পাওয়া ওয়ামিকা গাব্বি, প্রখ্যাত অভিনেতা জ্যাকি শ্রফসহ অনেকে। অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে সালমান খান ও দিলজিৎ দোসাঞ্জকে।
কেউ প্রথমবার পরিচালনা করেছেন, কেউ আবার অভিনয়শিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। এমন অনেক ‘প্রথম’-এর মিলনমেলা দেখা যাবে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে। এই বিভাগে ১০টি সিনেমা চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে। দর্শকদের আগ্রহের এসব সিনেমা একসঙ্গে দেখা যাবে উৎসবে। যে সিনেমাগুলো দিয়ে বছরের বিভিন্ন সময় আলোচনায় ছিলেন তারকা ও কলাকুশলীরা।
মেহজাবীন চৌধুরী দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রথম বড় পর্দায় আসেন ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা দিয়ে। কায়রো উৎসবে মনোনয়নের পর সিনেমার মুক্তির ঘোষণা আসে। এটি গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ছোট পর্দার মেহজাবীনকে বড় পর্দায় দেখার অপেক্ষা ফুরোয়। শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করছেন। কেউ কেউ তার ক্যারিয়ারের সেরা কাজ, এমনটাও বলছেন। সে সিনেমাটি এবার হলের পরে দর্শকেরা ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দায় দেখতে পারবেন। তবে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাবা’, যা এখনো মুক্তি পায়নি।
দুই মাস আগেই আলোচনায় আসেন কুসুম সিকদার। ‘শরতের জবা’ সিনেমা দিয়ে তার নামের আগে যোগ হয় নতুন পরিচয়। তিনি পরিচালক হিসেবে দর্শকদের সামনে এসেছেন। এই সিনেমা দিয়ে অভিনেত্রীর দীর্ঘদিন পরে ফেরা। তার সিনেমাটিও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। কুসুম বলেন, ‘দর্শক হলে দেখেছেন, এখন ওটিটিতেও দেখা যাচ্ছে। আবার দেশের বড় উৎসবে সিনেমাটি নির্বাচিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে। প্রথম সিনেমা দিয়ে প্রাপ্তি অনেক।’
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে; প্রায় ছয় বছর আগে তাসনিয়া ফারিণ প্রথম নাম লিখিয়েছিলেন ‘ফাতিমা’ সিনেমায়। নানা কারণে শুটিং আটকে থাকা সেই সিনেমা দিয়ে এ বছর বড় পর্দায় এসেছেন এই অভিনেত্রী। ধ্রুব হাসান পরিচালিত সিনেমাটিও নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা উৎসবে। তবে বাংলাদেশের আগে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে প্রথম দেখা গেছে ফারিণকে।
চলচ্চিত্র অভিনেতা আদর আজাদ ও অর্চিতা স্পর্শিয়া অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘এখানে নোঙর’ও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে। এটি পরিচালনা করেছেন মেহেদী রনি। এই ছবির মাধ্যমে অর্চিতা স্পর্শিয়া এবং আদর আজাদকেও প্রথমবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে দেখা যাবে। ছবিটির গল্প গড়ে উঠেছে দেশের সমূদ্র তীরবর্তী এলাকার জাহাজ চালকদের জীবন নিয়ে। তাদের জীবনের সংগ্রাম ও ক্ষমতা দখলের খেলার পাশাপাশি ছবিটিতে উঠে এসেছে দারুণ এক প্রেমের গল্প।
এ ছাড়া দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়েই সিনেমা ‘নীলপদ্ম’ নির্বাচিত হয়েছে এ আয়োজনে। এটি পরিচালনা করেছেন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌফিক এলাহী। এতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান, রোকেয়া প্রাচী, শাহেদ আলী, সুজাত শিমুলসহ আরও অনেকে। মেহজাবীন, ফারিণদের সিনেমা প্রথমবার জায়গা করে নিলেও রুনা খান, রোকেয়া প্রাচীর বেশকিছু ছবি এই উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে।
এ ছাড়া নিয়ামুল মুক্তা পরিচালিত ওয়েব সিনেমা ‘রক্তজবা’য় প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। পরিচালকের সঙ্গে দুই অভিনয়শিল্পীর প্রথম সিনেমা এটি। পরিচালকের দ্বিতীয় সিনেমা।
এর আগে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগে একসঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশের দুই সিনেমা মনোনয়ন পেয়ে আলোচনায় আসে। ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’ ও বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’। দুটি সিনেমাই ছিল দুই পরিচালকের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা। শুধু তাই নয়, সেই উৎসবে প্রথমবারের মতো নিউ কারেন্টস পুরস্কার জয় করে ‘বলী’, যা ছিল বাংলাদেশের সিনেমার উল্লেখযোগ্য অর্জনের একটি। দুটি সিনেমা ঢাকার উৎসবে একসঙ্গে দেখতে পারবেন দর্শক। উৎসবের সমাপনী সিনেমা ‘বলী’।
আগামী ১১ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। এবারের আয়োজনে ৭৫টি দেশের ২২০টির বেশি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ‘আমরা আগে আটটি সিনেমার নাম ঘোষণা করেছিলাম। এবার আরও দুটিসহ সর্বমোট ১০টি সিনেমার নাম ঘোষণা করেছি। দর্শকদের জন্য শৈল্পিক বিচারে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে সিনেমাগুলোতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছি।’ বরাবরের মতো ঢাকা উৎসব আয়োজন করেছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি।
দিনে দিনে বাড়ছে দেশের বাইরে বাংলা নাটকের শুটিং। বিশেষ করে শুটিংয়ের নিরাপদ স্পট ও ঝামেলা এড়াতে নাটকের অভিনয়শিল্পীরা ঝুঁকেছেন বিদেশ বিভূঁইয়ে। ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকাসহ নানা দেশে শুটিংয়ের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন দেশের পরিচালক, প্রযোজক ও তারকারা। বিশেষ করে নিলয় আলমগীর হলে তো কথাই নেই!
এর আগে নিলয় ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নেপালসহ নানা দেশে শুটিং করেছেন একাধিক নাটকে। এবার মালয়েশিয়া শুটিং করছেন ১০টি নাটকের। এগুলো পরিচালনা করছেন হাসিব হোসেন রাখি, শহীদ উন নবী ও মহিম খান। নিলয়ের সঙ্গে নাটকগুলোতে অভিনয় করছেন তানিয়া বৃষ্টি ও সামিরা খান মাহি।
গতকাল মালয়েশিয়া থেকে মুঠোফোনে নির্মাতা রাখি বলেন, “আমরা ২০ ডিসেম্বর এসেছি। আমি তিনটি নাটক নির্মাণ করব। এর মধ্যে ‘ফানিমুন ২’ নামের নাটকটির শুটিং শেষ করেছি। আরো দুটির শুটিং চলছে। নবী ভাই ও মহিম ভাই শুটিং শুরু করবেন আমার পর পরই। আমরা এক লটেই ১০টি নাটক শেষ করতে চাই। ফিরতি টিকিট কাটা আছে ৫ জানুয়ারি। তার মানে থার্টি ফার্স্ট নাইট আমরা মালয়েশিয়াতেই উদযাপন করব। সেই প্রস্তুতিও শুটিংয়ের পাশাপাশি নিচ্ছি। আশা করছি, নাটকগুলো দর্শকদের ভালো লাগবে।’
অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি বলেন, ‘দেশের বাইরে শুটিং করতে বেশ মজা লাগে। মনে হয় পিকনিক করছি। তবে কষ্টও আছে। লোকবল কম থাকায় মেকআপ থেকে শুরু করে লাইটিংয়ের বিষয়টাও নিজেদের দেখতে হয়। তবে দিন শেষে রথ দেখা হয় আবার কলা বেচাও হয়। যার কারণে বিদেশে শুটিংয়ের জন্য শিডিউল চাইলে আমি না করতে পারি না (হা হা হা)।’
নিয়ল, তানিয়া বৃষ্টি, সামিরা খান মাহির পাশাপাশি মালয়েশিয়াতে আরো শুটিং করছেন শামীম হাসান সরকার, সামন্তা পারভেজ, মাসুম বাশারসহ আরো অনেকে।
বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনের সুপরিচিত মুখ এ বি ওয়ালিউদ্দিন চৌধুরী। ২০০২ থেকে ফ্যাশন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘ ক্যরিয়ারে নানা ধরনের কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন তিনি।
ওয়ালি একাধারে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার, ইভেন্ট অর্গানাইজার এবং মডেল গ্রুমিং স্কুলের পরিচালক।
তবে বিগত কয়েক বছর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। কিন্তু দেশের বাইরে থেকেও নিজের প্যাশনকে ভুলে যাননি। তাইতো সেখানেই গড়ে তুলেছেন নিজের কোম্পানি। ‘অ্যাবাউট টাইম ইভেন্ট আইএনসি’ নামের এই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে আগামী ২০২৫ সালে একটি শো করার পরিকল্পনা করছেন।
আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বাঙালিদের বড় আয়োজন ‘আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেয়েছেন’ তিনি। সেরা ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার ক্যাটাগরিতে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে বিদ্যা সিনহা মিম, তানজিন তিশা, সজল, ইমন, নিরব, প্রভা, সামিনা চৌধুরী, স্বপ্নিল সজীবসহ বাংলাদেশের অনেক জনপ্রিয় তারকারা পুরস্কার গ্রহণ করতে অংশ নিয়েছেন।
পুরস্কার পেয়ে ওয়ালি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে এমন পুরস্কার যে কোন শিল্পীকে অনুপ্রাণীত ও গর্বিত করে। আমি আমার দেশের জন্য আরও ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই। যাতে বাংলাদেশের মুখ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল হয়।’
নিউইয়র্কে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কালচারকে যুক্তরাষ্ট্রে তুলে ধরার জন্যই এটি গড়ে তুলেছি। গান, নাচ, ফ্যাশন- এসব কিছু নিয়েই আমি কাজ করবো।’
নিজের জার্নি নিয়ে ওয়ালি বলেন, ‘অনেকটা শখের বসে ২০০২-৩ সালের দিকে ফ্যাশন অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত হই। কাজটি এতোটাই ভালোলেগে যায় যে, নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য ২০০৫-এ আইএনআইএফডি থেকে ২ বছরের অ্যাডভান্স ডিপ্লোমা কোর্স করি ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর। তারপর থেকে দেশে-বিদেশে বড় বড় অনেক শো করেছি। এরমধ্যে রয়েছে লণ্ডনে পারা ফ্যাশন উইক, যেখানে বিবি রাসেল, কুহু প্লামন্দন, টুটলি রহমানের মতো প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে আমার পোশাকও এক্সিবিশন হয়। এছাড়া ২০১৬ ও ১৭ তে নেপাল ফ্যাশন উইক, ভারতের দিল্লীতে ২০১৫ ও ১৬ সালে দুই বার এশিয়ান ডিজাইনার উইক, দেরাদুন ফ্যাশন উইকসহ দেশের সব বড় ফ্যাশন উইকে অংশ নিয়েছি নিজের ডিজাইন করা পোশাক নিয়ে। ডিজাইনার পেশার বাইরে আমার ওয়ালিজ অ্যাসোসিয়েট নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি চালিয়েছি ১০ বছর। সেখান থেকে অনেক ধরনের আয়োজন করেছি। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য- বিউটি পেজেন্ট ‘মিস্টার এন্ড মিসেস ফটোজেনিক’। এর চারটি সিজন করেছি।’