লাল সবুজের মহোৎসবে নারী শক্তির জয়গান
লাল সবুজের মহোৎসবের তৃতীয় দিনটি ছিল কেবলই নারীদের। নাচ-গান-ফ্যাশন শো প্রতিটি পরিবেশনাতেই নারীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সন্ধ্যায় প্রধান অতিথিও ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, “নারীরা কঠিন সময়ে হাল ছেড়ে দেয় না, নারীদের এই সক্ষমতাকে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। এর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সম্প্রসারিত হবে। মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের মাসে লাল সবুজের মহোৎসব-এই আয়োজন এক্ষেত্রে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।”
স্পিকার বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ সকল সময়েই আন্দোলন-সংগ্রাম-দুঃসময়ে নারীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে নারীদের অবদান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছে বাংলার নারী।
শুক্রবার এফবিসিসিআই-এর উদ্যোগে ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় ১৬ দিনব্যাপী 'বিজয়ের ৫০ বছর-লাল সবুজের মহোৎসব' শীর্ষক অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে রাজধানীর হাতিরঝিল এমফিথিয়েটারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন একটি আয়োজনের সফল বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপিকে ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ সকল সময়েই আন্দোলন-সংগ্রাম-দুঃসময়ে নারীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে নারীদের অবদান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছে বাংলার নারী।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন এমপি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন হৃদি শেখ। ঈগল ড্যান্স গ্রুপের অনবদ্য পারফর্মেন্স তৃতীয় দিনেও মাতিয়ে রাখে দর্শকদের।
বিশেষ করে দর্শকদের মন কেড়ে নেন ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণকারি মডেলরা। প্রথাগত মডেলিংয়ের বাইরে গানের তালে নাচের ঢংয়ে দর্শক মাতান তারা।
গান গাইতে মঞ্চে আসেন নতুন প্রজন্মের চার শিল্পী-লুইপা, নাদিয়া ডোরা, রেশমি ও ঐশি। প্রত্যেকেই তিনটি করে গান করেন।
দর্শকের অনুরোধে ঐশীকে গাইতে হয় আরও বেশি। ঐশির গানের মাঝে মঞ্চে ওঠেন মেয়র আতিক।
প্রতিদিনের মতো এদিনও মঞ্চে উঠে গাইতে দেখা যায় তাকে। তাকে সঙ্গ দিতে মঞ্চে ওঠেন কৌশিক হোসেন তাপস, এস আই টুটুল, পারভেজ ও দোলা।
আনন্দময় সমাপ্তির ভেতর দর্শকরা ঘরে ফেরেন। চতুর্থ দিনে নজরুল সংগীত গাইবেন দেশসেরা শিল্পীরা।
চমক হিসেবে মঞ্চে উঠবে ব্যান্ড মাইলস।