ফাইভ ফ্লেভারস এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’
পোল্যান্ড এ অনুষ্ঠিত ১৫ তম ফাইভ ফ্লেভারস এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-২০২১ এ প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। তথ্যটি বার্তা ২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্রটির প্রযোজক এহসানুল হক। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবটি চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
দক্ষিণ পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার সেরা চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে প্রতিবছরই আয়োজিত হয় এ চলচ্চিত্র উৎসব। এবার এ উৎসবের ‘নিউ এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে মনোনীত হলো বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। এই বিভাগে আরও মনোনয়ন পেয়েছে জাপান, থাইল্যান্ড, বার্মা, সাউথ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্ডিয়া, চীন, তাইওয়ান এবং মালয়েশিয়ার ১১টি চলচ্চিত্র।
ইতিমধ্যেই, এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন এ্যাওয়ার্ডে এ জুরি গ্র্যান্ড পুরস্কার এবং হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নিউ ট্যালেন্ট এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে চলচ্চিত্রটি। নতুন উৎসবে অংশগ্রহণ নিয়েও আশাবাদী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু। “সমস্ত সম্মাননাই কাজের গতি আর মান বাড়িয়ে দেয়। আশা করছি রেহানা মরিয়ম নূর দেশের জন্য আরও কিছু সন্মাননা নিয়ে আসবে।” বললেন তিনি।
এদিকে প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে দেশের বড়পর্দায় দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রদর্শিত হচ্ছে রেহানা মরিয়ম নূর। দ্বিতীয় সপ্তাহে এগারোটি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে চলচ্চিত্র রেহানা ‘মরিয়ম নূর’ এমনটা জানিয়ে প্রযোজক আরও বলেন, “সিনেমা মুক্তির প্রথম দিন থেকেই আমরা দর্শকদের খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সপ্তাহে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়ার ১২ টি হলে মুক্তির পর থেকেই অন্যান্য বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়মিত জানতে চাওয়া হচ্ছিলো কবে তাদের শহরে আসবে 'রেহানার মরিয়াম নূর'। আমাদের কাছে প্রায় সবগুলো হলেই দ্বিতীয় সপ্তাহে ভালো রেসপন্সের খবর আসছে, এছাড়া এ সপ্তাহ থেকে পাবনার ঐতিহ্যবাহী রূপকথা সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি।
চট্টগ্রামে হল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “গত ১৯ তারিখে আমরা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ টিম চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম, সেখানকার সুগন্ধা এবং সিলভার স্ক্রিন দুই জায়গাই ছিল হাউসফুল। সুগন্ধা হল কর্তৃপক্ষ বলেছে এখন পর্যন্ত এটা তাদের বেস্ট সেল মুভি। করোনা মহামারীর কারণে এমনিতেই হলগুলো বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন আর বেশকিছু বছর ধরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত দর্শক হল বিমুখ ছিল । ‘রেহানা মরিয়াম নূর’ একটা বড় অংশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দর্শককে আবার হলমুখী করেছে। এটাকে আমরা আমাদের সফলতা হিসেবেই দেখছি।”
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, আফিয়া জাহিন জাইমা, কাজী সামি হাসান, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, ইয়াছির আল হক, সাবেরী আলম। পোটোকল ও মেট্রো ভিডিও'র ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সিঙ্গাপুরের জেরেমি চুয়া। নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তুহিন তুমিজুল। সহ প্রযোজনা করেছে ‘সেন্সমেকারস প্রোডাকশন'।